আমাদের দেশের ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম একজন হলেন মুকেশ আম্বানি। তার সম্পত্তির পরিমাণ গুনে শেষ করা যাবে না। আমরা প্রত্যেকেই জানি, মুকেশ আম্বানি তার স্ত্রী নীতা আম্বানি এবং তাদের সন্তানরা প্রত্যেকেই বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন। মুম্বাইয়ে তাদের বিশাল বড় বাড়ির ভেতরেই রয়েছে সমস্ত রকম সুব্যবস্থা। তবে আম্বানি পরিবারে সম্প্রতি খুশির খবর শোনা গিয়েছে। তাদের পরিবারে এসেছে যমজ সন্তান।
এমনিতেই আম্বানি পরিবার নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার মাঝেমধ্যেই চর্চা হয়ে থাকে। মাঝেমধ্যেই খবরের শিরোনামে উঠে আসেন নীতা আম্বানির নাম। তার ব্যবহৃত এক একটা জিনিস বহুমূল্যের যা সাধারন মানুষের সাধ্যের বাইরে। নিজের ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিসের জন্যই খবরের শিরোনামে মাঝেমধ্যেই উঠে আসেন আম্বানি পরিবারের বিভিন্ন সদস্যরা।
এবারে তাদের পরিবারে এসেছে দুই যমজ সন্তান। আসলে সম্প্রতি কয়েক মাস আগেই দাদু দিদা হয়েছেন মুকেশ এবং নীতা আম্বানি। তাদের মেয়ে ইশা মাস কয়েক আগেই জন্ম দিয়েছেন যমজ সন্তানের। দিন কয়েক আগেই সন্তানদের নিয়ে বিদেশ থেকে ফিরেছে ইশা। বিমানবন্দরে তাদের নিতে হাজির হয়েছিল তার শ্বশুর-শাশুড়ি। মুকেশ এবং নীতা নাতি-নাতনির নামকরণ ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, একজনের নাম কৃষ্ণ এবং অপরজনের নাম আদিয়া। হিন্দু দেবতাদের নামে নাম রাখা হয়েছে ঈশার সন্তানদের। আদিয়ার মানে হল প্রথম শক্তি বা শুরু, আধ্যাত্মিক, শক্তিশালী। মা দুর্গাকেও এই নামে ডাকা হয়ে থাকে। অপরদিকে বিষ্ণুর অবতার হল শ্রীকৃষ্ণ।
জানা গিয়েছে ইশার দুই সন্তানকে সামলানোর জন্য আমেরিকা থেকে চারজন আয়াকে আনা হয়েছে। এছাড়াও বিমানে ঈশা এবং তাঁর দুই সন্তানের সঙ্গে ছিলেন আমেরিকার সেরা শিশু বিশেষজ্ঞ ডক্টর গিবসন। বিমানে করে আসার সময় যাতে তাদের কোন অসুবিধা না হয় তার জন্য এই ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
শোনা গিয়েছে ইশা এবং তার দুই সন্তানকে আনার জন্য কাতার থেকে বিশেষ বিমান পাঠানো হয়েছিল আমেরিকায়। কৃষ্ণ এবং আদিয়ার আসার খুশি অম্বানি পরিবার ৩০০ কেজি সোনা দান করবে বলে শোনা গিয়েছে। তিরুমালা, তিরুপতি বালাজি, নাথদ্বারা, শ্রীনাথজির মন্দিরে দানের প্রস্তুতিও ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি জানা গিয়েছে, এই মন্দিরগুলি থেকে বিশেষ প্রসাদ পাঠানো হবে অম্বানি পরিবারে।
