সায়ন্তর সঙ্গে বিচ্ছেদ ভুলে নতুন প্রেমিক পেলেন প্রিয়াঙ্কা! প্রেমিকের পর্দা ফাঁস করলো দাদা
সায়ন্ত মোদক আর প্রিয়াঙ্কা মিত্র, খড়কুটো ধারাবাহিকে অভিনয় করতে গিয়ে একে অপরের প্রেমে পড়েছিলেন। তবে সেই প্রেম বেশি দূর গড়ায়নি। কয়েক মাসের মধ্যেই ভেঙে যায় সম্পর্ক।
২০২৩ সালের মার্চ মাসে দুজনের বিচ্ছেদ হয়ে যায় বলে জানা যায়। প্রেম ভাঙার এক বছরের মাথায় অর্থাৎ এই এপ্রিলে দিদি নম্বর ওয়ানে এসে সম্পর্ক ভঙ্গের বিষয়ে সীলমোহর দেন প্রিয়াঙ্কা। অবশেষে দিদি নাম্বার ওয়ান এর মঞ্চে এই প্রিয়াঙ্কার নতুন প্রেমিকের খোঁজ মিলল।
প্রিয়াঙ্কার দাদা একজন ফ্যাশন ফটোগ্রাফার। তার একটি স্টুডিও রয়েছে। বোনই ছিল তার প্রথম মডেল। ছোট থেকেই বেশ বকাঝকা খেতেন শুভঙ্কর। বোনের জন্য ঝগড়াও করেছেন অনেক সময়।
আরও পড়ুন : মাইল্ড স্ট্রোক নন্দিনী দির! দীর্ঘদিন আসেননি হোটেলে, এখন কেমন আছেন স্মার্ট দিদি?
তবে বন্ধুত্ব এদিক থেকে দেখতে গেলে একে অপরের খুব ভালো বন্ধু প্রিয়াঙ্কা আর শুভঙ্কর। একে অপরের কাছে কোনো সিক্রেট রাখেন না। তাই বোনের নতুন প্রেম বা প্রেমিকের সম্পর্কেও কিছুই অজানা নয় শুভঙ্করের কাছে।
টেলিভিশনে নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করা প্রিয়াঙ্কাকে রচনা জিজ্ঞাসা করেন,”এখন গুণ্ডাগিরিটা কার উপর করছ?” তাতে প্রিয়াঙ্কার দাদা শুভঙ্করই জবাব দিয়ে বলেন, “আছে ওই একমাত্র…”।
পাঁচ থেকে সামাল দিয়ে প্রিয়াঙ্কা বলে ওঠেন,” ‘দাদা। সবকিছু দাদা…”। এরপর রচনা বলেন, “দাদা ব্যস্ত মানুষ। দাদার উপর গুণ্ডাগিরি সম্ভব নয়। সে কি আমাদের ইন্ডাস্ট্রির মানুষ?” তাতে অবশ্য সহমত পোষণ করেন প্রিয়াঙ্কা। তার মা বাবাও সবটা জানে। সব ঠিকঠাক হয়ে গেলে একসঙ্গে দিদি নাম্বার ওয়ানে আসবেন বলেও কথা দেন।
রচনা এদিন প্রিয়াঙ্কার কাছ থেকে জানতে চান, “বাবা-মার ভালো লেগেছে তো?” শুভঙ্কর জবাব দিয়ে বলেন,”অবশেষে”! ইতিপূর্বে দিদি নাম্বার ওয়ান এর মঞ্চে এসে সায়ন্তর ব্যাপারে প্রশ্ন করতে প্রিয়াঙ্কা উত্তর দিয়েছিলেন,”এবার একটা সুস্থ প্রেম করতে চাই”।
আরও পড়ুন : “কোনওদিন ভাবিনি এইভাবে নিজেকে…!” লাল বেনারসি-সিঁথি ভর্তি সিঁদুর, ভয়ংকর কিন্নর রূপে কৌশিক
তিনি আরো বলেছিলেন, “এর আগে একজন ছিল যে দু মিনিট পরপর ফোন করে জানতে চাইত বাবু খেয়েছো, বাবু কী করছো। এরপর আরেকটা প্রেম করলাম সে আবার গায়েব হয়ে যায় দিনের পর দিন। জানিই না কোথায় আছে। কী করছে। আমি ফোন করছি পাত্তা নেই। এবার ঠিক করেছি যদি প্রেম করি, বিয়ে করি তাহলে সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষের সঙ্গে করব।”