ক্লাবিং করে ফুর্তি করছেন ‘স্মার্ট দিদি নন্দিনী’! ছবি সামনে আসতেই হই হই, ভাত তরকারি ছাড়া অন্য কিছু খাচ্ছেন তিনি! হাসাহাসি করছেন কটাক্ষকারীরা

সকলের কাছে তিনি পরিচিত স্মার্ট দিদি নন্দিনী(Smart Didi Nandini) হিসেবে। যদিও তার আসল নাম মমতা। তবে নন্দিনী নামটাই বেশি পরিচিত হয়ে গেছে। বিবাদীবাগের মোড়ে কয়লাঘাট এলাকায় একটি ভাতের হোটেল আছে তার। তবে দোকান বহু দিনের হলেও কয়েক মাস হয়েছে তিনি ভীষণভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন ফুড ব্লগারদের দৌলতে।
এখন তার দোকান বিপুল পরিচিত। অফিসকর্মীরা তো বটেই সাধারণ মানুষও ভিড় জমান তার ভাতের হোটেলে ভাত খেতে। যদিও নিন্দুকরা বলে থাকেন তার ভাতের হোটেল এমন আর কি বিশেষ। কলকাতার রাস্তায় এমন হাজারো ভাতের হোটেল রয়েছে। কিন্তু এতকিছুর পরেও তার জনপ্রিয়তা কমেনি।
কলকাতায় আরো হাতের হোটেল রয়েছে ঠিকই তবে সেখানে তো আর স্মার্ট দিদি নন্দিনী নেই। যে জিন্স প্যান্টের সঙ্গে হেসে হেসে ভাত দেবেন। বেশি বেশি যত্ন করবেন। তবে দিদিকে যখনই দেখা যায় তখনই ভাতের হোটেলেই দেখা যায়। এবার একটু চেনা ছকের বাইরে বেরোতেই রেরে করে উঠলেন নেট নাগরিক।
সম্প্রতি কলকাতার এক বিখ্যাত পাবের তরফ থেকে সেখানকার কিছু ছবি শেয়ার করা হয়েছিল সামাজিক মাধ্যমে। আর সেখানেই দেখা গিয়েছে স্মার্ট দিদি নন্দিনীর একটি ‘স্মার্ট’ ছবি। পার্পেল কালারের জিন্স আর ওপরে সাদা ক্রপ শাটে ধরা দিয়েছেন তিনি। ঠোঁটে রয়েছে উজ্জ্বল রঙের লিপস্টিক। গয়না বিশেষ কিছুই নেই। চুল বেঁধে রয়েছেন তবে পনিটেল করে।
বোঝাই যাচ্ছে দিদি জমিয়ে ক্লাবিং করতে ব্যস্ত। তবে এই ছবি সামনে আসতেই বেশিরভাগ মানুষ তাতে হাহা দিয়েছেন। আর এটাই কিছু সংখ্যক মানুষের একেবারেই মাথায় ঢুকছে না। দিদিতো আর অন্যের টাকায় ফুর্তি করতে যাইনি। নিজের রোজগার করে খেটে তারপর মজা করতে গেছেন। এমনটাই মত বেশিরভাগের। তাই এটি হাসার মতন কোন কথাই নেই।
আবার কেউ বলেছেন প্রত্যেকেরই নিজের মতো করে বাঁচার অধিকার রয়েছে। নিজের মতো করে থাকার অধিকার রয়েছে। তাই শুধু শুধু কাউকে অপদস্ত না করাই ভালো। তবে স্মার্ট দিদির ছবিতে ভালোবাসাতেও ভরিয়ে দিয়েছেন অনেকে।