ভাইরাল

“সেদিন দোকান ভাঙচুর করি, বাবার সঙ্গে মারপিট করেছিলাম বাড়ি ফিরে”, কষ্টের কথা জানালেন স্মার্ট দিদি নন্দিনী

মাত্র কয়েকদিন আগেই নতুন হোটেলের উদ্বোধন করেছেন স্মার্ট দিদি নন্দিনী। এতদিন ধরে ডালহৌসির ফুটপাতে হোটেল চালাতে তিনি। সেটাও ভাড়া নিয়ে কিন্তু এবার নিজের দোকান করলেন তিনি।

দীর্ঘদিনের ইচ্ছে পূরণ হলো স্মার্ট দিদি নন্দিনীর। নিউ টাউন চত্বরে নতুন দোকানের উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। এরই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিও। নিউটনের দোকানে দাঁড়িয়ে নিজের স্ট্রাগল নিয়ে মুখ খুললেন নন্দিনী দি।

নন্দিনী এদিন বলেন, “আমি ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে পড়াশোনা করি। তবে কাজকরছিলাম যদিও হোটোলে। ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে বেশি কিছু করা হয়নি। তবে হোটেলের কাজ থেকে ভালোই আয় হচ্ছিল। নোটবাতিলের আগে আমার ব্যবসা ছিল নিজের। তা বন্ধ হয়ে যায়।

লক ডাউনের আগে বাবা হোটেল ব্যবসা শুরু করেছিল ডালহৌসিতে। আমার ইচ্ছে ছিল সেই সময় বাবা-মাকে নিজের কাছে নিয়ে যাব গুজরাটে। মা রাজি থাকলেও, বাবা রাজি ছিল না। বাবার একটাই কথা, আস আমার দোকানটা ঘুরে যাও একদিন।”

নন্দিনী বলেন, “আমি ভেবেছিলাম এরকমই কিছু হবে হয়তো রং করা হবে না। কিন্তু টিনের চাল থাকবে একটা। এখনও মনে আছে ডালহৌসিতে দাঁড়িয়ে বাবাকে জিজ্ঞেস করছি, দোকান কোথায়। বাবা বলত, একটা চায়ের দোকান পেরিয়ে আসতে। গিয়ে দেখি, ফুটপাথে বসে বাবা বাসন মাজছে। আমি নিজের চোখকে পর্যন্ত বিশ্বাস করতে পারিনি। বাবাকে বলেছিলাম, আমার সঙ্গে ইয়ার্কি করছ। এটা কী করছ তুমি।

ওইদিন দোকানটা ভেঙেছিলাম ওখানে। বাসন ফেলে দিয়েছিলাম। বাড়িতে এসে মারপিট করেছিলাম বাবার সঙ্গে। যারা আমাদের চেনে জানে আমার বাবা আমাদের দুই বোনকে ইঞ্জিনিয়রিং পরিয়েছে, আমাকে ফ্যাশন ডিজাইনিং। সেখানে বাবার এই কাজ মানতে পারিনি”।

নন্দিনী আরোও বলেন, “তবে এই রাতেই বাবাকে কথা দিয়েছিলাম, আর কিছুি না হোক, তোমাকে একটা নিজের ছোট দোকান খুলিয়ে দেব। টিনের একটা চাল থাকবে।” বাবার সঙ্গে দীর্ঘ দু বছর ধরে ভাতের হোটেলে কাজ করেছেন নন্দিনী। মা অসুস্থ থাকার কারণে সব কাজে বাবার সঙ্গে হাত লাগিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন : ওমকারকে বাঁচাতে মার খেলো শ্রাবণ! এবার কি প্রেম জমে ক্ষীর হবে?

অনেকেই বলেছিল, “হারিয়ে যাবি রানু মণ্ডলের মতো, দেখতে তো হিজরে”। তবে সেই সময় হারিয়ে যাওয়ার ভয় করেনি, এখনো করেনা বরং নিজের স্বপ্নগুলোকে পূরণ করতে চান তিনি।

Back to top button

Ad Blocker Detected!

Refresh