টলিউড

মা দুর্গার বিদায়ের পরই পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেন টলিউডের একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা, শোকের ছায়া নেমে এলো টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে

এমনিতেই মা দুর্গার বিদায়ের পর সকল বাঙালির মন খারাপ। আবারও একটা বছরের অপেক্ষা। তবে গতকাল সকলেই মেতে উঠেছিলেন মা লক্ষ্মীর আরাধনাতে। কিন্তু সেখানেও এসে উপস্থিত হলে দুঃসংবাদ। মা লক্ষ্মীর আরাধনা দিন এই প্রয়াত হলেন জনপ্রিয় অভিনেতা চন্দ্রলাল চৌধুরী। লক্ষ্মী পূজার দিনে টলিউডের নেমে আসলো শোকের কালো ছায়া। বলিউডে জনপ্রিয় অভিনেতা চন্দ্র বাবুর পরিচয় চাঁদু চৌধুরী নামেই। এই নামে তিনি বেশি জনপ্রিয় আমাদের সকলের মাঝে।

তিনি ছিলেন টলিউড ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম জনপ্রিয় এবং ট্যালেন্টেড অভিনেতা। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। স্বাভাবিকভাবেই ইন্ডাস্ট্রির এত বড় অভিনেতাকে হারিয়ে ফেলায় সকলেরই মন খারাপ। পরিবার সূত্রে জানা গেছে বিজয় দশমীর দিন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। তখনই সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমে রাখা হয়েছিল তাকে। তবে শেষ রক্ষা হলো না। জীবন যুদ্ধে হেরে গেলেন অভিনেতা। লক্ষ্মী পূজার দিনে চির বিদায় নিলেন তিনি।

৯০ দশকের অত্যন্ত জনপ্রিয় অভিনেতা ছিলেন তিনি। কখনো কমেডিয়ান চরিত্রে আবার কখনো ভিলেন চরিত্রে দেখা মিলেছিল তার। অঞ্জন চৌধুরীর পরিচালিত বহু ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। একসঙ্গে বেশ কিছু হিট সিনেমাতে তাকে দেখা গিয়েছে। তার অভিনীত ছবি গুলির মধ্যে অন্যতম হলো ‘ছোট বউ’, ‘মেজ বৌ’, ‘বড় বৌ’, ‘শ্রীমান ভূতনাথ’ ‘মুখ্যমন্ত্রী’ ইত্যাদি।এছাড়াও কলকাতা দূরদর্শনের ‘রঙ্গরস’ অনুষ্ঠানটিতে কৌতুক শিল্পী হিসেবে নিয়মিত অংশগ্রহণ করতেন তিনি। এই অভিনেতার হাত ধরে বহু শিল্পী অভিনয় জগতে পা রেখেছিলেন। তার মধ্যে অন্যতম একজন হলেন সাহেব ভট্টাচার্য।

তাই স্বাভাবিক ভাবেই অভিনেতার মৃত্যু তে তিনি গভীরভাবে শোকাহত। চাঁদু বাবুর মৃত্যুর পর সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন সাহেব। সেখানে তিনি লিখেছেন ‘চলে গেলেন ৯০’ এর দশকের অন্যতম চরিত্র অভিনেতা চাঁদু চৌধুরী। চাঁদু জেঠুর হাত ধরে আমি প্রথম বার যাই ডিরেক্টর অঞ্জন চৌধুরীর সঙ্গে NT-1 স্টুডিওতে। আমার জীবনের প্রথম ছবি ‘সংঘর্ষ’ তার সুবাদে পাওয়া। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি। ভালো থেকো চাঁদু জেঠু’।

Back to top button

Ad Blocker Detected!

Refresh