ভাইরাল

৭২ বছর বয়সেও মা? বিশ্বাস হচ্ছে না? জেনে নিন বিশ্বের সবথেকে ‘বয়স্ক মা’ দলজিন্দর কউরের কাহিনী

মাতৃত্ব, এর স্বাদ পাওয়ার জন্য কত কত মেয়েরা অপেক্ষা করেন। অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন সারাটা দিন শরীর ব্যথার মধ্যে দিয়ে যায়, আর এমনটি একটি দুটি দিন না, বরং বেশিরভাগ দিনই এমনভাবে কাটে হবু মায়েদের। তবে বাচ্চা জন্মানোর পর এই সমস্ত ব্যথা যেন মিলিয়ে যায় মায়েদের। তবে সকলে পায় না মা হওয়ার সুযোগ, অমৃতসরের দলজিন্দর কউরও ভেবেছিলেন তিনি কখনো মা হতে পারবেন না। তবে হরিয়ানার হিসার শহরের ইনফার্টিলিটি ক্লিনিক স্বপ্ন পূরণ করেছেন এই দম্পতির।

হিসারের এই ইনফার্টিলিটি ক্লিনিক সারা বিশ্বে বয়স্ক মহিলাদের মাতৃত্বের স্বাদ গ্রহণ করাতে সাহায্য করেছে আইভিএফ পদ্ধতির মাধ্যমে। সাধারণত মহিলাদের মধ্যে ৪০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যেই মোনোপস দেখা দিতে পারে, মোনোপসের অর্থ ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়া, যার গড় বয়স ৫১। তবে এই ইনফার্টিলিটি ক্লিনিক এই বয়সের পরেও মহিলাদের মা করে তুলতে সক্ষম হয়েছে।

২০০৮ সালে হিসারের এক বাসিন্দা রাজো দেবী হন মা, বয়স ছিল ৭০ বছর, হিসারের ইনফার্টিলিটি ক্লিনিকে তিনি আইভিএফ পদ্ধতির মাধ্যমেই মা হয়েছিলেন বেশ কয়েকবার চেষ্টা করার পর। এরপরেই ছড়িয়ে যেতে থাকে এই ক্লিনিকের নাম। বিজ্ঞাপন দেখেন দলজিন্দরও, সিদ্ধান্ত নেন এইভাবেই তিনি মা হতে চান, তবে এই পদ্ধতি বেশ খরচ সাপেক্ষ। তবে হার মানেননি দম্পতি। দলজিন্দর বলেন, “যখন আমরা (IVF) বিজ্ঞাপনটি দেখেছিলাম, তখন আমরা ভেবেছিলাম আমাদের এটি চেষ্টা করা উচিত কারণ আমি আমার সন্তানের জন্ম দেওয়ার জন্য খারাপভাবে অপেক্ষা করছিলাম”।

এসবের পরেই মা হতে সক্ষম হন দলজিন্দর, জন্ম দেন ফুটফুটে এক পুত্র সন্তানের। নাম রাখেন আরমান সিং, ওজন হয়েছিল ৩ পাউন্ড অর্থাৎ ১.৩ কেজির কাছাকাছি। স্তনদুগ্ধ খাওয়াতে পারেননি বেশিদিন দলজিন্দর, বয়ঃজনিত রোগ এবং হাইপ্রেসার দেখা গিয়েছিল তাঁর, তাই স্তনে দুধ তেমন জমত না। তবে এর জন্য বাচ্চার কোনো সমস্যা হয়নি, এখনো সুস্থ আছে আরমান।

Back to top button

Ad Blocker Detected!

Refresh