‘লজ্জাতে মাথা কাটা যাচ্ছে’! খোঁজ শহর কলকাতার বুকে পণ চেয়ে বসেছে দেবলীনার ‘অত্যন্ত পরিচিত’ পরিবার? না লুকিয়ে এই কুপ্রথার বিরুদ্ধে সোচ্চার অভিনেত্রী

সময় এগোচ্ছে তার সঙ্গে সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগোচ্ছে সমাজ। কিন্তু মানুষের মানসিকতা? তার কি বদল ঘটছে আদৌ? হয়তো কিছু ক্ষেত্রে। বা হয়তো একেবারেই নয়। আজও সমাজের আনাচে কানাচে বেচে রয়েছে এক কু প্রথা পণপ্রথা(Dowry)! আজ্ঞে হ্যাঁ। যতই আমরা গলা ফাটাই না কেন আজও এই শহরে মেয়েরা কাঁদে পণের দায়ে। এবার তার বিরুদ্ধেই মুখ খুললেন অভিনেত্রী দেবলীনা কুমার(Devlina Kumar)।
মুখ খুললেন বলা ভুল বলা ভালো সোচ্চার হলেন। সোমবার সমাজমাধ্যমে একটি লেখা লিখেছেন দেবলীনা। তার পোস্ট থেকে জানা গিয়েছে স্বচ্ছল এক পরিবারে এখনো পণ নেওয়ার চলন রয়েছে। বরপক্ষের পরিবারকে আড়ালে রেখে দেবলীনা ফেসবুকে(Facebook) লিখেছেন,’ আজকে শুনলাম আমার একজন চেনা ছেলে নাকি বিয়ের জন্য পণ চেয়েছে। আজ্ঞে হ্যাঁ। এই খোদ কলকাতাতে। লজ্জায় মাথা কাটা যাচ্ছে তোমাদের চিনি বলে। ভবিষ্যতে কোন ইভেন্টে ডেকো না জাস্ট যাব না’।
তবে তাদের নাম না বললেও এটুকু বুঝিয়ে দিয়েছেন শহর কলকাতার অত্যন্ত জনপ্রিয় কোনো পরিবারের সন্তান সে। এই প্রসঙ্গে আনন্দবাজার দেবলীনা কুমারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান তারা অভিনেত্রীর পরিচিত। এবং ঘটনাটা ভীষণভাবে আঘাত দিয়েছে তাকে যে চারপাশে শিক্ষিত পরিবারে এরকম ঘটনা ঘটছে। যদিও পাত্রের নাম খোলসা করে জানাননি। শুধু এটুকু বলেছেন ইন্ডাস্ট্রির কেউ নন।
অভিনেত্রীর কথা থেকেই জানা গিয়েছে প্রায় দু বছর সম্পর্কে থাকার পর তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু পণের কথা উঠতে মেয়েটি বিয়ে ভেঙে দিয়েছে। পাশাপাশি জানা গিয়েছে ছেলেটির দাদা এক সময় পণ নিয়ে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু এবারে মেয়েটির প্রতিবাদ দেখে ভালো লেগেছে অভিনেত্রীর।
সমাজের বিভিন্ন স্তরে এখনো পণপ্রথার মত কু প্রথা প্রচলিত রয়েছে। একজন মহিলা হিসেবে দেবলীনা জানিয়েছেন,’ মুখ খুলতে হবে। অন্যায়ের প্রতিবাদ করবেন। আমি হলে তো পুলিশে অভিযোগ করতাম’।এই মুহূর্তে সাহেবের চিঠির শুটিং শেষ করে চুপচাপ চার্লি নাটক নিয়ে ব্যস্ত অভিনেত্রী।