দিনের পর দিন ফুড ভ্লগারদের বারবার অন্ধের কারণে বহু সাধারন খাবার বিক্রেতা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে। সেই রকমই কলকাতার বড় বাজারের ছাঙ্গানি ক্লাব কচুরি দারুন জনপ্রিয়।
সকাল সাতটায় দোকান খোলার আগে থাকতেই কচুরি খেতে ভিড় জমিয়ে ফেলেন ক্রেতারা। দেশ বিদেশের বহু কন্টেন্ট ক্রিয়েটর এই দোকানে কচুরির খোঁজে আসেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় যদি আপনি ভীষণ একটিভ হন আর ফুড বভ্লগিংয়ের চোখ রাখেন, তাহলে নিশ্চয়ই খ্যাতি বড়বাজারের ছাঙ্গানি ক্লাব কচুরির কথা অজানা নয়।
Kalesh b/w Unhygienic Kachori wala Chacha and Customer over customer said ki “saaf-safai rakho Dukan pe” In Bengal
pic.twitter.com/HMPPW7KB48— Ghar Ke Kalesh (@gharkekalesh) March 4, 2024
বিখ্যাত কচুরির দোকানের দুটি পদ ক্লাব কচুরি এবং জিলিপি খুবই জনপ্রিয়। খাস্তা কচুরি আর তার সাথে বিকানির মসলা দিয়ে বানানো আলুর দমের ওপর ছড়িয়ে দেওয়া হয় ভুজিয়া।
ফুড ভ্লগাররা মনে করেন, কলকাতার সেরা ক্লাব কচুরির ঠিকানা এখন এইটাই। এবার ওই কচুরির দোকানের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে দারুন ভাইরাল হয়েছে।
ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে যে, এক গ্রাহকের সঙ্গে খুবই অকথ্য ভাষায় কথা বলছেন ওই কচুরির দোকানদার। বর্তমানে কলকাতার অ্যাংরি কচুরি ম্যান হিসেবে পরিচিত হয়ে গিয়েছেন তিনি।
মুহূর্তের মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে এই ভিডিও। এই ক্লাব কচুরির জনপ্রিয়তা এসেছে ভ্লগারদের জন্যই। তবে এবার দোকানে ভ্লগ করতে গিয়ে কচুরি বিক্রেতার খারাপ আচরণ দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছেন এক ভ্লগার। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়াতে তিনি সেই ভিডিওটি শেয়ার করেছেন।
কচুরি কিনতে এসে এক ব্যক্তি দোকানের মালিক কে বলেন,” পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে পারেন তো!”এই কথার শোনা মাত্রই রাগে অগ্নি শর্মা হয়ে যান কচুরি বিক্রেতা। কচুরি বিক্রি ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে রীতিমতো অস্ত্রাব্য ভাষায় ওই গ্রাহককে গালিগালাজ করেন তিনি। এমনকি গায়ে হাত তোলার চেষ্টা করেন।
আরও পড়ুন : কাঠগড়ায় উদ্যালোক! খিল খিলের বাবা উদ্যালোক বুঝে গেলো কোজাগরী!জল থৈ থৈ ভালোবাসা র দুর্দান্ত টুইস্ট!
তবে বিষয়টা হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ানোর আগেই কিছু ব্যক্তি ওই ক্রেতাকে দোকান থেকে দূরে নিয়ে যান। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এই কচুরি বিক্রেতা প্রতিদিনই ক্রেতাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিষয়টি জানাজানি হতেই রীতিমত কচুরি ওয়ালাকে ধুইয়ে দিচ্ছেন সকলে।
