টলিউড

“জন্মদিনেও আমাকে কোনও উপহার দেয়নি কাঞ্চন” আক্ষেপ ঝড়ে পড়লো শ্রীময়ীর কণ্ঠে

গত ১০ জানুয়ারি ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে কাঞ্চন মল্লিক এবং তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায় এর। ডিভোর্স দেওয়ার পরেই চর্চিত প্রেমিকা শ্রীময়ী চট্টরাজকে আইনিভাবে বিয়ে করেন কাঞ্চন মল্লিক। তারিখটা ছিল ১৪ই ফেব্রুয়ারি।

বিয়ের জন্য প্রপোজাল দিয়ে রেজিস্ট্রি ম্যারেজ করে কার্যত সকলকে চমকে দিয়েছেন উত্তর পাড়ার তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক। শ্রীময়ী নাকি নিজেও জানতেন না এই বিয়ের বিষয়ে। তার কাছে পুরোটাই ছিল সারপ্রাইজ। কিন্তু কাঞ্চন হাঁটু মুড়ে প্রপোজ করতে তিনি আর না করেননি।

আরও পড়ুন : মনের কথাটা আবার জমে উঠেছে! পরাগ শিমুলের আবার বিয়ে পুতুলের নতুন সংসার বিপাশার জীবনের ঝড় সব নিয়ে জমজমাট!

প্রথম স্ত্রী অনিন্দিতা সঙ্গে সাত বছরের দাম্পত্য জীবন ভেঙে যায় কাঞ্চনের। এরপর তিনি বিয়ে করেন পিংকি বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দশ বছরের মাথায় ডিভোর্স হয়ে গেছে দুজনের। ঠিক তারপরেই শ্রীময়ী চট্টরাজকে বিয়ে করে তৃতীয় স্ত্রী হিসেবে বেছে নিয়েছেন কাঞ্চন।

আগামী ৬ই মার্চ সামাজিক মতে বিয়ে হবে দুজনের। তবে বেশিরভাগ লোকজন মনে করেন কাঞ্চনের সংসার ভেঙেছিলেন শ্রীময়ী। কারণ অভিনেত্রীর ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল বছর বয়সের আগে। একটি ধারাবাহিকে ক্যামিও চরিত্রে অভিনয় করতেন তিনি।

শ্রীময়ী আর কাঞ্চন নাকি একে অপরের বন্ধু ছিলেন সেই ধারাবাহিক থেকে। সেই চেনা জানা বন্ধুত্ব প্রেম আর তারপর বিয়ে। বর্তমানে স্বামী স্ত্রী হয়ে গিয়েছেন কাঞ্চন আর শ্রীময়ী। বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে প্রেম নিয়ে অনেক কথা শুনতে হয়েছে শ্রীময়ীকে। এক সন্তানের পিতার সাথে প্রেম করা নিয়ে বিতর্ক চলেছে তুমুল। শ্রীময়ী স্বয়ং এই নিয়ে কথা বললেন।

একটি ইউটিউব চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে শ্রীময়ী বলেছেন, “আমি কাঞ্চনের ‘মাল’, এমন কথা শুনতে হয়েছিল আমাকে। অনেকে বলেছিলেন, আমি সংসার ভাঙছি। এক পিতাকে ছিনিয়ে নিচ্ছি তাঁর সন্তানের থেকে।

স্বামীকে ছিনিয়ে নিচ্ছি তাঁর স্ত্রীর থেকে। বলা হয়েছিল, কাঞ্চন বিধায়ক বলে আমি তাঁর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছি। কাঞ্চন প্রতিষ্ঠিত বলে তাঁর পয়সা দেখে মেলামেশা করছি। কিন্তু বিশ্বাস করুন, আমাদের মধ্যে সে রকম সম্পর্ক কোনওদিনই ছিল না। হ্যাঁ, বন্ধুত্ব ছিল।

আরও পড়ুন : ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ার্স কম, তার ওপর ভিলেন চরিত্রে অভিনয়! কাজ পাচ্ছেন না অভিনেত্রী চাঁদনী সাহা

নির্ভরতার জায়গা তৈরি হয়েছিল। কাঞ্চন জানত, আমার কাঁধটা আছে তাঁর জন্য। যে কাঁধে কষ্ট পেলেই মাথা রেখে কাঁদতে পারে। আমাকে কোনওদিনও কাঞ্চন জন্মদিনে একটা উপহারও দেয়নি। এর কারণ, আমার সেই চাহিদা নেই। ভালবেসে আলিঙ্গন করলেও অনেকটা পাশে থাকা হয়। কিন্তু আমাকে শুনতে হয়েছে, আমি নাকি কাঞ্চনের পয়সা দেখে তাঁর সঙ্গে মেলামেশা করছি, তাঁকে সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করছি।”

একবার দুর্গাপুজোর সময় শ্রীময়ীর ঠাকুমা-ঠাকুরদাকে কাঞ্চন বলেছিলেন, “আমার জন্য এত বড় অপমান হয়েছে মেয়েটার। শ্রীময়ীয়ের সুনাম তৈরি করার দায়িত্বটাও আমারই। ডিভোর্স হয়ে গেলেই শ্রীময়ীকে আমি বিয়ে করব।” অবশেষে নিজের কথা রেখে শ্রীময়ীকে বিয়ে করেছেন কাঞ্চন।

Back to top button

Ad Blocker Detected!

Refresh