প্রথম জীবনে অভিনেতা নয়, বরং অন্য পেশায় নিযুক্ত ছিলেন বলিউডের এই ব্যক্তিত্বরা
প্রথম জীবনে সংসারের হাল ধরতে, কেউ করেছেন কন্ডাক্টরি, কেউ বা রক্ষা করার দায়িত্ব নিয়েছেন আস্ত পাড়া। আজ তাঁরাই হয়ে উঠেছেন সিনে জগতের সর্বেসর্বা। বলিউডের এমন কিছু ব্যাক্তিত্বের কথা আজ বলব আপনাদের, যাঁরা হাতে সিনেমার স্ক্রিপ্ট ধরার আগে প্রথম জীবনে ধরেছিলেন লোকের এঁটো প্লেট থেকে শুরু করে লাঙল। যে কাহিনী শুনলে, রীতিমত অবাক হবেন, আপনিও।
অক্ষয় কুমার, বলিউডে যিনি ‘খিলাড়ি কুমার’ হিসেবেই পরিচিত। পড়াশুনায় মন ছিল না বলে, মডেলিং-এ মনোযোগ দেওয়া শুরু করেন অক্কি। যদিও, অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের সম্বল হিসেবে, অক্ষয় কুমার প্রথম জীবনে ব্যাংককে ওয়েটার থেকে ডিশ ওয়াশার হিসেবে মানুষের এঁটো প্লেট ধোয়া মোছার কাজও করেছেন। ১৯৯১ সালে বলিউডে পা রাখার আগে পর্যন্ত, কঠিন সংগ্রামের মধ্যে দিয়েই গেছে বড় পর্দার রওডি রাঠরের।
আরও পড়ুন : রাই নয়, আসল সেক্রিফাইস তো করেছে নীলু অথচ সবাই রাইকে সিমপ্যাথি দেখাচ্ছে!
নওয়াজ উদ্দিন সিদ্দিকী – ‘Kabhi kabhi toh lagta hai apun-ich bhagwan hain..’ বলা মানুষটার জীবনও, মোটেই সুগম ছিল না। নওয়াজ উদ্দীন সিদ্দিকীর বলা এই সংলাপ যেন বাস্তবেই তাঁর চরিত্রকে বিশ্লেষন করতে সক্ষম। অভিনয় জগতে আসার আগে, বেশ অনেকগুলি পেশায় নিযুক্ত ছিলেন ‘গ্যাংস অফ ওয়াসিপুর’ খ্যাত অভিনেতা। এক পেট্রোকেমিক্যাল কোম্পানির কেমিস্ট থেকে শুরু করে, নাইট গার্ড পর্যন্ত হতে হয়েছে তাঁকে।
পঙ্কজ ত্রিপাঠী – বলিউডে এই মুহূর্তে যাঁর অভিনয় ব্র্যান্ড হয়ে উঠেছে, তিনি হলেন পঙ্কজ ত্রিপাঠী। রোম্যান্স হোক বা অ্যাকশন, যেকোনও চরিত্রে তিনি সাবলীল। তবে, প্রথম জীবনে ‘মির্জাপুর’ খ্যাত অভিনেতা কখনও স্বপ্নেও ভাবেননি অভিনেতা হবেন! বিহারের এক প্রত্যন্ত গ্রাম গোপালগঞ্জে তাঁর বেড়ে ওঠা।
সেই গ্রামের পারিপার্শ্বিকতার সঙ্গেই খাপ খাইয়ে নিয়েছিলেন পঙ্কজ। পরিবারের পাশে দাঁড়াতে, বাবার সঙ্গে চাষবাসও করেছেন তিনি। গ্রামেই এক নাটক তাঁর জীবনের গল্পের মোড় বদলে দেয়। সেই নাটকে এক নারী চরিত্রে অভিনয় করার পরেই, অভিনয়ের প্রতি টান অনুভব করেন তিনি। ব্যাস, এক নতুন ইতিহাসের শুরু হয় তখনই!
রজনীকান্ত – দক্ষিণী ছবির ভগবান মানা হয় রজনীকান্তকে। তাঁর সঞ্চিত সম্পত্তির পরিমাণ টেক্কা দেবে যেকোনও বড় ব্যবসায়ীকে। দক্ষিণ ভারতের এই সুপারস্টারের ভগবান হয়ে ওঠার কাহিনীর পেছনেও রয়েছে এক কঠোর তপস্যার ইতিহাস। শৈশব থেকেই বেশ অর্থাভাব এবং দারিদ্রতার দিন কেটেছে অভিনেতার। তাই প্রথম জীবনে তাঁর নুন আনতে পান্তা ফুরায় পরিবারের জন্য কন্ডাকটরির পদে নিযুক্ত হতে হয় তাঁকে।
আরও পড়ুন : সৌমিতৃষার অহংকারী প্রসঙ্গে মুখ খুললেন টলিউড সুপারস্টার দেব !
অমিতাভ বচ্চন – বলিউডের “শাহেনশাহ” তিনি। এখনও তাঁর উপস্থিতিতে কেঁপে ওঠে ছোট বড় সকল পর্দা। তিনি হলেন, অমিতাভ বচ্চন। শুনলে অবাক হবেন, প্রথম জীবনে তিনি কলকাতার ব্ল্যাকার অ্যান্ড কো নামের এক জাহাজের কোম্পানিতে চাকরি করতেন। যদিও পরবর্তীকালে তাঁর অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন তাঁকে ভিন্ন পথে অগ্রসর হওয়াতে বাধ্য করে।