বিনোদিনী চরিত্র করবার জন্য জাতীয় পুরস্কার জয়ী সুদীপ্তা চক্রবর্তীর কাছে অভিনয় শিখতে যান সুপারস্টার রুক্মিণী মৈত্র! কেন এই চরিত্রটি করবার জন্য আলাদা প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয় তার? মুখ খুললেন অভিনয়ের গুরুমা সুদীপ্তা
বিনোদিনী দাসী, বাংলা নাট্যমঞ্চে যিনি অবলীলায় চৈতন্য মহাপ্রভুর চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলে রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের আশীর্বাদ ধন্যা হয়েছিলেন। তার চরিত্র নিয়েই ছবি তৈরি হবে, ছবির নাম ‘বিনোদিনী : এক নটীর উপাখ্যান’- এই ছবির মধ্যে দিয়ে রাম কমল মুখোপাধ্যায় বাংলা ছবি পরিচালনায় হাতে খড়ি করতে চলেছেন। এই ছবিতে নটী বিনোদিনীর চরিত্রে অভিনয় করবেন রুক্মিণী মৈত্র।
২০২২ এ এই ছবির একটি টিজার প্রকাশ পেয়েছে যেখানে রুক্মিণী কে চৈতন্য মহাপ্রভুর রূপে দেখা গেছে। একে বাংলার পুরাতন নাট্য মঞ্চ অন্যদিকে চৈতন্য মহাপ্রভুর চরিত্র- এই দুটো চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলবার জন্য কোন চেষ্টাই বাকি রাখছেন না রুক্মিণী। রীতিমত অভিনয় শিখবার জন্য ওয়ার্কশপ পর্যন্ত করছেন। জাতীয় পুরস্কার জয়ী অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তীর একাডেমীতে গিয়ে রীতিমতো অ্যাক্টিং ওয়ার্কশপ করছেন রুক্মিণী।
কিছুদিন আগেই সুদীপ্তার একাডেমিতে তোলা সরস্বতী পুজোর কিছু ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করা হয় যেখানে হলুদ সালোয়ার কামিজ পড়ে রুক্মিণীকে দেখতে পাওয়া যায়। এরপর রুক্মিণীর সাথে নিজের ছবি পোস্ট করে সুদীপ্তা সোশ্যাল মিডিয়া ক্যাপশন লেখেন“ আমরা কাজ করি আনন্দে” – এরপর রুক্মিণীর অভিনয় শেখা প্রসঙ্গে একটি সংবাদ মাধ্যম কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুদীপ্তা বলেছেন,“বিনোদিনী এক নটীর উপাখ্যান, এই ছবির কথা ঘোষণা তো আগেই হয়েছে। আর ওটার জন্যই ও আমার কাছে প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এমন অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রীই আমার কাছে ছবির কাজ শুরুর আগে আসেন, ওয়ার্কশপ করেন। তেমনই ওকেও ওয়ার্কশপ করাচ্ছি। এই চরিত্রটা তো খুব সাধারণ বা সোজা চরিত্র নয়, সেজন্যই সি নিড অ্যা এক্সপার্ট অ্যাডভাইজড (হেসে ফেলে), নটী বিনোদিনী একজন মঞ্চের অভনেত্রী আর রুক্মিণী নিজে কখনও মঞ্চে অভিনয় করেনি। আর এটা একটা পিরিয়ড ফিল্ম, সেটা আজকের দিনে দাঁড়িয়ে একজন অল্পবয়সী অভিনেত্রীর পক্ষে তুলে ধরাটা কঠিন। প্রায় ১০০ বছর আগে একজন মহিলা মঞ্চে অভিনয় করতেন, সেই সময়টাকে তুলে ধরতে একটু গাইডেন্স তো লাগেই। সেজন্য ও আমার কাছে আসছে।”
রুক্মিণী তো তবে সুদীপ্তার ছাত্রী হচ্ছেন? এই প্রসঙ্গে সুদীপ্তা বলেন,“হ্যাঁ ছাত্রী তো বটেই,টালিগঞ্জে প্রচুর ছাত্রী আছে আমার(হেসে ফেলে)। তবে ছাত্রী হিসাবে রুক্মিণী অত্যন্ত সিনসিয়ার। সিনসিয়ারিটি এবং সিরিয়াসনেসে ১০০-রও বেশি কিছু থাকলে আমি ওকে দেবো।ওর মধ্যে প্রচণ্ড জেদ আছে,ও জানে ওকে একটা কঠিন চরিত্র দেওয়া হয়েছে, যেটাতে ও খুব একটা স্বচ্ছন্দ নয়।তবে ও এই চ্যালেঞ্জটা নিয়েছে,এবং তাতে নিজের সেরার সেরাটা তুলে ধরার চেষ্টা করছে।”