বর্তমানে সিনেমা হলগুলো মাতিয়ে আছে জীতু কামাল। জিতুর অভিনীত অপরাজিত ছবি অবশেষে মুক্তি পেয়েছে গত ১৩ই মে। সকলের পরিশ্রম এতদিনে সফল হয়েছে। সিনেমা হল গুলোতে উপচে পড়া ভিড় হচ্ছে এই ছবি দেখার জন্য। সত্যজিৎ রায়ের পথের পাঁচালী শুটিং অবলম্বনে তৈরি হয়েছেন পরিচালক অনীক দত্তের এই ছবি অপরাজিত। নন্দনে এই ছবি প্রকাশিত না হলেও আটকে রাখা গেলো না জিতু কে কলকাতার বাকি মাল্টিপ্লেক্সগুলোতে এখন উপচে পড়া ভিড় জিতুর ছবির জন্য।
প্রথমে নন্দনে জায়গা না পাওয়ার কারণে পরিচালক বেশ ভেঙে পড়েছিলেন। নিজের রাগ ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। এবং বাকি মাল্টিপ্লেক্সগুলোতে ও খুব কম স্ক্রীন পেয়েছিল এই ছবি কিন্তু দর্শকদের উপচে পড়া ভিড়ের জন্য দিনে দিনে স্ক্রিনের সংখ্যা বাড়াতে হচ্ছে প্রত্যেক হলে। একের পর এক মাল্টিপ্লেক্সের জায়গা পাচ্ছে অপরাজিত আর এইদিকে খুশির খবর ভাগ করে নিচ্ছে জিতু নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় একাউন্ট থেকে। শুধুমাত্র কলকাতা নয় মুম্বাইতেই ছবি হাউসফুল যাচ্ছে প্রতিটি হলে। মুম্বাইয়ের জুহু একটি মাল্টিপ্লেক্সের ছবি শেয়ার করে সেই বার্তাই দিয়েছেন জিতু।
সত্যজিৎ রায়ের ১০১ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মুম্বইয়ে ‘অপরাজিত’ ছবির স্পেশ্যাল স্ক্রিনিংয়ের বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। সেখানে প্রবাদপ্রতিম পরিচালক শ্যাম বেনেগালের থেকে এই ছবির জন্য প্রশংসা পেয়েছিলেন জিতু। ভূয়সী প্রশংসা করেছেন সন্দীপ রায়ও। এছাড়াও রয়েছে আরও একটি সুখবর দক্ষিণী ব্লকবাস্টার ছবি কেজিএফ চ্যাপটার টু কে ছাপিয়ে গিয়েছে বাংলার অপরাজিত। দুটি ছবির IMDb রেটিংয়ের মধ্যে বিশাল ফারাক। অপরাজিতর IMDb রেটিং এই মুহূর্তে ৯.৩। অন্যদিকে কেজিএফ চ্যাপ্টার ২ এর রেটিং এখন ৮.৯।
বর্তমানে দক্ষিণী ছবি নিয়ে যা মাতামাতির সেই ক্ষেত্রে বাংলা ছবির এই সাফল্য সত্যি বাংলার জন্য গৌরবের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে টলিউডের প্রথম সারির একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রীরা এই ছবি নিয়ে কোনো রকম কোনো উচ্চবাচ্য করেনি এমনকি এই ছবি নিয়ে কোনোরকম কোন প্রচার করেনি তারা।