বাংলা সিরিয়াল

বুড়ো বয়সে ছেলেমানুষীকেও হাসিমুখে মানে সবাই অথচ কোজাগরী ঢং করে লুকিয়ে যান!জল থৈ থৈ ভালোবাসার কোজাগরী চরিত্র নিয়ে কী বলছেন দর্শক!

বাংলা ধারাবাহিকে দুই ধরনের ট্রেন্ড ফলো করা হয়। এক ধরনের ট্রেন্ড আছে যেখানে দেখা যায়, নায়িকা চির দুঃখিনী, তার দুঃখের কোন শেষ নেই, বাপের বাড়িতে সে চির অবহেলিতা আর শ্বশুরবাড়িতে সে চির অত্যাচারিতা, সব সময় নির্যাতনের শিকার, তার জীবন যেন শুরু থেকেই স্ট্রাগলের, সব সময় তাকে অত্যাচারিত হতে হয়! বাংলা ধারাবাহিক মানেই হয় নায়িকা অনাথ, নয় মা মরা,বাবা তাড়ানো মেয়ে নায়িকা।

আর নয়তো ভাই ভাইয়ের বৌ এর সংসারে পরিচারিকার মতো পরে থাকে নায়িকা। এই নায়িকা যখন বিয়ে হয় শ্বশুর বাড়ি যায় তখন দেখা যায় সেখানেও তার পিছনে লাগার মত মানুষ উপস্থিত! যারা তার জীবনটা ঝালাপালা করে দেয়! এই অত্যাচারের মধ্যে থেকেও সর্বাংসহা নায়িকা মুখ বুজে কষ্ট সহ্য করে অথচ শ্বশুর বাড়ি ছেড়ে যাবার কথা সে ভুলেও ভাবে না।

আরও পড়ুন : হট লুকে পোজ দিতে ব্যস্ত মা সিরিয়ালের ‘ঝিলিক’ তিথি! পাশের রাখা ওটা কিসের প্যাকেট? চরম ট্রোল্ড তিথি

একদিকে দেখা যায় দিনের পর দিন অত্যাচার, লাঞ্ছনা,গঞ্জনা সহ্য করেও নায়িকা মুখ বুজে শ্বশুরবাড়ির মাটি কামড়ে পড়ে থাকে, শিক্ষিতা,অতি শিক্ষিতা, চাকুরীজীবী ও আধুনিক মননের অধিকারী বৌমাদের এই রুচি
অন্যদিকে দেখা যায়, স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক জল থৈথৈ ভালোবাসার নায়িকা কোজাগরী,মধ্যবয়স্ক এই নায়িকা,একটি সংসারের গৃহিণী , ছেলে মেয়ে নিয়ে তার ভরা সংসার।

আরও পড়ুন : জি বাংলার নতুন সিরিয়ালে আবারো ফিরছেন আদৃত? রইলো বড় আপডেট

তাকে সবাই খুব ভালোবাসে, বাবার বাড়ির লোক থেকে শুরু করে শ্বশুরবাড়ির লোক সবাই খুব ভালোবাসে, কিন্তু কোজাগরীর কোনো কথায় খারাপ লাগলেই সে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে যায়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“আরেকটা আছেন কোজাগরী কাকিমা। স্বামী, সন্তান, শাশুড়ীসহ পাড়া-পড়শীরা বুড়ো বয়সেও ছেলে মানুষিকে হাসিমুখে মেনে নেয়। সবাই কত্ত ভালবাসে। আর উনি ঢং করে লুকিয়ে যান কেউ তাকে গুরুত্ব দেয়না বলে।”

Back to top button

Ad Blocker Detected!

Refresh