‘স্কুল জীবনে প্রেম করার মতন সামর্থ্য ছিল না’, স্কুল জীবনের পুরনো স্মৃতি হাতড়ে আজ আফশোষ ‘বিবাহিত’ অভিনেতা আবির চট্টোপাধ্যায় এর
বাংলার ক্রাশ হয়ে অনেক সময় তিনি বহু নারীর মন কেড়েছেন। আবার কখনো ব্যোমকেশ হয়ে বিভিন্ন রহস্যের সমাধান করেছেন। বুঝতেই পারছেন কার কথা বলছি, আপনাদের সকলের প্রিয় টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা আবীর চট্টোপাধ্যায়। নিজের অভিনয় দক্ষতার সঙ্গে ইতিমধ্যেই তিনি নিজের জনপ্রিয়তা ছড়িয়েছেন বহুদূর। তার অভিনয় একেবারে তাক লাগিয়ে দেওয়ার মতো। ওয়েবসিরিজ, সিনেমা এমনকি অ্যানকারিং এও এখন নিজেকে সাবলীল করে তুলেছেন অভিনেতা। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে আবীর চট্টোপাধ্যায় বহুকাঙ্খিত সিনেমা ‘আবার বছর কুড়ি পরে’। এই ছবিতে প্রথমবারের জন্য আবির চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুটি বাঁধছেন বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী অর্পিতা চ্যাটার্জি। এছাড়াও ছবিতে দেখা যাবে একাধিক টলিউড অভিনেতা অভিনেত্রী কে যেমন থাকছেন রুদ্রনীল ঘোষ, তনুশ্রী চক্রবর্তী সহ আরো অনেকে।
স্কুল জীবনের বন্ধুদের সঙ্গে কাটানো বিভিন্ন মুহূর্ত নস্টালজিয়া, সেই ফেলে আসা পুরনো দিনের কথা, রিইউনিয়ন এই সমস্ত গল্প নিয়েই তৈরি হচ্ছে আবার বছর কুড়ি পরে। পরিচালক শ্রীমন্ত সেনগুপ্তের পরিচালনাতে এই সিনেমা আরো সুন্দর করে তুলেছে বাংলার অভিনেতা অভিনেত্রীরা। ছবি প্রসঙ্গে পরিচালক বলেছেন, ”নিজের মতো করে নিরপেক্ষ জায়গায় দাঁড়িয়ে গল্পটি লেখার চেষ্টা করেছি। প্রায় তিন-চারবছর লাগল আমার চিত্রনাট্যটা লিখতে।”
View this post on Instagram
এই ছবির গল্প মূলত এখনকার সময়ের বন্ধুত্বের থেকে অনেক বেশি আলাদা। এখনকার মতো ভার্চুয়াল বন্ধুত্ব তখন ছিল না। তখন ছিল দেখা করা, রাগ, অভিমান, ঝগড়া সময় কাটানো মারামারি ভাব সমস্ত সূক্ষ্ম অনুভুতি। একে অপরকে চিঠি পাঠানো টেলিফোনে এপার থেকে ওপারে প্রিয় মানুষের সঙ্গে কথা বলা সমস্ত কিছুর মধ্যেই ছিল আলাদা রকম একটা অনুভূতি। অভিনেতা আবীর চট্টোপাধ্যায় বলেছেন যারা ৯০ দশকের ছেলেমেয়ে তারা বিশেষ করে এই সময়টা পেরিয়ে এসেছেন। তাই তারা এই ছবিটার সঙ্গে নিজেদের খুব ভালোভাবে রিলেট করতে পারবে। ছবি প্রসঙ্গে আবির বলেছেন “এটি একেবারেই আমাদের নিজস্ব গল্প নব্বই দশকের ছেলেমেয়েরা বিশেষ করে এই ছবিটির সঙ্গে নিজেদের সময়ের মিল খুঁজে পাবে।”
তাই ছবিটির শুটিং করতে গিয়ে নাকি প্রতিটা মুহূর্তে নিজের ছোটবেলা কেই খুঁজে পেয়েছেন আবির। নস্টালজিয়া তে ফিরে গিয়েছিলেন তিনি। স্কুল প্রেমের কথা উঠতেই আবির জানায় যে “সেই সময়ে স্কুলে পড়তাম সামর্থ্য ছিলনা, খুব একটা ইচ্ছে ছিল বললেও ভুল হবে।”