পর্দার মতোই বাস্তবে অন্যায় সহ্য করতেন না রঞ্জিত মল্লিক! বেচাল দেখলেই কোমর থেকে বেল খুলে চাবকাতেন! মার খাওয়া সেই তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানালেন দীপঙ্কর দে
একটা সময় টলিউড(Tollywood) ইন্ডাস্ট্রির দাপুটে অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম হলেন রঞ্জিত মল্লিক(Ranjit Mallick)। তিনি যে কত ছবিতে আদর্শ দাদা, আদর্শ স্বামী আদর্শ পুলিশ অফিসারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তা গুণে বলা মুশকিল। দর্শকদের অত্যন্ত পছন্দের একজন অভিনেতার নাম রঞ্জিত মল্লিক। বর্তমানে বয়সের কারণে পর্দায় তেমনভাবে দেখা না পাওয়া গেলেও জনপ্রিয়তা কিন্তু আজও কমেনি। তারই কিছু উল্লেখ রইলো আপনাদের জন্য।
দর্শকদের একাংশের কাছে রঞ্জিত মল্লিক একটি অন্য নামে পরিচিত ‘বেল্ট ম্যান’ হিসেবে। কারণ তার এখন থেকে জনপ্রিয় একটি সংলাপ হলো ‘চাবকে পিঠের ছাল তুলে দেব’। এই সংলাপটা এখন অনেকেই টুকটাক মিম হিসেবে ব্যবহার করেন বটে। তবে তিনি নিজে একবার সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, বহু ছবিতে নিজের কোমরের বেল্ট খুলে ভিলেনদের শায়েস্তা করেছেন তিনি। সেখান থেকেই হয়তো বেল্ট ম্যান নাম এসেছে তার।
জি বাংলার পর্দায় জনপ্রিয় টকশো অপুর সংসারে(Apur Sangsar) এসে মুখ খুলে ছিলেন রঞ্জিত নিজেই। জানিয়েছিলেন তিনি নাকি শাস্তি দিতে খুব পছন্দ করেন। তার অভিনেতা চরিত্রগুলি ও সেই রকমই অন্যায়কে শায়েস্তা করে ন্যায়ের পাশে দাঁড়ানো। কিন্তু তাই বলে শুটিং করতে গিয়ে খল চরিত্রদের সত্যি সত্যি মেরে বসবেন অভিনেতা? এমনটা কি সম্ভব?
ওই একই টকশো’তে এসে দীপঙ্কর দে(Dipankar Dey) বলেছিলেন তিনি একবার রঞ্জিত মল্লিকের কাছে রীতিমতো মার খেয়েছিলেন। আসলে পরিচালক অ্যাকশন বলার আগেই নাকি রঞ্জিত নিজেই সবাইকে সাবধান করে গিয়ে দূরে বসতে বলেন। পাশাপাশি সতর্ক করে দিতেন খুব বেশি না এগোনোর কথা। কিন্তু একশন বললেই নাকি নিজের দশ বা এগিয়ে আসতেন রঞ্জিত এবং তারপর শুরু হত মার। স্বাভাবিকভাবে বর্ষিয়ান অভিনেতার মুখে এই কাহিনী শুনে প্রত্যেকে হাসতে শুরু করে দেন। এমনকি রঞ্জিত মল্লিক নিজেও বেশ উপভোগ করছিলেন।
পাশাপাশি মেনেও নিয়েছেন তার হাতে খল চরিত্রে অভিনয় করা অনেক অভিনেতাই মার খেয়েছেন। বর্ষীয়ান অভিনেতার কথায় তিনি সহজেই চরিত্র গুলির মধ্যে ঢুকে যেতেন আর সেই কারণেই এটা হত।
রঞ্জিত মল্লিক এমন একজন অভিনেতা যিনি নানা ধরনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন পার্শ্ব চরিত্র সবেতেই সমান সাফল্য এবং সমান জনপ্রিয়। সেই জন্যই এখন তিনি পর্দা থেকে দূরে থাকলেও জনপ্রিয়তা কমেনি, দর্শকদের মনেও রয়ে গিয়েছেন তিনি।
