“আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী” ড্রাইভার-নিরাপত্তারক্ষী-সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ প্রসঙ্গে শেষমেষ ক্ষমা চাইলেন কাঞ্চন মল্লিক
গত ৬ মার্চ ছিল কাঞ্চন মল্লিক-শ্রীময়ী চট্টরাজের বিয়ের রিসেপশন। এমনিতেই দুজনের বিয়ের খবর সামনে আসার পর থেকেই সরগরম নেটপাড়া। এবার সেই আগুনে ঘি ঢালার কাজ করলো, রিসেপশনের ভেন্যুতে আটকানো থাকা ফ্লাকার্ড। সাংবাদিক ড্রাইভার এবং নিরাপত্তা রক্ষীদের ভেন্যুতে ঢোকার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা ছিল।
প্রবেশদ্বারের প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল “Please! Press And Personal Securities And Drivers Are Not Allowed. Inconvenience Is Regretted”, যার বাংলা তরজমা করলে দাঁড়ায়, “প্লিজ়! সংবাদমাধ্যম, ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী এবং গাড়ির চালকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ…।” প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের নিরাপত্তারক্ষী রাম সিং থেকে শুরু করে টলি পাড়ার অভিনেতা অভিনেত্রীরা।
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় নিরাপত্তারক্ষী রাম সিং জানান, “কুকুর-বিড়ালের পর্যায়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে আমাদের।” কাঞ্চন শ্রীময়ীর রিসেপশনের ওই প্লাকার্ড দেখে অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র মনে করেছেন সেই ব্রিটিশ আমলের কথা।
যখন কিনা ব্রিটিশ নির্মিত ক্লাবের বাইরে লেখা থাকতো, ‘INDIANS AND DOGS ARE NOT ALLOWED’ অর্থাৎ ভারতীয় এবং কুকুরের প্রবেশ নিষিদ্ধ। অবশেষে এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন কাঞ্চন মল্লিক।
এদিন অভিনেতা জানিয়েছেন,”আমি কেন টার্গেট হয়েছি, জানি না। আপনারা সকলেই দেখেছেন আমার রিসেপশনের কার্ড। সেখানে কোত্থাও, কোনও জায়গায়, কোনওভাবে লেখা নেই প্রেস, ড্রাইভার, কিংবা নিরাপত্তারক্ষীরা আসতে পারবেন না। এটা আমার শিক্ষা, সহবতে লিখতেই পারি না।
আপনি হয়তো জানেন, ভেন্যুর একটা ডেকোরাম থাকে। যেখানে ২০০ লোকের জায়গা হয়, সেখানে তো আমি ৪০০ লোককে জায়গা দিতে পারি না।”
এখানেই শেষ নয়। অভিনেতা আরো যোগ করেন, “খেয়াল করে দেখুন, সেলিব্রিটি এবং রাজনীতিকরা এলে তাঁদের সঙ্গে অনেক বাউন্সার এবং আরও অনেকে আসেন। তাতে তিনটে কথা বলে ঢোকা ভীষণ সহজ: ‘আমি প্রেস (অর্থাৎ সংবাদমাধ্যম)’, ‘আমি ড্রাইভার’, ‘আমি নিরাপত্তারক্ষী’। ভেন্যুতে আমরা বলেছিলাম, আপনারা দয়া করে বলবেন, যাঁরা-যাঁরা আসছেন আমন্ত্রিতদের সঙ্গে, তাঁরা ফার্স্ট ফ্লোরে অপেক্ষা করবেন, বাকিরা উঠে আসবেন।
গেস্ট লিস্টেরও ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল ভেন্যুতে। এবং তাঁরা (এক্ষেত্রে ভেন্যু কর্তৃপক্ষ) সেটা বুঝে কী লিখেছেন, আমি জানিই না। আমি ব্যক্তিগতভাবে কাউকে অপমান করিনি অনুষ্ঠানে। কেউ বলতে পারবেন না দূর-দূর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এবার যদি কেউ সেটাকে খুঁচিয়ে-খুঁচিয়ে অন্য মানে তৈরি করেন, কিছুই তো করতে পারব না।
আমার কাছে কেয়ার গিভার মানুষ, ড্রাইভার মানুষ, পাইলট মানুষ, নিরাপত্তারক্ষীরা মানুষ, আমার কাছে মিডিয়ার লোকেরাও মানুষ। আমি তাঁদের নিজে থেকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে একেবারেই অপমান করতে চাইনি। এই সমস্ত কিছুতে আমার কোনও দায় নেই। আমি কিচ্ছু লিখতে বলিনি। তা-ও বলছি, তাতে যদি কারও খারাপ লেগে থাকে, আমি তাঁদের কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। ভেন্যুর তরফে কাজটা করা হয়েছে। সকাল থেকে সেই নিয়ে আমার সঙ্গে বাকবিতণ্ডা চলছে…”।