‘ইংরেজি বুঝিস না, তোদের চাকরি যাক’!ফের এয়ারপোর্টে মেজাজ হারালেন অমিতাভ ঘরণী জয়া বচ্চন! রীতিমতো শাপ-শাপান্ত করলেন মিডিয়াকে!
জয়া বচ্চনের(Jaya Bachchan) সঙ্গে মিডিয়ার(Media) সম্পর্কটা কোনদিনই খুব একটা ভালো নয়। যখনই সামনাসামনি হয় তখনই চিত্র সাংবাদিকদের ওপর উল্টোপাল্টা কিছু মন্তব্য করে বসেন তিনি। মাসখানেক আগে যেমন তাদেরকে দেখে বলেছিলেন ‘মাটিতে আছার খেয়ে পরুক’। এবার সম্প্রতি আর এক বিরূপ মন্তব্য করে বসলেন তিনি।
এয়ারপোর্টে পাপ্পা রাজিদের দেখা মাত্রই তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠেন তিনি। খিটখিট করে বলতে শুরু করলেন ‘তোদের চাকরি যাওয়াই ভালো’। বাংলার এই মেয়ে দুচোখে সহ্য করতে পারেনা সংবাদ মাধ্যমকে। ক্যামেরা দেখলেই মেজাজ হারাম তিনি। এয়ারপোর্টে যাওয়ার পথে মেজাজ হারিয়ে তিনি বলেন,’ আমার ছবি তুলবেন না’। কিন্তু কথায় কাজ না হওয়ায় রীতিমতো ক্যামেরা বন্ধ করতে নিজেই তেড়ে-ফুরে আসেন জয়া।
মঙ্গলবার ইন্দোর এয়ারপোর্টে ঘটেছে এই ঘটনা। স্বামী অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে ইন্দোর পৌঁছেছিলেন তিনি। যেখানে ক্যামেরা দেখে মেজাজ হারিয়ে এগিয়ে এসে বলতে শুরু করেন,’ আমার ছবি তুলবেন না। কি হলোটা কি তোমরা ইংরেজি বোঝোনা’? এরপরে সিকিউরিটির দায়িত্বে থাকা লোকেদের ইশারা করে বুঝিয়ে দেন ছবি তুলতে নিষেধ করার জন্য। তারপর গট গট করে। তার সঙ্গে বলেন,’ এইসব লোকজনকে এক্ষুনি কাজ থেকে বের করে দেওয়া উচিত।’ তবে জয়ার পাশে ছিলেন অমিতাভ বচ্চন। তিনি কোনো রকম মন্তব্য করেননি।
স্বাভাবিকভাবেই ভিডিও ভাইরাল(Viral Video) হতে খুব একটা বেশি সময় নেয়নি। তখনই নেটপাড়া বেজায় চটে গিয়েছেন জয়ের উপর। কেউ কেউ আবার মজা লুটছেন। একজনের বক্তব্য,’ সত্যিই ভগবান জানে কিভাবে অমিতাভ জি বউয়ের এমন মেজাজ সহ্য করেন’। একজন নেটিজেন লেখেন,’ এ আবার কি এভাবে কারো চাকরি চলে যাক বলে নাকি অসভ্য কোথাকার’।
তবে মিডিয়া দেখলেই তার এমন ব্যবহার তার আসল কারণ জানা নেই তার নাতনিরও। সম্প্রতি নাত্নি নভ্যার শুরু হওয়া পডকাস্টে এই বিষয়ে মুখ খুলেছিলেন তিনি। সেখানে তার মতামত,’ আমি ঘেন্না করি। অবজ্ঞা করি। আমি অবজ্ঞা করে সেই সমস্ত মানুষদের যারা লোকের ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ করে আর সেই সব বিক্রি করে নিজেদের পেট ভরায়। আমার এদের দেখলে খুব বিরক্ত লাগে, আমি তো পরিষ্কার বলি আপনাদের লজ্জা করে না আমি সত্যি এগুলো নিতে পারি না’।
প্রসঙ্গত তারকাদের ব্যক্তিগত জীবনে নাক গলানো মোটেই পছন্দ নয় বর্ষীয়ান এই অভিনেত্রীর। এ কথা তার বারবার ব্যবহারেই পরিচয়। তিনি জানিয়েছেন,’ আমার রাগের অভিব্যক্তি নিয়ে যদি কেউ ইউটিউবে ভিডিও করে টাকা কামাই তাতে আমার কিছু যায় আসে না। আপনি আবার কাজ নিয়ে কথা বলুন। বলতেই পারেন আমি একজন বাজে অভিনেত্রী বা বাজে সাংসদ। কিন্তু আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কাটাছেঁড়া করার আপনি কে। কিছু বললে আপনারা বলবেন খিটখিটে রেগে যান। আরে আমি রেগেটাই বা যাই কেন। আমি কি সাধারণ মানুষের মতো ব্যক্তি স্বাধীনতা বলে কিছু নেই। কোথায় যাচ্ছি, কেন যাচ্ছি সব সময় আপনারা আটকাতে শুরু করেন’।
View this post on Instagram
