টলিউড

সুখবর দিলেন ঋতুপর্ণা! বাংলার নববর্ষে পর্দায় ফিরছেন ঋতুপর্ণা! লেখক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কালজয়ী উপন্যাস ‘দত্তা’ এবার চিত্রায়িত হতে চলেছে বড় পর্দায়

বাংলা চলচ্চিত্রের একজন স্বনামধন্য অভিনেত্রী হলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। বাংলার দর্শক জানেন অভিনেত্রীকে সাহিত্যের ছোঁয়ায় ঠিক কতটা মানায়। তরুণ মজুমদার নির্মিত সিনেমা ‘আলো’তে অভিনেত্রীর আলো চরিত্র তিনি একদম নিপুণভাবে পালন করেছিলেন। এবার অভিনেত্রী পর্দায় ধরা দেবেন এক সাহিত্যের চরিত্রে। স্বনামধন্য ও বর্ষিয়ান লেখক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় লিখিত ‘দত্তা’ উপন্যাস অবলম্বনে নতুন চরিত্রে দেখতে পাওয়া যাবে তাঁকে।

২০১৯ সালে অভিনেত্রী অভিনয় করেন কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় লিখিত উপন্যাস ‘দত্তা’ অবলম্বনে তৈরি সিনেমা ‘দত্তা’তে। অভিনেত্রী ঋতুপর্ণার সেনগুপ্তের সংস্থা ‘ভাবনা : আজ ও কাল’-এর প্রযোজনায় তৈরি ‘দত্তা’-র শুটিং ও পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ আগেই সম্পন্ন হয়েছিল। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে এই সিনেমার মুক্তির দিন পিছিয়ে যায়। তবে এবার লেখক শরৎচন্দ্রের মৃত্যুবার্ষিকীতেই সিনেমার মুক্তির দিন ঘোষণা করলেন অভিনেত্রী। ১৬ই জানুয়ারি সোমবার ‘দত্তা’ সিনেমার পোস্টার নিজের সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করে অভিনেত্রী কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ১২৫ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে সশ্রদ্ধ প্রণামের সাথে ঘোষণা করলেন এই সিনেমামা মুক্তি পাবে চলতি বছরের বাংলা নববর্ষ অর্থাৎ পয়লা বৈশাখে।

যদিও এটা প্রথমবার নয় এর আগে ১৯৭৬ সালে প্রথম সিনেমার আকারে দেখতে পাওয়া যায় ‘দত্তা’কে। সে সময় সিনেমার পরিচালনা করেছিলেন পরিচালক অজয় কর এবং অভিনয় করেছিলেন সুচিত্রা সেন, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ও শমিত ভঞ্জ। এবার ২০১৯ সালে দ্বিতীয়বার যখন এই সিনেমা নির্মিত হচ্ছে তখন তাঁর পরিচালনা করছেন পরিচালক নির্মল চক্রবর্তী। আর বিজয়ার চরিত্রে অভিনয় করেছেন ঋতুপর্ণা, নরেনের চরিত্রের জয় সেনগুপ্ত, বিলাসের চরিত্রে ফিরদৌস এবং রাসবিহারীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেতা বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী। এছাড়াও একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তথা উত্তম কুমারের নাতবৌ দেবলীনা কুমারকে। জানা যায় সিনেমার অধিকাংশ শ্যুট করা হয়েছে শান্তিনিকেতনে।

প্রসঙ্গত এই উপন্যাস অর্থাৎ ‘দত্তা’ রচনা হওয়ার পর কেটে গিয়েছে ১০৩ বছর। জানিয়ে রাখি তৎকালীন সময়ে বিদ্বান মহলে শরৎবাবু নামেই পরিচিত ছিলেন লেখক। কিন্তু সেই সময় তাঁর লেখা পাঠকদের কাছে মনে হয়েছিল অত্যন্ত আধুনিক। সুতরাং একাংশের পাঠক তাঁর লেখা গ্রহণ করতে পারলেও অন্য অংশ তা পারেনি। অন্যদিকে সেই সময়ে শরৎচন্দ্রের থেকে বঙ্কিমচন্দ্রের লেখা প্রাসঙ্গিক ছিল বলেই মনে করতেন সেই সময়ের পাঠককূল। কিন্তু কোন কিছুই হার মানাতে পারেনি শরৎবাবুকে। তিনি রচনা করে গেছেন একের পর এক সব কালজয়ী লেখনি। এদের মধ্যে ‘দত্তা’ অন্যতম উল্লেখযোগ্য।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Rituparna Sengupta (@rituparnaspeaks)

Back to top button

Ad Blocker Detected!

Refresh