ভাইরাল হওয়ার জন্য কিসব শুরু করেছে নতুন এই প্রজন্ম! অল্পবয়সী এক ছেলে রানু মন্ডলের গালে গাল হাতে হাত দিয়ে ভিডিও বানিয়ে হতে চায় ফেমাস?
ইন্টারনেটের মতো দ্বিতীয় কোনো শক্তিশালী ব্যাপার নেই বর্তমান সময়ে। আপনার সাথে ঠগ, জোচ্চুরি হচ্ছে? রেকর্ড করে ছেড়ে দিন সোশ্যাল মিডিয়ায়, সঠিক অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছলে তা ভাইরাল হয়েই যাবে। এরকম আরো অনেক ভিডিওই ভাইরাল হয় যেখানে আমরা দেখতে পাই স্ট্রিট ম্যাজিক, দড়ির ওপরে বাচ্চার ব্যালেন্স করা ভিডিও, রানু মন্ডল কিংবা ভুবন বাদ্যকরের ভিডিও-ও পরে এই তালিকায়।
রানু মন্ডল ছিলেন একসময়ের ইন্টারনেট সেনসেশন, প্রত্যেকটি গানের রিয়েলিটি শো-ই রানু মন্ডলকে স্টেজে পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল। কারণ সেই সময়ে রানু মন্ডল মানেই লাখ লাখ ভিউ। রানাঘাট স্টেশনে বসে লতার গান গাওয়া এই হীরে-কে সকলেই চাইত নিজের অনুষ্ঠানে। গাওয়াতে চাইলেন গানও, সঙ্গীত পরিচালক হিমেশ রেশমিয়া খোদ তাঁকে এই সুযোগ করে দেন, সেই গানও ভাইরাল ইউটিউবে।
এরপরেই জনপ্রিয়তাই কেড়ে নেয় রানুর থেকে সবকিছু, এতদিন ভিখারিনী থেকে হঠাৎ এত টাকা পয়সা আর জনপ্রিয়তা পেয়ে নিজেকে রানী মনে করতে শুরু করেছিলেন রানু। তাঁর ব্যবহারই তাঁর কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছিল সবকিছু। অবশ্য মানুষজন এখানে তাঁর দোষ আছে বলে ধরেননি, কারণ কোনো শিক্ষা দীক্ষা ছাড়া হঠাৎ এত প্রতিপত্তি পেয়ে গেলে মানুষ বুঝতে পারে না কিভাবে চলতে হয়। রানু মন্ডলের সাথেও ঠিক এমনটাই হয়েছে। জনপ্রিয়তা কমলেও মানুষের উৎসাহ কিন্তু কমেনি, এখনো ছোটো থেকে বড় সবধরনের ইউটিউবাররাই চলে যান তাঁর সাথে ভিডিও বানিয়ে ভিউ পাবে বলে।
তবে এবার একটু বাড়াবাড়িই হয়ে গেল। রানু মন্ডলের সাথে “দু’চোখে প্রেমেরই নেশা” গানে ভিডিও বানালেন এক যুবক। তবে এগুলো কি দৃশ্য? গালে গাল ঠেকিয়ে হাতে হাত রেখে এগুলো একদমই অনুচিত, রানু মন্ডল কিছু বলেন না মানে এমনটা নয় যে বলতে চান না। ভিডিও দেখে বোঝাই যাচ্ছে তিনি একেবারেই অনিচ্ছুক। হাত দিয়ে বোঝাতেও চাইলেন ওনার হাঁটুর ব্যথা। নতুন প্রজন্মকে বোঝা উচিত সমাজ মাধ্যম ঘিরেই কেবলমাত্র তাঁর জীবন আবর্তিত নয়। অবস্থান বুঝে নিজের ব্যবহার সামলে চলাই উঠিত বর্তমান সময়ে।