বাংলা সিরিয়াল

‘এখন ঝগড়া চলছে…’, চাকরি পেয়েই বাবার সঙ্গে ঝগড়া শুরু সানার!

একমাত্র মেয়ে সানাকে নিয়ে দাদাগিরির মঞ্চের বিভিন্ন কথাই বলে থাকেন সৌরভ গাঙ্গুলী। এমনিতেই সৌরভের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মানুষের অনেক আগ্রহ রয়েছে। দাদাগিরির মঞ্চে এসে সেই আগ্রহ মেটানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করে থাকেন সকলেই। এমনিতে দাদা মেয়ে অন্ত প্রাণ। তবে কাজ এবং পড়াশোনার সূত্রে দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে রয়েছে মেয়ে সানা। তবে দূর থেকেই মেয়ের উপর নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছেন সৌরভ।

ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করে করে সেখানকার এক নামী কোম্পানি INNOVERV চাকরি করছেন সানা গাঙ্গুলী। তবে দূরত্ব যতই থাকুক মেয়ের সঙ্গে বাবার ঝামেলা লেগেই রয়েছে সব সময়।

তাই আপাতত মেয়ের সঙ্গে কথা বন্ধ রয়েছে সৌরভে! এদিন রবিবার সৌরভের দাদাগিরিতে হাজির হয়েছিল “ফুলকি” পরিবারের সদস্যরা। পর্দায় ফুলকির সতীন শালিনী ওরফে শার্লি মোদকের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে উঠে এলো সানার কথা।

আরও পড়ুন : “সেদিন দোকান ভাঙচুর করি, বাবার সঙ্গে মারপিট করেছিলাম বাড়ি ফিরে”, কষ্টের কথা জানালেন স্মার্ট দিদি নন্দিনী

মেয়ের সঙ্গে নিজের ঝগড়ার কথা এদিন ফাঁস করে ফেললেন সৌরভ। শার্লি এদিন বলেন, সৌরভের সঙ্গে নিজের বাবার মিল খুঁজে পান তিনি। শার্লি বলেন, “বাবার আমার ভীষণ ক্লোজ, কিছু কিছু বিষয়ে আমি তোমার সঙ্গে আমার বাবার খুব মিল পাই…আমি শুনেছি যে তুমি সানাকে ভীষণ প্রোটেক্ট করতে, স্কুলে নিয়ে যেতে।

ও ফোন করে তোমার মন ভালো থাকে, না করলে মন খারাপ লাগে।” এই কথা শুনে একটু আবেগপ্রবণ হয়ে সৌরভ বলেন, “এখন ঝগড়া চলছে… সানা খুব একটা কথাবার্তা শোনে না। সব বিষয়ে খুব একটা মতামত রয়েছে। মতামত নিয়ে বাবার সঙ্গে ঝগড়াঝাটি হয়, তবে হ্যাঁ, সানাই (আমার) সবচেয়ে প্রিয়”।

মেয়ে এখন স্বাবলম্বী হয়েছে বলে কথা। তাই নিজের মতামত আর বাবার মতামতের সঙ্গে সেভাবে মিল না থাকার কারণে, ঝগড়াঝাঁটি লেগেই রয়েছে সৌরভ আর সানার মধ্যে। নিজের উপর কিছু চাপিয়ে দিলে সেটা একেবারেই সহ্য হয়না সানার।

সৌরভের ৫০ তম জন্মদিনে সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ওই ভিডিওতে সৌরভকে নাচতে দেখা গিয়েছিল লন্ডন আইয়ের সামনে। সেই দেখে রাস্তায় মুখ ঢেকে বসে পড়েছিলেন সানা।

আরও পড়ুন : দীর্ঘদিন ধরে কাজ পাচ্ছেন না টলিউডের অভিনেতা! ভীষণ কষ্টে কাটছে দিন, আক্ষেপ প্রকাশ শঙ্কর চক্রবর্তীর

এই নিয়ে শার্লি জানতে চাইলে সৌরভ বলেন,”সানা সবচেয়ে বেশি লজ্জিত ছিল। বাবাকে নাচতে দেখলে কেউ এত লজ্জায় পড়তে পারে, ওকে না দেখলে আমার জানা ছিল না। তবে ও যত এমবারেসড হয়েছে, আমার আর আমার বন্ধুদের নাচ তত বেড়েছে”।

Back to top button

Ad Blocker Detected!

Refresh