সব থেকে বড়ো সুপারস্টার হয়েও নেই কোনো অহংকার! গাড়ির ড্রাইভারকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন প্রসেনজিৎ

টলিউড ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় প্রায় দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকে ধরে রেখেছেন। প্রসেনজিৎ প্রথম তার বাবা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত ‘ছোট্ট জিজ্ঞাসা’তে শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করেছিলেন, ১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দে তার এই ছবিটি মুক্তি পায়। এরপর ১৯৮৩ সালে ‘দুটি পাতা’ ছবিতে প্রথম নায়ক হিসেবে দেখা যায় তাকে। এরপর তার ‘অমর সঙ্গী’ ছবিটি হিট করার পর তাকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক ব্লকবাস্টার সুপার ডুপার হিট ছবির নায়ক হয়েছেন তিনি। সেই প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কেই বর্তমানে একদম অন্যরকম রূপে দেখা গেলো।
এবার সম্পূর্ণ ভিন্ন এক কর্মকাণ্ডের জন্য খবরের শিরোনামে এলেন তিনি। জনপ্রিয় তারকা হওয়ার সুবাদে কখনো আগামী ছবির জন্য কখনো বা আপকামিং ইভেন্টের জন্য, কখনো বা বাংলা ছবির কোনো ক্ষেত্রে মন্তব্য করে খবরের শিরোনাম জুড়ে থাকেন তিনি, তবে সম্প্রতি তার চরিত্রের একটি দিক সামনে আসায় নেটদুনিয়ায় সকলে তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠেছেন।
প্রসেনজিতের গাড়ির ড্রাইভার বাবুসোনা মুখার্জির জন্মদিন উপলক্ষে এইদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন বুম্বাদা আর সেই কারণেই তিনি এখন আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন। এইদিন প্রসেনজিৎ ইনস্টাগ্রামে বাবুসোনার সাথে তার নিজের একটি ছবি শেয়ার করে লেখেন,“মাঝরাত হোক অথবা ভোর বাবুসোনা বছরের পর বছর ধরে দায়িত্ব নিয়ে প্রসেনজিৎকে পৌঁছে দিয়েছেন তাঁর কাজের জায়গায়। বাবুসোনাকে জন্মদনের অনেক শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রসেনজিৎ ঈশ্বরের কাছে তার মঙ্গল কামনা করেছেন, স্বাভাবিক ভাবেই প্রসেনজিতের এই পোস্ট সকলের মন কেড়ে নিয়েছে।
এই পোস্টে নেটিজেনরা প্রসেনজিতের প্রশংসা করার সাথে সাথে গাড়ির ড্রাইভার বাবুসোনা মুখার্জিকেও জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। একইসাথে তারা লিখেছেন যে, প্রসেনজিৎ তার গাড়ির ড্রাইভারকে যোগ্য সম্মান দিয়েছেন।
নেটিজেনের মধ্যে থেকে কেউ কেউ আবার লিখেছেন,“বাবুসোনাদের মত মানুষেরা মুখ বুঝে কাজ করেন। তারকাদের চোখ ধাঁধানো সফলতার পিছনে কিন্তু আসলে এরাই রয়েছেন। তাই প্রসেনজিৎ এইভাবে তার জন্মদিনে উইশ করে তার প্রতি নিজের প্রকৃত কর্তব্য পালন করেছেন।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বলিউডের আলিয়া ভাট কিন্তু বহুদিন ধরেই তার দায়িত্ব পালনকারী কর্মীর জন্মদিন পালন করেন নিজের বাড়িতে টলিউডে ও এরআগে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়কে দেখা গিয়েছিলো তার মা সুনেত্রা ঘটকের মৃত্যুর সময় তার পাশে থাকার জন্য নিজের গাড়ির ড্রাইভার রত্নাকর বাবুকে ধন্যবাদ দিতে। সেই একই জায়গায় প্রসেনজিৎকে দেখে স্বাভাবিকভাবেই সকলে উচ্ছ্বসিত।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য খুব শীঘ্রই ‘ডাক্তার কাকু’ সিনেমায় মানবদরদী ও জনহিতৈষী ডাক্তার দিলীপ সাহার ভূমিকায় দেখা যাবে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে।
View this post on Instagram