“বাব্বা! এত্ত ফেমাস আমি…নিজের স্ট্রাগল বেচবো না”, বন্ধুদের আনফলো করা নিয়ে কড়া জবাব সৌমিতৃষার
দেব অভিনীত প্রধান সিনেমা মুক্তির বহু আগে থেকে মুক্তির পর পর্যন্ত দারুন চর্চা চলছে চারিদিকে। সেই ছবিতে অন্যতম আকর্ষণ হলেন সৌমিতৃষা। কারণ তিনি এই সিনেমার মধ্য দিয়ে টলিউডের ডেবিউ করেছেন। দেবের হাত ধরে বড় পর্দায় পদার্পণ করেছেন তিনি। কিন্তু ছবি মুক্তির আগে থাকতেই বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন সৌমিতৃষা। একবার তিনি বলেছিলেন, “ছোট পর্দায় আমার মতো আর কেউ স্টার হতে পারবে কি না সন্দেহ”। এরপরেই তাকে অহংকারী বলতে শুরু করেন সকলে।
এই ঘটনার কিছুদিন যেতে না যেতেই এবার মিঠাই সহ-অভিনেত্রী তন্বী লাহা রায় রীতিমতো নাম করে আক্রমণ করে বসেন সৌমিতৃষাকে। কারণ ইনস্টাগ্রামে তাকে আনফলো করেছেন সৌমি। নায়িকার এহেনও আচরণে অবাক হয়ে গিয়েছেন তার ফ্যানেরাও। এক সংবাদ মাধ্যমের পক্ষ থেকে সৌমিতৃষাকে এই প্রশ্ন করা হলে তিনি কিছুটা উত্তর দেন।
View this post on Instagram
আসলে ত্বন্বী লাহা রায় একটি পোস্টে লেখেন, “প্রিয় অভিনেতা/ অভিনেত্রী যখন প্রয়োোজন ছিল ফলো করে রেখেছিলেন। এখন অনেক দূর পৌঁছে যাওয়ায় আনফলো করে দেওয়া… পোস্টে আন-কোলাব করে দেওয়া। আরও অনেক দূর পৌঁছোন…! জানি নিজের প্রোফাইল নিজের ইচ্ছে, তাহলে এত বছর ফলো করে রেখেছিলেন (কেন)? কোলাব করে রেখেছিলেন (কেন)? যার গায়ে লাগবে তার জন্যই পোস্টটা। তবুও চাইব আরও ভালো হোক, ভগবান মঙ্গল করুক”।
মিঠাই খ্যাত অভিনেত্রী সৌমিতৃষা এই প্রসঙ্গে এদিন বলেন, “সেটা নিয়ে নিউজ কী করে হল? আমরা তো আসা যাওয়ার পথে কত হোঁচট খাই, কত ফলো করি,কত আনফলো করি।
বাব্বা! এতো ফেমাস আমি, সত্যি বলছি আমি জানি না আমি এত ফেমাস। কোনদিন দেখব আমি কী খাচ্ছি সেটা নিয়েও নিউজ হয়ে গেছে! আমি তো নিজের স্ট্রাগল বেচবো না। বলব না আমি এই কষ্ট করেছি,ওই করেছি সেটা কোনওদিন বলব না। সবাই কষ্ট করেই এগোয়। আমিও তাই পেয়েছি। যারা কষ্ট করে এগোয়, তাঁদের জীবনে কখনও অহঙ্কার আসে না”।
প্রধান সিনেমাতে সৌমিতৃষাকে কম দেখানো নিয়েও কিন্তু অনেকে অনেক কথা বলছে। এই নিয়ে অভিনেত্রী বলেন, “বুঝতে হবে এটা লাভস্টোরি না ফ্যামিলি স্টোরি। যারা আমাকে ভালোবাসে তাঁরা তো বেশি সময় আমাকে দেখতে চাইবেই। সেটা আমার প্রাপ্তি। তবে এখানে (প্রধানে) সব দেখা যাবে।
এখানে রোম্যান্স রয়েছে, এখানে ইমোশন রয়েছে। ফাইট সিন য়েছে। রাজনীতি রয়েছে, সোশ্যাল মেসেজ রয়েছে। শেষে যে জিনিসগুলো রয়েছে, যখন ব্যালট পেপার চুরির ঘটনা রয়েছে। সেখানে আমি গিয়ে কী করব! সেখানে আমি গিয়ে কী বলব, চলো আমিও খুঁজছি। এইটুকুই বলব- আমি নিজের চরিত্র নিয়ে খুশি”।