ব্রিটিশকালে কুকুরদের যেমন নট অ্যালাউড লেখা হতো তেমনটাই যেন কাঞ্চন শ্রীময়ীর ইনভিটেশন কার্ডে!-বললেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র!
তিনি বরাবরই স্পষ্ট বক্তা, উচিত কথা বলে অনেক সময় অনেকের কাছে অপ্রিয় হয়ে ওঠেন। তবে তাই বলে উচিত কথা বলার মানুষটি কিভাবেই বা স্পষ্ট কথা বলতে ছাড়বেন! যতই তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা বলুক বিতর্কিত বিষয় এড়িয়ে যেতে তিনি এড়িয়ে যেতে পারেন না! হয়তো এই কারণেই তিনি সবার থেকে আলাদা, হ্যাঁ জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রের কথা বলছি।
সম্প্রতি তিনি একটি পোস্ট করেছেন যেখানে তিনি আবারও একটি বিতর্কিত বিষয় নিয়ে নিজের মতামত জ্ঞাপন করেছেন। কাঞ্চন শ্রীময়ীর বিয়ের রিসেপশন পার্টিতে লেখা ইনভিটেশন কার্ড এ যেভাবে প্রেস এবং পারসোনাল সিকিউরিটি এবং ড্রাইভারদের নট অ্যালাউড লেখা হয়েছে সেই লেখা দেখে তার মনে পড়েছে ব্রিটিশ যুগে একটি লেখার কথা। অভিনেত্রী নিজের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে সেই কথা জানাতে ভোলেন নি।
আরও পড়ুন : “ওকে পেয়ে আমি সুখী…” তৃতীয় স্ত্রী শ্রীময়ীকে দরাজ সার্টিফিকেট কাঞ্চনের!
শ্রীলেখা মিত্র একটি পোস্ট করে লিখেছেন আমায় যে গুটি কয়েক মানুষ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে পছন্দ করেন তারা বহুবার আমায় আমার ভালোর জন্য সো কল্ড কন্ট্রোভার্সিয়াল সাবজেক্ট এড়িয়ে যেতে বলেছেন অর্থাৎ যা হচ্ছে হোক অন্যদের ন্যায় তুমিও ইগনোর করো,টাইপস, কি দরকার, যা হচ্ছে হতে দাও।
চেষ্টা যে করি না তা নয়, কিন্তু কিছু বিষয়ে এড়াতে চাইলেও এড়িয়ে যাওয়া যায় না। এনাদের বিয়ে নিয়ে আমার বলার কিছু নেই। তবে আনুষাঙ্গিক বিষয় নিয়ে অবশ্যই আছে। বেশ কদিন যাবত নিউজ মিডিয়া এবং পাবলিক বাই এন লার্জ দুটি বিয়ে নিয়ে মাত্রাতিরিক্ত উৎসাহ দেখিয়েছিলেন তারা এবং আপনারা ছবি নয় ছবির তলায় যে লেখা আছে পড়ুন।
শুনেছি ব্রিটিশ শাসন চলাকালীন বিভিন্ন ক্লাবে লেখা থাকতো ইন্ডিয়ান এন্ড ডগস আর নট অ্যালাউড। আমার এটা দেখে খানিক তাই লাগলো। বাকি আপনাদের অভিমত। মিডিয়া আবার নেক্সট কারোর বিয়ের জন্য ততক্ষণ ধৈর্য ধরে থাকুন। পরিশেষে একটাই কথা বলব ক্লাস ম্যাটারস”
এই কথাটি বলবার পর শ্রীলেখা মিত্র কাঞ্চন এবং শ্রীময়ীর রিসেপশন পার্টির ইনভিটেশন কার্ড এর ছবি দিয়েছেন, যেখানে স্পষ্ট লেখা আছে যে, “please press and personal securities and drivers are not allowed”- অর্থাৎ অভিনেত্রী তার বক্তব্যের সাপেক্ষে ইনভিটেশন কার্ডের ছবি দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন ভাষার মধ্য দিয়ে কাঞ্চন এবং শ্রীময়ী কীভাবে একটা সম্প্রদায়কে অপমান করেছেন।