তিনি একা স্নান করতেই পারছেন না, স্নান করানোর লোকের বায়না জেলে বসেই করে চলেছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়

বছরের শেষটা ভালো যাচ্ছে না তৃণমূল কংগ্রেস দলের জন্য। একের পর এক দলনেতা গ্রেফতার হয়ে যাচ্ছে নিজেদের বিভিন্ন কুকর্মের জন্য। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীরও বর্তমান ঠিকানা জেল। বিলাসবহুল জীবন ছেড়ে রাতারাতি জেলের ঘানি টানতে হচ্ছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় কে। কেউ বলছে কর্মফল কেউ আবার বলছেন ভাগ্যের পরিহাস। বিলাসবহুল গাড়ি বাড়ি খাওয়া-দাওয়া এলাহী আয়োজন এখন সবকিছুই অতীত। কিন্তু এত সহজে তো পুরনো জীবনকে ভোলা যায় না। তাই জেলের মধ্যেই নানান রকমের আবদার করে
চলেছেন পার্থবাবু।
আমার প্রত্যেকেই জানি জেলে খাবার-দাবারের নিয়ম প্রত্যেকের জন্যই বরাদ্দ। জেলের ভেতরে সে সমস্ত খাবার রান্না হয়। সকালে রুটি বা পাউরুটি, দুপুরে মাছ ভাত অথবা মাংস ভাত এবং রাতে আবার রুটি। সপ্তাহে তিন দিন আমিষ খাবার। যেদিন মাছ হয় সেদিন মাছ থাকে দু পিস করে এবং মাংস থাকে চার পিস করে। কিন্তু পার্থর আবদার তাকে ৪ পিস মাছ এবং ৬পিস মাংস দিতে হবে। যদিও জেল কর্তৃপক্ষ থেকে সেই আবদার মেটানো হয়নি।
জেলের ভিতরে স্নানের ব্যবস্থাও প্রত্যেকের জন্যই এক। একটিই থাকে কমন বাথরুম সেখানেই প্রত্যেক বন্দিকে স্নান করতে হয়। গামলায় ভরা থেকে জল। প্রথম কদিন নিজেই সেই গামলা থেকে মগে করে জল নিয়ে স্নান করতেন। তবে ইদানিংকালে তার আবদার হয়েছে তার একজন লোক চাই স্নান করানোর জন্য। কারণ অতিরিক্ত স্থূলকায় হওয়ার কারণে তিনি একা একা স্নান করতে পারছেন না। যদিও এই আবদার টুকু ও রাখা হয়নি।
বিচার ব্যবস্থা নিয়ে প্রায়শই পার্থ চট্টোপাধ্যায় কে নিজের আইনজীবের সঙ্গে কথাবার্তা বলতে হয়। আর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি ফোনে কথা বলার সময় তার আশেপাশে যেন কেউ না থাকে। যদিও জেল থেকে পার্থবাবুর এই আপদারটুকু রাখা হয়েছে। তিনি যখন ফোনে কথা বলেন তখন তার আশেপাশে কেউ থাকেনা।