শার্ক ট্যাঙ্কে ব্যবসার সাথে এবার এলো আরেক নতুন পরিকল্পনা! কলকাতার ২ যুবক সটান হাজির খাবার অপচয় রোধ করবার পরিকল্পনা নিয়ে! জানুন কত বিনিয়োগ হল এই খাতে?
শার্ক ট্যাংক, নামটি শুনলেই এক কথায় অনেকের অনেক কিছু মাথায় আসবে। তবে সকলের মধ্যেই একটা কথা হয়তো সামঞ্জস্য থাকবে যে অবশ্যই এটা সকলের দেখা উচিত। কারণ এই শোতে এমন অনেক কিছু হয় যা সকলের শেখার মত। তবে একটা কথা বলতেই হবে অনেকেরই হয়তো মনে হয় বাঙালি মানে সে ব্যবসা করতে জানে না। তবে বর্তমান সময়ে এই ধারণা বদলেছে অনেকটা।
তবে বর্তমানে বাঙালির চোখে ব্যবসা নিয়ে অনেক স্বপ্ন থাকলেও অফিসে কাজের চাপ, আর জীবনের সাঁড়াশি চাপের মুখে পড়লে সেসব একটু অসম্ভবই দেখায়। তবে বন্ধু পাশে থাকলে হয়তো অনেকটাই এগোনো যায়। এবারেও হলো তেমনি। সোজা শার্ক ট্যাংকে গিয়ে পৌঁছলেন কলকাতার দুই যুবক শুভব্রত গঙ্গোপাধ্যায় এবং সৌপল দে। বর্তমানে দুজনই স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াতে কর্মরত।
সমস্ত রকম চাপকে সামাল দিয়ে ভরা লকডাউনের মধ্যে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কালীঘাটের একটা ছোট্ট ঘর থেকে নিজেদের এই পথ চলা শুরু করেন তারা। ব্রান্ডের নামকরণ করা হয় ‘ক্রেভ রাজা ফুডস’। এটি একটি মাল্টি ব্র্যান্ড ক্লাউড কিচেন। তবে এটা ঠিক যে এই মাল্টি ব্র্যান্ড ক্লাউড কিচেন সম্পর্কে অনেকেরই জানা নেই। আসলে এই ‘ক্রেভ রাজা ফুডস’ হচ্ছে মাদার ব্র্যান্ড। এর আবার কয়েকটি সাব ব্র্যান্ড আছে। যেমন -গাস্টোপিৎজা ইন্ডিয়া, এসওএস স্যান্ডউইচ অমলেট, ইত্যাদি।
এবার প্রশ্ন হবে এগুলির কী কাজ? ধরুন আপনার কাছে চিকেন টিক্কা একটাই পদ আছে। কিন্তু দুই জন যুবক ওই একটাই পদ দিয়ে স্যান্ডউইচ, পিৎজা এবং র্যাপ তৈরি করবেন। অর্থাৎ খাবারের মূল উপকরণ কিন্তু একটাই। খালি ফর্ম বা শেপ বা ধরন বদলে যাবে। তাহলে এর ফলে আপনার যেমন খাবার পছন্দ তেমনই আপনি পেয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এদিকে আবার খাবার অপচয় হবে না।
খুবই কঠিন সময়ে কাজ করেন তাঁরা, তবে মানুষের থেকে ভালো প্রতিক্রিয়া পেয়েছেন। কলকাতাতেই তাঁদের দুটো আউটলেট আছে, সন্তোষপুর এবং বেলেঘাটায়। তাঁদের মোট ব্যবসা হচ্ছে ২.৫ কোটি টাকার। তবে দ্বিতীয় বছরের মধ্যে ৩ কোটি ছুয়ে ফেলেছেন তাঁরা। ফলে বৃদ্ধি পেয়েছে আউটলেটের সংখ্যাও। বেঙ্গালুরুতে খুলেছে নতুন শাখা। এছাড়াও চেন্নাই ও হায়দ্রাবাদে, নতুন শাখা খোলার পরিকল্পনা করছে এই ব্র্যান্ড। আর সেই কারণেই ফান্ডের খোঁজেই তাঁরা এসেছেন শার্ক ট্যাংকে। যদিও শার্কদের তাঁদের এই নতুন পরিকল্পনা ভীষণ পছন্দ হয়েছে। যদিও ফান্ড সম্পর্কে শুভব্রত জানিয়েছেন, ‘শার্ক ট্যাঙ্কে কী হল সেটা আজ সবাই দেখতে পাবেন। তবে এখানে গিয়ে আমাদের লাভ হয়েছে। আরও অন্যান্য বহু ইনভেস্টমেন্ট পেয়েছি আমরা’।