মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই ছাড়ে না! আর আমি তো নগন্য!*তার মনমুগ্ধকর হাসি নিয়েও ট্রোল হচ্ছে উত্তরে কি বললেন রচনা?
![](https://www.kolkatajournal.com/wp-content/uploads/2024/04/Rachana-BanerjeeMamata-BanerjeeCMWest-Bengal.jpg)
২০২৪ এর লোকসভা ভোটে দাঁড়িয়েছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় আর এই ভোটে দাঁড়ানোর পর থেকেই প্রচারে বলা প্রত্যেকটা কথাই তার হয়ে গেছে মিম। অনেক সময় তার বলা অনেক কথা নিয়েই শুরু হয়েছে মারাত্মক ট্রোলিং।
দিদি নাম্বার ওয়ানের সঞ্চালিকা হিসেবে এবং দীর্ঘদিনের অভিনয় জীবনের জন্য একসময় তার যে যে বিষয়গুলো প্রশংসিত হতো, আজ রাজনীতির ময়দানে এসে তার সেই বিষয়গুলো নিয়েই শুরু হয়েছে সমালোচনা। একদিন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে হাসি নিয়ে মানুষ প্রশংসা করতো, আজ ভোটের প্রচারের জন্য সাংবাদিকদের বলা কথার পরিপ্রেক্ষিতে হাসতে গিয়ে সেই কারণেই তাকে ট্রোল হতে হচ্ছে।
রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি প্রচারে গিয়ে কারখানার ধোঁয়া দেখে মন্তব্য করলে সেই নিয়ে তুমুল সমালোচনা শুরু হয়। আবার হুগলি র একটি জায়গাকার দই খেয়ে সেখানকার দুধের প্রশংসা করতে গেলে তার সেই বক্তব্যকে গিয়ে সবাই মিলে গরুর রচনা বলতে থাকেন।
গরমে কি খাবেন তার প্রশ্নের উত্তরে দই বলে একটু হাসলে সেই হাসি নিয়েও শুরু হয় তুমুল কটাক্ষ। এইবার এই সমস্ত কিছুর উত্তরে মুখ খুললেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। এর আগে তিনি অবশ্য বলেছিলেন কারা কারা ট্রোল করছেন কারা কারা মিম করছেন সব তিনি নজরে রাখছেন রেজাল্টের পর তিনি উত্তর দেবেন।
তবে এইবার ভোট প্রচারের ফাঁকে তিনি বললেন,
“আগে আমার হাসিটা ছিল দারুণ, আর এখন আমার হাসিটা শুনে লোকে বলছে পাগল।” একই সাথে অভিনেত্রী মনে করেন তাকে মিম বানিয়ে বা তাকে ট্রোল করে যদি সমাজ মাধ্যমে কিছু মানুষ রোজগার করেন তাহলে তিনি খুশি হবেন।
রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাতে,“আমি সমস্তকিছু বেশ পজিটিভ ভাবেই দেখি। এই মিম করাকেও সেই হিসেবে দেখছি। নেগেটিভ কিছুই দেখি না। যারা এসব মিম বানান তাঁদেরও তো লাইক দরকার, সাবস্ক্রাইবার দরকার। এটাই তাঁদের রুজি রোজগার। তাই আমি সাপোর্টই করি।”
আবার তাকে নিয়ে ট্রোল করা হয় এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ তুলে বলেন,“এরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই ছাড়ে না। আর আমি তো নগন্য।”