টলিউড

“হয়তো সেই মানুষটার সঙ্গে দেখা হবে বলেই…” কাঞ্চনের বাবাকে নিয়ে আবেগী মন্তব্য পিঙ্কির

কিছুদিন আগেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন টলিপাড়ার জনপ্রিয় অভিনেতা তথা বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিকের এবং অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টোরাজ। শ্রীময়ীর এটা প্রথম বিয়ে হলেও কাঞ্চনের কিন্তু তৃতীয়। দুজনের বিয়ে নিয়ে আলোচনার মধ্যে বারবার উঠে আসছে অভিনেতার দ্বিতীয় স্ত্রী পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম।

২০২১ সালে করোনা পরিস্থিতির সময় থেকে সম্পর্কে অবনতি হয়েছিল পিংকি কাঞ্চনের। ডিভোর্সের মামলা চলাকালীন সন্তানের দায়িত্ব নিতে চাননি কাঞ্চন। বাচ্চাকে তার মায়ের থেকে আলাদা করতে চাননি বলে জানিয়েছিলেন অভিনেতা বিধায়ক।

ডিভোর্সের পর কাঞ্চন প্রসঙ্গে সাক্ষাৎকার দিলেন পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাক্তনকে জীবন থেকে মুছে ফেলতে চাইছেন তিনি। তিনি মনে করেন কাঞ্চনকে বিয়ে করে তাঁর সব থেকে বড় পাওনা হলো তাঁর শ্বশুরমশাই। পিঙ্কি জানান,”হয়তো সেই মানুষটার সঙ্গে দেখা হবে বলেই আমাদের বিয়েটা হয়েছিল। তিনি কাঞ্চনবাবুর বাবা, কার্তিক মল্লিক। তিনি যেমন দেখতে সুন্দর, তেমনই সুন্দর ভালো ব্যবহার, অসাধারণ ব্যক্তিত্ব, বড় মনের মানুষ। কী সৌম্যকান্তি ব্যক্তি।

আরও পড়ুন : ডিভোর্স না হলেও স্বামীর সঙ্গে এক ছাদের নিচে থাকেন না রচনা! কারণ জানলে অবাক হবেন

২৭ বছর ধরে অন্ধ ছিলেন। ২৭ বছর ধরে চোখে দেখতে পান না, তাও একটা দিন লাঠি ধরেননি। উনি ছিলেন আমার চা-কফি খাওয়ার ব্যক্তি। আমার বাড়িতে কেউ আমাকে কখনও ডাক নাম দেননি। কিন্তু আমার শ্বশুর মশাই দিয়েছিলেন। এত মৃদুভাষী ছিলেন যে প্রথবে মনে হয়েছিল ডাকছেন গিনি। পরে বুঝতে পারলাম ডাকছেন বিনি। কি না, বিনা সুতোয় মালা বাঁধতে পারে”।

পিঙ্কি বলেন, শ্বশুরেরই প্রতিচ্ছবি হলো তাঁর একমাত্র ছেলে ওশ। পিঙ্কি বলেন,”উনি আমায় বলে গিয়েছিলেন, তোমার ছেলেই হবে। তোমার ছেলে আমার মতোই হবে। তুমি তোমার চা-কফি খাওয়ার পার্টনার কখনও হারাবে না।

আমার ছেলের দিকে তাকালে মনে হয়, ও সত্যিই দাদুর মতো হয়েছে। ওশের তো ৯ বছর বয়স, যখন আমাদের ঝামেলাটা শুরু হয়েছিল। ও যেভাবে গোটা ব্যাপারটা হ্যান্ডেল করেছে, তাতে প্রতিটা মুহূর্তে কার্তিক মল্লিকের সঙ্গে মিল পাই।”

ছেলেকে নিয়ে পিঙ্কি আরও জানান,”অল্পে বিব্রত হয়ে পড়ে না, নিজের কাজ নিজে করতে পছন্দ করে, অন্যকে সাপোর্ট করতে ভালোবাসে। ও আমার সবথেকে বড় মেন্টাল সাপোর্ট। লকডাউনের সময় ডিভোর্সের চিঠিটা এসেছিল।

আরও পড়ুন : “সাইকেলের চেন নিয়ে একজন আমায় মারতে আসছে”! ভিলেনের চরিত্রে অভিনয় করে কেমন পুরস্কার পেয়েছিলেন কৌশিক?

আমি ওকে সঙ্গে সঙ্গেই জানিয়েছিলাম। ও আমার হাতটা ধরে বলেছিল, মা আমাদের স্কুলে এখন হিউম্যান বডি পড়ানো হচ্ছে। সেখানে পড়েছি আমাদের শরীরে অ্যাপেনডিক্স নামের একটা অংশ থাকে। যেটা আমাদের প্রয়োজন পড়ে না। দরকারে তা কেটে বাদও দিয়ে দেওয়া যায় সহজেই। তুমি এগিয়ে যাও। আমরা খুশি। উনিও খুব ভালো থাকুক একে-অপরের সঙ্গে।”

পিঙ্কি কাঞ্চনের একমাত্র সন্তান ওশ স্পষ্ট করে জানিয়েছিল, তাঁর সব দায়িত্ব যেন তাঁর মা-কেই দেওয়া হয়। পিঙ্কি নিজেও জানেন ছেলের, সঙ্গে তিনি ভালো আছেন। ছেলেকে মানুষের মতো মানুষ করে তুলতে চান তিনি।

Back to top button

Ad Blocker Detected!

Refresh