বলিউডে তাঁকে বলা হত ‘প্রথম মহিলা সুপারস্টার’। তিনশোরও বেশি ছবিতে অভিনয় করে দর্শকদের উপহার দিয়েছেন একের পর এক জনপ্রিয় সিনেমা। ২০১৮ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ের এক বিলাসবহুল হোটেলে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন বলিউডের এই খ্যাতনামী অভিনেত্রী।
এখানে কথা হচ্ছে বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীদেবীর ব্যাপারে। অকালেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েছিলেন তিনি। সেসময় জানা গিয়েছিল ছোট মেয়ে খুশিকে নিয়ে দুবাইয়ে বনি কাপুরের আত্মীয় অর্জুন মারওয়ারের বিয়ে উপলক্ষে গিয়েছিলেন শ্রীদেবী। অভিনেত্রী ঠিক করেছিলেন সেখানে আরও কয়েকটা দিন কাটাবেন এবং সামনেই বড় মেয়ে জাহ্নবীর জন্মদিন তাই তাঁর জন্য কিছু কেনাকাটাও করবেন।
কিন্তু পরে জানা যায় সেখানে জাহ্নবী কাপুর ও গিয়েছিলেন কিন্তু পরে তিনি ফিরে এসেছিলেন। যদিও বিশেষ কাজের জন্য বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না বনি কপূর। তিনি কাজের জন্য লক্ষ্ণৌ গিয়েছিলেন। কিন্তু স্ত্রীকে চমকে দিতে ২৪ তারিখ ফিরে এসেছিলেন বনি। এরপরে দুবাইয়ে ফিরে আসার পর শ্রীদেবীর সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ গল্প ও করেছিলেন বনি কাপুর।
তারপর তাঁরা রাতে বাইরে খেতে যাওয়ার পরিকল্পনা করলে শ্রীদেবী বাইরে যাওয়ার আগে বাথরুমে গিয়েছিলেন। কিন্তু এরপরে সেখান থেকে অনেকক্ষণ তাঁর কোনও সাড়া পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত বাথটবে অভিনেত্রীকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রথমে জানা গেছিল হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে শ্রীদেবীর। কিন্তু পরে পুলিশ সূত্রে জানা যায় বাথটবে ডুবেই মৃত্যু হয়েছে অভিনেত্রীর।
যদিও শ্রীদেবীর মৃত্যুর পরে অনেক রকমের কারণই উঠে এসেছে। কিন্তু প্রায় ছ’বছর হতে চলল আজও শ্রীদেবীর মৃত্যুর সঠিক কারণ সকলেরই অজানা। কিন্তু যখন মায়ের মৃত্যুর খবর পেয়েছিলেন শ্রীদেবীর দুই কন্যা খুশি ও জাহ্নবী তখন তাঁরা ঠিক কি করেছিলেন ? সম্প্রতি ‘কফি উইথ করণ’-এ বোন খুশি কাপুরের সঙ্গে এসেছিলেন জাহ্নবী কাপুর ও।
সেখানে মায়ের মৃত্যুর দিনের কথা প্রসঙ্গে কিছু কথা বললেন জাহ্নবী। মায়ের মৃত্যুর খবর জাহ্নবী প্রথম জানতে পারেন ফোনে। তিনি বলেন, “ফোনটা যখন পেলাম আমি আমার ঘরে ছিলাম। খুশির ঘর থেকে কান্নার আওয়াজ শুনতে পাচ্ছিলাম। যতদূর মনে পড়ে কাঁদতে কাঁদতে খুশির ঘরে ছুটে গিয়েছিলাম।” এর পাশাপাশি জাহ্নবী উল্লেখ সেই কঠিন পরিস্থিতিতে তাঁকে পুরোপুরি সামলেছেন তাঁর বোন খুশি।
আরও পড়ুন : দুই ঠোঁটের মাঝে কেক! কাকে মুখে করে কেক নিয়ে খাওয়ালেন কাঞ্চন-বান্ধবী শ্রীময়ী?
এই বিষয়ে জাহ্নবী বলেন, “মনে আছে যে মুহূর্তে খুশি আমাকে দেখেছিল কান্না থামিয়ে দিয়েছিল। আমার পাশে বসে ও আমাকে সামলেছিল। তারপর আর ওকে কাঁদতে দেখিনি।” তবে আজও অভিনেত্রীর এভাবে চলে যাওয়াটাকে মেনে নিতে পারেনি বলিউড থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ।
