‘আসল বিষধর সাপ আনিয়ে হয়েছিল শুটিং’, দিদি নাম্বার ওয়ান এর মঞ্চে এসে পুরনো কথা মনে করে নস্টালজিক হয়ে পড়লেন অভিনেত্রী চুমকি চৌধুরী
বাংলা চলচ্চিত্রে জগৎ থেকে উত্তম কুমার বিদায় নেওয়ার পরেই সিনেমা জগতে এসেছিল বিরাট বড় পরিবর্তন। নিঃসন্দেহে তখন থেকেই শুরু হয়েছিল টলিউড। তখন ছবি দুই ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছিল কমার্শিয়াল এবং আর্ট। আর্টকে অনেকে অন্য ধারার ফিল্ম বলে থাকেন। তবে বর্তমানে দুটি ধারা মিলেই তৈরি হয়েছে মেনস্ট্রিম। তারপর বিগত কয়েক দশক ধরেই কমার্শিয়াল ছবিতে আধিপত্য স্থাপন করেছিল অঞ্জন চৌধুরী।
তার হাত ধরে উঠে এসেছিল একাধিক অভিনেতা অভিনেত্রী। আর তাদের মধ্যে অন্যতম একজন হলেন পরিচালকের নিজের কন্যা চুমকি চৌধুরী। কয়েকদিন আগেই দিদি নাম্বার ওয়ান এর মঞ্চে এসে পুরনো দিনের কথা মনে করে নস্টালজিক হয়ে পড়েছিলেন অভিনেত্রী।
দিদি নাম্বার ওয়ান এর মঞ্চে ঐদিন রচনা ব্যানার্জিকেও নস্টালজিক হয়ে পড়তে দেখা যায়। সেই সময় সুবর্ণ জয়ন্তী, রজত জয়ন্তীর বোর্ড ঝুলত সিনেমা হলের বাইরে। কিন্তু বর্তমানে তা দেখা যায় না। এই কথা শুনে নিঃসন্দেহে চুমকি চৌধুরী চোখের সামনে পুরনো স্মৃতি ভেসে ওঠে সেটা তিনি স্বীকার করেন। চুমকি চৌধুরী যখন ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছিলেন তখন তিনি অনেক বড় বড় অভিনেতার সঙ্গে কাজ করেছেন। সেই সময় তার বয়স খুবই কম। তখন বড় বড় স্টারদের স্টারডম বুঝতে পারতেন না তিনি কিন্তু বর্তমানে পারেন।
এছাড়া অভিনেত্রী জানান তিনি কখনোই স্টার কিডদের মত বড় হননি। মধ্যবিত্ত পরিবারের একজন সন্তান যেভাবে বেড়ে ওঠে সেভাবেই তিনি বেড়ে উঠেছেন। বড় বড় অভিনেতারা বাড়িতে আসলে আত্মীয়র মতো আপ্যায়ন করা হতো। অভিনয়কে কখনোই পেশা হিসেবে ভাববেননি চুমকি চৌধুরী। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে যখন সকলেই তার অভিনয় পছন্দ করতে শুরু করেছিল তখন অভিনয়কে পেশা হিসেবে বেছে নেন।
বর্তমানে আমরা চুমকি চৌধুরীকে বিভিন্ন ধারাবাহিককে অভিনয় করতে দেখতে পাই। মা, শাশুড়ি, জেঠিমা, কাকিমার ভূমিকায় তিনি আজও সকলের মন জয় করে চলেছেন। তার অভিনয় আজও দর্শককে মুগ্ধ করে।