“বর তো খারাপ হয়। করব না আমি শিবরাত্রি”,মাকে এমন বলা সৌমিতৃষা আজ কেনো শিবরাত্রি করেন? জানলে অবাক হবেন।
সৌমিতৃষা ভীষণ কৃষ্ণভক্ত। একজন অভিনেত্রী হওয়া সত্ত্বেও ভীষণ ব্যস্ত থাকা সত্ত্বেও পূজার জন্য ঠিকই সময় বের করে নেন তিনি। ছোট থেকেই অভিনেত্রী কৃষ্ণ ভক্ত। নিজের জন্মদিন কাটিয়েছেন বৃন্দাবনে।
এবার আসছে শিবরাত্রি। শিবরাত্রির দিন উপবাস রাখবেন কি সৌমিতৃষা? নিজেই জানালেন সেই কথা। ছোট পর্দা দিয়ে অভিনয় জগতে এসেছিলেন তিনি। মিঠাই চরিত্রে অভিনয় করে জনগণের মনে জায়গা করেও নিয়েছেন। এখন তিনি দেবের নায়িকা।
সৌমিত্রিকা এমন একজন মানুষ যিনি কিনা, ইন্ডাস্ট্রির পার্টি থেকে শুরু করে যেকোনো গেট টুগেদারে উপস্থিত থাকেন। ঠিক একইভাবে পুজো অর্চনাতেও মন রয়েছে তার। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের টানে বারবার বৃন্দাবনে পৌঁছে যান তিনি।
তবে এক সময় শিব ঠাকুর কে নিয়ে মনে ভয় ছিল সৌমিতৃষার। কেন জানেন? শুক্রবার ৮ মার্চ শিবরাত্রি। তার আগের দিনেই শিবরাত্রি নিয়ে ছোটবেলার গল্প বললেন অভিনেত্রী।
সৌমিতৃষা জানান, ”আমার একজন পরিচিত ছিলেন, তিনি ভীষণ ভক্তি করে শিবপুজো করতেন। কিন্তু তাঁর বরটা খুব খারাপ। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছোট থেকেই আমার মনে তাই এক অদ্ভুত ভয়। যখন আমার জ্ঞান হয়, বোধ আসে, আমি মাকে বলা শুরু করি, ‘না-না মা, বর তো খারাপ হয়। করব না আমি শিবরাত্রি।’
তবে সেই পর্ব এখন মিটে গিয়েছে। শেষ তিন বছর ধরে আমি শিবরাত্রি পালন করি। কারণ আমি স্বপ্ন দেখেছিলাম। সত্যি বলছি, অনেকে হয়তো বিশ্বাস করবেন না, আমি এমনটাই দেখেছিলাম যে আমি শিবের সঙ্গে কথা বলছি। তারপরই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, আমি শিবরাত্রি পালন করব।”
সৌমিতৃষা আরোও বলেন, ”আমি সত্যিই ঈশ্বরে বিশ্বাসী। আপনি যদি ধামগুলোয় যান, দেখবেন, জীবনটা অন্যরকম লাগে। বৃন্দাবনে যাওয়ার জন্য তো আমি কেঁদেই ফেলি। কোনও দিন সম্ভব হলে আমি ওখানেই নিজের বাড়ি কিনব। ওখানেই থাকব।”
ট্রেন্ড আর লাইমলাইটে আসার জন্য কী পুজো অর্চনা, ভক্তি, ঠাকুর ঘর থেকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে এই প্রজন্মকে ? অভিনেত্রী জানান, ”একেবারেই না। এটা তো ব্যক্তিগত বিষয়। যাঁর করার, সে ঠিকই সময় করে নিয়ে করবে। যার করার নয়, সে সুযোগ পেলেও করবে না। সবটাই তো বিশ্বাস। এখনকার জেনারেশনের মধ্য়ে কিন্তু এই পুজো বিষয়টা ভীষণভাবে রয়েছে।
তবে একটা প্রশ্ন রয়েছে আমার মনে, রিলস, ছবি তো জীবনে থাকবেই, কিন্তু একটা জিনিস মাথায় রাখা উচিত, ওই রিলস, ছবিটার মধ্যে যেন হারিয়ে না যায় ভক্তিটা। আমি রিলস করব, ছবিও তুলব। তবে সেগুলো পরে, আগে আমি পুজোয় মন দেব। তারপর আমি সব করলাম। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলাম, স্মৃতির জন্য ভাল-ভাল ছবি তুলে রাখলাম। এগুলো তো খারাপ কিছু নয়। ভুল নয়। তবে একশ্রেণির ভক্তিটা নিয়ে আমার মাঝেমধ্যে প্রশ্ন আসে। ওখানে ফাঁকি দিলে চলবে না। এটা আমি খুব মানি।”