বউ গেলে বউ পাওয়া যায় কিন্তু মাদক ছাড়ার প্রশ্নই ওঠে না! মাদকদ্রব্য না ছেড়ে নিজের বউকে ডিভোর্স দিয়ে দিলেন নোবেল
![](https://www.kolkatajournal.com/wp-content/uploads/2023/05/nobel-and-devorce.webp)
জি বাংলা(Zee Bangla)র জনপ্রিয় রিয়ালিটি শো ‘সা রে গা মা পা'(Saregamapa)য়ে দর্শক প্রথমবারের জন্য দেখেছিলেন মইনুল আহসান নোবেলকে(Mainul Ahsan Nobel)। তারপর তার গান শুনে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন বাংলার প্রত্যেক ঘরে ঘরের মানুষ। দুই বাংলার মানুষের কাছ থেকেই পেয়েছিলেন অগাধ ভালোবাসা। তবে নোবেল বরাবর বিতর্কে জড়িয়েছেন। বর্তমানে সেই গায়কের অতীত উঠে এসেছে সংবাদ শিরোনামে।
সপ্তাহখানেক আগে নেশাগ্রস্থ অবস্থায় অনুষ্ঠান করতে দেখা গিয়েছিল নোবেলকে। সেই কারণে অবশ্য কম জনরোষের মুখে পড়তে হয়নি তাকে। বাংলাদেশের কুড়িগ্রামে ঘটেছিল ঘটনাটি। সপ্তাহখানে কেটে যাওয়ার পরে সোশ্যাল মিডিয়া এখনো থামেনি তাকে ছি ছি করতে।
আসলে মদ্যপ অবস্থায় মঞ্চে উঠে গান গাইতে শুরু করেছিলেন নোবেল। সেই ভিডিও আপাতত ঘুরেফিরে বেড়াচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। এই সবকিছুর মাঝেই এবার এক ব্যাপক সাড়া জাগানো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই গায়কের স্ত্রী সালসাবেল(Salsabel Mahmud)।
অনেকেই জানেন বহুদিন আগে নোবেল এবং সালসাবেলের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। তবে সেই তথ্য সঠিক নয়। একসময় সারেগামাপা খ্যাত এই গায়ক জানিয়েছিলেন তিনি তার স্ত্রীর সঙ্গে আইনি বিচ্ছেদ করেছেন। সেই জন্য মানসিক অবসাদে ভুগছেন। কিন্তু তা স্ত্রী এবার সত্যিটা সামনে এনে দিয়েছেন।
সামাজিক মাধ্যমে এক দীর্ঘ বার্তা দিয়েছেন সালসাবেল। সেখানে তিনি লিখেছেন,’আমি হয়তোবা আগে ক্লিয়ার করিনি ব্যাপারটা যেহেতু আমরা দু’জনেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ডিভোর্স রেজিস্ট্রেশনটা উকিলকে বলে হোল্ডে রেখেছিলাম। কিন্তু সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার পরও যখন আমার ও নোবেলের কথা হয়, আমি তাঁকে শেষবারের মতো মাদকদ্রব্য ছাড়ার কথা এবং চিকিৎসা নেওয়ার জন্য জিজ্ঞেস করি। সে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেয় সে কখনও মাদক ছাড়বে না এবং বলে, ‘নেশা ছাড়লে তো আগেই ছাড়তাম লল’।
এরপর তার প্রাক্তন স্ত্রীয়ের আরেকটু সংযোজন,’এরপর আমি আমার পারিবারিক সিদ্ধান্তে আমার ডিভোর্স রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করি। ধন্যবাদ। আমার প্রাক্তনকে আমি শুভকামনা জানাই’। এরপরই বিস্ফোরক কিছু দাবি করেন গায়কের প্রাক্তন স্ত্রী। তিনি লেখেন, ‘নোবেল কখনওই এত অসুস্থ ছিল না। এমন না যে নোবেলের আজকের এই অবস্থার জন্য ও শুধু একা দায়ী। অবশ্যই সে নিজেই সবচেয়ে বেশি দায়ী। কিন্তু তার মাদকদ্রব্য প্রাপ্তি এবং আসক্তির ক্ষেত্রে অনেক ক্ষমতাশালী মানুষদের অবদান আছে’।
সপ্তাহখানেক আগে কুড়িগ্রামে একটি অনুষ্ঠান করতে গিয়েছিলেন নোবেল। সেখানেই প্রথমে দেরি করে অনুষ্ঠান করতে ওঠেন। তারপরেই দর্শকরা সেখানে খেয়াল করেন তিনি গান গাইতে গাইতে কথা জড়িয়ে ফেলছেন। গায়ক মদ্যপ অবস্থাতেই স্টেজে উঠেছেন। তাকে দেখে তার দিকে জুতো জলের বোতল ছুড়তে থাকেন উপস্থিত শ্রোতারা। শেষ পর্যন্ত যদিও কর্তৃপক্ষের সাহায্য নিয়ে মঞ্চ থেকে নামিয়ে নেওয়া হয় নোবেলকে।