টলিউড

এসেছে পারিপার্শ্বিক বাধা, তবুও হাতে হাত রেখে জীবনের পথে এগিয়ে চলেছেন অভিনেতা দীপঙ্কর দে এবং দোলন রায়

“তুমি সত্যিই আমার বাবাকে ভালোবেসে তাঁর প্রতিটি দিকের প্রতি নজর রাখো। মেয়ে হিসেবে বাবার প্রতি তোমার এই যত্ন দেখতে, আমার সত্যিই ভালো লাগে।” দীপঙ্কর তনয়া রুমির এই স্তুতিই যেন হয়ে উঠেছে অভিনেত্রী দোলন রায়ের জীবনের পাথেয়।

প্রায় দু দশক ধরে চলতি হাওয়ার পন্থী হয়ে থেকে গেছেন অভিনেতা দীপঙ্কর দে এবং দোলন রায়। অতিমারির সময় তাঁরা আনুষ্ঠানিক ভাবে গাঁটছড়া বাঁধেন। যদিও ততদিনে তাঁদের সম্পর্কের বয়স প্রায় কুড়িটি বসন্ত পেরিয়ে গেছিল। দীপঙ্কর দে প্রায় আশি ছুঁই ছুঁই, অপরদিকে দোলন রায় পেরিয়েছেন অর্ধ শতবর্ষ।

প্রথম থেকেই তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে কাঁটাছেড়ায় বসেছেন নিন্দুকেরা। কেউ কটাক্ষ ছুঁড়েছেন বর্ষীয়ান অভিনেতার বয়সের দিকে, কেউ বা আক্রমণের তীর বিঁধেছেন অভিনেত্রী দোলন রায়ের কেরিয়ারকে উদ্দেশ্য করে। এমনকী সমালোচকদের মতে, দীপঙ্কর এবং তাঁর প্রাক্তন স্ত্রীয়ের ঘর ভেঙেছেন স্বয়ং দোলন।

যদিও এই কথাকে একেবারেই ধুলিস্যাৎ করেছেন অভিনেত্রী দোলন রায়। তাঁর বয়ানে, “আমি কারুর ঘর ভাঙিনি। বরং দীপঙ্কর দের প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে আমার পরিচয় ঘটেছে বছর কয়েক আগেই। সুতরাং ঘর ভাঙার প্রশ্ন আসেই না।” প্রসঙ্গত কিছু বছর আগেই মৃত্যু হয় দীপঙ্কর দের জ্যেষ্ঠ কন্যা টিটির।

আরও পড়ুন : চুরির টাকায় কৌশানীকে মলদ্বীপে ঘুরতে দেখে ধুয়ে দিলেন নেটিজেনেরা !

সেই সময়েই দীপঙ্কর দের প্রথম স্ত্রীয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ ঘটে দোলন রায়ের। মেয়ের মৃত্যু শোকে জর্জরিত দীপঙ্কর এবং তাঁর প্রাক্তন স্ত্রীয়ের সেই সময় যাবতীয় দেখভাল করেছেন দোলন। নিয়মিত ওষুধ প্রদান থেকে, সময় মেনে খাওয়া দাওয়ার দায়িত্ব, সব কিছু একা হাতে সামলেছেন অভিনেত্রী।

এমনকী দীপঙ্কর দের অসুস্থতাতেও দোলন হয়ে উঠেছেন তাঁর জীবনদায়ী।

তবে বলা বাহুল্য, অভিনেত্রীর জীবনে একটি আক্ষেপ থেকেই গেছে। তা হল, শারীরিক ভাবে মা হতে না পারার দুঃখ। তবে নিজের ভাইয়ের ছেলেকে মাতৃস্নেহে মানুষ করেছেন দোলন। এমনকী দীপঙ্কর দেও কাছে টেনে নিয়েছেন তাঁকে।

দীপঙ্কর দের প্রতি দোলনের যত্নশীল মনোভাব, ছুঁয়ে গেছে দীপঙ্কর-পুত্রী রুমিকে। তিনি দোলনের উদ্দেশ্যে বলেছেন, মেয়ে হিসেবে তাঁর বাবার প্রতি দোলনের এই কমিটমেন্ট দেখতে, তাঁর সত্যিই গর্ব বোধ হয়।

Back to top button

Ad Blocker Detected!

Refresh