টলিউড

না দেবশ্রী রায় না জুন মালিয়া, রচনা ব্যানার্জির দিদি নাম্বার ওয়ানের সঞ্চালনার দায়িত্ব নিতে পারেনি কেউই, তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছে খোদ দর্শকই, এর কারণ জানালেন রচনা নিজে

দিদি নাম্বার ওয়ান, বিনোদন প্রদানকারী চ্যানেলের সবথেকে ক্রিয়েটিভ একটি অনুষ্ঠান। দীর্ঘ এক দশক ধরে চলে আসছে এই রিয়েলিটি শো। আর এতদিনের দৌড় এই শো দিতে পেরেছে তার একমাত্র কারণ শো-য়ের সঞ্চালিকা রচনা ব্যানার্জি। কিছু কিছু শো আছে যার সঞ্চালক সঞ্চালিকাই সেই অনুষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ করে তোলার পিছনে মূল কারণ, যেমন দাদাগিরিতে সৌরভ গাঙ্গুলী ওরফে সকলের দাদা, মীরাক্কেলে সকলের প্রিয় মীর আফসার আলি, আর দিদি নাম্বার ওয়ানে সকলের প্রিয় দিদি রচনা ব্যানার্জি।

প্রথম সিজনে ছিল না কোনো সেট, খোলা ময়দানে শ্যুটিং হত এই শো-য়ের। তবে তারপর থেকেই ভালো লেগে যায় এই শো সকলের, বাংলা তাঁর নতুন এক দিদিকে পায়, রচনা দি। বাংলার কাকিমা জেঠিমারা বিকেল পাঁচটা থেকেই মুখিয়ে থাকে কখন শুরু হবে দিদি নাম্বার ওয়ান, চেষ্টা করেন অডিশনেরও। বাংলার প্রায় প্রত্যেকটা কোণা থেকেই এই শো-তে কখনো না কখনো কেউ এসেছেন। কখনো আবার এসেছেন প্রবাসী নিবাসীরাও, এসেছেন জি বাংলার ধারাবাহিকগুলির মহিলা কলাকুশলীরাও।

অনেক ওঠাপড়া দেখেছেন রচনা ব্যানার্জি, একসময়ে দিদি নাম্বার ওয়ানের সেটে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড হয়েছিল, রচনা ব্যানার্জি সেসময়ে সরাসরি সেটেই উপস্থিত ছিলেন। পরে স্ট্রেচারে করে জ্ঞানহীন রচনা দিদিকে বাইরে বের করে আনা হয়েছিল, তবুও চালিয়ে গেছেন এই শো। তবে সঞ্চালিকা হিসেবে দুটি সিজন দেখা যায়নি তাঁকে। সেসময়ে তাঁর জায়গা নিয়েছিল যথাক্রমে অভিনেত্রী দেবশ্রী রায় এবং জুন মালিয়া। তবে একটি সিজনেই কুপোকাত তাঁরা, দর্শকরা জানায় রচনা ব্যানার্জি ছাড়া তাঁরা আর কাউকেই দেখতে চান না।

তবে সঞ্চালনা করতে করতে একসময়ে হাঁপিয়ে উঠেছিলেন রচনা, তাই ছ’মাসের দুটি ব্রেক নিয়েছিলেন তিনি। পরে দর্শকদের তাঁর প্রতি ভালোবাসা দেখে ফিরে এসেছিলেন। কারণ হিসেবে জানান, “মানুষ নিজের কষ্টের কথা যাকে শেয়ার করে অভ্যস্ত, তাকেই কোথাও গিয়ে খোঁজেন তারা। রচনা বলেন, তাঁর সঙ্গে সেই সম্পর্কটা তৈরি হয়ে গিয়েছে মানুষের। তাই তাঁকেই ওই পোডিয়ামে দেখার জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকেন দর্শকরা”। দিদি নাম্বার ওয়ান আসলেই এমন একটি শো যেখানে ঘরের মা বউয়েরা এসে শোনায় তাঁদের দুঃখের এবং বেঁচে ফেরার লড়াইয়ের গল্প।

Back to top button

Ad Blocker Detected!

Refresh