টলিউড

‘আমি অনেক থালা বাসন ধুয়েছি’ – জানুন দীপক অধিকারী থেকে দেব হয়ে ওঠার কিছু মুহূর্ত

দেব থেকে দীপক অধিকারী বর্তমানে এই নাম দুটো বহুল পরিচিত। এপার বাংলা থেকে তাঁর জনপ্রিয়তা পৌঁছেছে ওপার বাংলাতেও। যদিও এখন আর তিনি শুধু একজন অভিনেতা নন। বিনোদনের দুনিয়ায় তিনি হয়ে উঠেছেন প্রযোজক। শুধু তাই নয় তাঁর অভিষেক হয়েছে রাজনীতিতেও। এখন তিনি একজন সাংসদ।

তবে সাধারণ একটা ছেলে দীপক অধিকারী থেকে দেব হয়ে ওঠার গল্পটা সম্পূর্ণটাই নিজের চেষ্টায়। কিন্তু এর জন্য তাঁর কখনোই কোন প্রয়োজন পড়েনি ফিল্মি ব্যাকগ্রাউন্ডের। যদিও বেশ কম বয়স থেকেই অভিনয় জগতকে দেখেছেন খুব কাছ থেকে। আদি বাড়ি খাটালে হলেও জীবনের বেশ কিছু বছর কেটেছে মুম্বাইতে। সেখানে বাবার ব্যবসার কারণে থাকতে হতো তাঁদের।

বাবার ক্যাটারিং এর ব্যবসার কারণেই মুম্বাইয়ের স্টুডিও পাড়ায় খাবার দিতেন তাঁর বাবা। আর দেব সেই কাজে বাবাকে সাহায্য করতেন। সে সময় কলেজে পড়ার পাশাপাশি বাবাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন ছেলে। সেই সময় থেকেই প্রচুর অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মাঝে থাকতে থাকতে তাঁর মনেও তারকা হওয়ার স্বপ্ন জেগেছিল। সেই সময় সুযোগ না হলেও পরে বাংলা সিনেমা তাঁকে সেই সুযোগ দিয়েছে।

তবে জার্নিটা সহজ ছিল না। অনুরাগ বাসুর একটি শোতে দেব নিজে জানিয়েছিলেন একটা সময় বাড়ি থেকে সমস্ত টিফিন চলে আসার পর তিনি নিজেই ঘর মুছতেন। অভিনেতার কথায়, ‘আমি অনেক থালা বাসন ধুয়েছি। আমি অনুরাগদাকে অনেক আগে থেকেই চিনি। শুটিংয়ে দেখতাম। অনেকবার ছবি নিয়ে গিয়েছি। এমনো হয়েছে যে অনুরাগদার খাওয়া থালা আমি ধুয়েছি। সেখান থেকে আজ আমি তোমার সামনে বসে আছি, এটা আমার কাছে স্বপ্নের মতো’।

দেবের গল্প শুনে তাঁকে দুহাতে জড়িয়ে ধরেছিলেন অনুরাগ। কিন্তু অভিনেতার কথায় তিনি ব্যতিক্রমী কিছু নন। কারণ প্রত্যেক সন্তানেরই তো উচিত তাঁর বাবা-মায়ের পাশে দাঁড়ানো। তাঁদের কাজে তাঁদেরকে সাহায্য করা। এমনকি অভিনেতা এও বলেন যে আজকে যদি তিনি হিরো না হতেন তাহলে হয়তো ওই কাজটাই করতেন।

কিন্তু দেখুন কর্মের গতি কাকে বলে। আজকে ছেলের প্রযোজনা সংস্থায় নাম রয়েছে তাঁর বাবারও। তবে অভিনেতা জানিয়েছেন একটা সময় সিনেমার জগতে তাঁর বাবার বিশেষ কিছু পরিচিতি থাকলেও ছেলের জন্য কারোর সামনে কোন কথা বলতে পারেননি। শুধুমাত্র বলেছিলেন প্রকাশ ঝাঁ এবং আব্বাস মস্তান। কিন্তু তাঁর আজকের পরিচিতি তিনি নিজে করেছেন।

Back to top button

Ad Blocker Detected!

Refresh