টলিউড

চুরির টাকায় কৌশানীকে মলদ্বীপে ঘুরতে দেখে ধুয়ে দিলেন নেটিজেনেরা !

যতদিন যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে ট্রোলিংয়ের পরিমাণ ততোই বাড়ছে। ট্রোলিং যেন এখনকার দিনে ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে। যেহেতু সমাজমাধ্যম একটা উন্মুক্ত প্ল্যাটফর্ম তাই সেখানে যে কেউ যখন তখন নিজেদের মতোন করে যা খুশি বলে দিতে পারে।

এখনকার দিনে বিশেষ করে সেলিব্রেটিদের নানা ধরণের কটাক্ষের শিকার হতে হয়। সে ছোট হোক কিংবা বড় কোন সেলিব্রেটি সকলকেই কম-বেশি কথা শুনতে হয়। এবার কেউ সেটাকে গুরুত্ব দেন তো কেউ আবার পাত্তা না দিয়ে এড়িয়ে যান।

সম্প্রতি বনির সঙ্গে বাইরে ছুটি কাটাতে গিয়েছেন কৌশানি। টলিউডে কৌশানী মুখোপাধ্যায় এবং বনি সেনগুপ্তের জুটি বেশ জনপ্রিয়। দীর্ঘদিন ধরে একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন তাঁরা। প্রায়সময়ই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের জীবনের ছোটখাটো বিভিন্ন মুহূর্ত পোস্ট করে থাকেন তাঁরা।

সম্প্রতি পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়ার কিছু ছবি এবং ভিডিও পোস্ট করেছিলেন কৌশানী। সেখানে একটি সুন্দর রিসোর্টে ‘টাইগার থ্রি’ সিনেমার গানের তালে নাচ করতে দেখা গেল অভিনেত্রীকে। আর সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতেই কৌশানীর দিকে ধেয়ে এল কটাক্ষ।

 

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Koushani (@myself_koushani)

কৌশানীর ভিডিওতে কটাক্ষ করে কেউ লিখেছেন, “এবার চুরির টাকায় মালদ্বীপে গিয়ে নাচ।” আবার একজন লিখেছেন, “ভালো করে রিহার্সাল করলে ডান্স টা আরো পারফেক্ট হতো।”

আরেকজন লিখেছেন, “এখন উঠতি অভিনেতা অভিনেত্রীদের এখানেই সমস্যা। নিজেকে হাইলাইট করতে গিয়ে বেশিদিন টিকতে পারেন না ইন্ডাস্ট্রিতে।” এরকম অনেকেই অনেক কথা লিখেছেন।

আরও পড়ুন : অ্যানিম্যালে তাঁর প্রশংসা শুনে কান্নায় ভেঙে পড়ার কারণ জানালেন ববি দেওল !

প্রসঙ্গত, শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় উঠে এসেছিল অভিনেতা বনি সেনগুপ্তের নাম। সেসময় ইডির জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা গেছিল কুন্তলকে আগে থেকেই চিনতেন বনি সেনগুপ্ত।

এমনকি কুন্তলের নানা ইভেন্টে কৌশানিও নাকি কাজ করেছেন। এই প্রসঙ্গে কৌশানি বলেছিলেন, “আমি কুন্তল ঘোষকে চিনি। ১০০ জনের ইভেন্ট করি আমি তেমনই ওনার হয়েও করেছি। এই ভাবেই আলাপ হয়েছে আমাদের। ওনার সঙ্গে কোনো ব্যক্তিগত সম্পর্ক আমার নেই।”

বনি এবং কুন্তল ঘোষের টাকা লেনদেন প্রসঙ্গে কৌশানি বলেছিলেন, “কুন্তলদার সঙ্গে বনির কি কথা হয়েছে, কি ট্রানজাকশন হয়েছে সেটা আমি সত্যিই জানি না। বনির মা ওর আয়-ব্যায়ের হিসাব দেখেন। ওর বাবাও সাহায্য করেন এক্ষেত্রে। আমি তো বনির অভিভাবক নই যে সব ক্ষেত্রে ওকে নির্দেশ দেব। আজ থেকে পাঁচ বছর আগে ২০১৭ সালে কি লেনদেন হয়েছে তা আমার জানার কথা নয়।”

Back to top button

Ad Blocker Detected!

Refresh