অভিনয়ে আসতে চাননি, শ্বশুর বাড়ির লোক জোর করে বাধ্য করে তাকে অভিনয় করতে! আজ বড় পর্দা ছেড়ে ছোট পর্দার ঠাম্মির রোল করে দাপিয়ে বেড়ানো অনুরাধা রায়ের জীবন কাহিনী শুনলে চমকে যাবেন!

বড় পর্দার জনপ্রিয় সু প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী অনুরাধা রায়। একটা সময় দাপিয়ে বড় পর্দায় কাজ করেছেন তিনি। রঞ্জিত মল্লিকের বিপরীতে করা তার চরিত্র মানেই ছবি হিট। ৩০-৩২ বছর টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে কাটিয়ে ফেললেন এই করেই। তবে সম্প্রতি বড় পর্দায় আর সেভাবে দেখা যায় না দাপুটে এই অভিনেত্রীকে, এখন ছোট পর্দা তে কাজ করেন অনুরাধা। বেশিরভাগ ধারাবাহিকে ঠাম্মির রোল করতে দেখা যায় তাকে।
তবে কীভাবে অভিনয় জগতে এসেছিলেন অভিনেত্রী? একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী একবার জানান, তিনি কখনো অভিনয় করতে চাননি কারণ তিনি ছিলেন ভীষণ লাজুক এবং মুখ চোরা প্রকৃতির মানুষ, জোর করেই তাকে এখানে আনা হয়েছে এবং বলা যেতে পারে তার অভিনয়ের ক্যারিয়ারে আসাটা তার পুরোপুরি অনিচ্ছাকৃত। তিনি ছোট থেকেই নাচ গান করতেন। তারপর থিয়েটারে যুক্ত হন একসময়।
প্রায় ২৫ বছর ধরে তিনি থিয়েটার করছেন। থিয়েটার করতে করতে তার যোগাযোগ হয় এবং ছবিতে কাজ করতে শুরু করেন তিনি তবে অভিনয় জগতে তার যাত্রা ভীষণ মসৃণ ছিল কারণ কারোর কাছে গিয়ে হাত পাততে হয়নি তাকে। এক রকম জোর করেই তাকে কাজে নেওয়া হয়েছিল। অনুরাধা রায়ের শ্বশুরমশাই এর সাথে ভীষণ আলাপ ছিল অজয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের। যিনি সত্যজিৎ রায়ের বেশ কিছু ছবিতে কাজ করেছিলেন তাই শ্বশুরের মাধ্যমেই এই প্রস্তাব গিয়েছিল অভিনেত্রীর কাছে।
তবে সিনেমা জগত সম্পর্কে একেবারেই ধারণা ছিল না অনুরাধা রায়ের। তাই কাজ করতে চান নি তিনি। খুব ভয় পাচ্ছিলেন এই কাজে আসতে। তার শ্বশুরবাড়ির লোক তাকে একপ্রকার জোর করে কাজ করবার জন্য। ছবি করতে গিয়ে একবার একটি কাজ পান তিনি যেখানে নায়িকা কে মেরে ফেলা হচ্ছে এবং তিনি প্রেতাত্মা হয়ে যাচ্ছেন তারপর। এই ছবির শুটিং করবার জন্য সকাল আটটা থেকে খোলা চুল রক্ত মাখা শরীরে বসে থাকতে হতো তাকে রাত এগারোটা পর্যন্ত এই কাজটি করতে গিয়ে তখন তার নিজের উপর প্রচন্ড রাগ হতো যে কেন তিনি হ্যাঁ বলেছিলেন এবং তার শ্বশুরবাড়ির যারা তাকে জোর করেছিলেন এই কাজটি করার জন্য তাদের প্রতিও রাগ হতো না। তবে অভিনয় করতে করতে এখন তিনি কাজটি ভালোবেসে ফেলেছেন।