৫ বছরে কাজের খতিয়ান দেখিয়ে ইস্তফাপত্র দিলেন মিমি! বললেন, “রাজনীতি আমার জন্য নয়”
![](https://www.kolkatajournal.com/wp-content/uploads/2024/02/Jadavpur-MP-Mimi-Chakraborty-submitted-her-resignation-letter-to-Chief-Minister-Mamata-Banerjee-in-the-Assembly.jpg)
সামনে লোকসভা নির্বাচন। আর তার আগে তৃণমূলের একের পর এক তারকা সাংসদ চমক দিয়ে চলেছেন। কিছুদিন আগে দলের অস্বস্তি বাড়িয়েছিলেন দেব অর্থাৎ দীপক অধিকারী। অবশেষে বৃহস্পতিবার যাদবপুরের সাংসদ মিমি চক্রবর্তী বিধানসভায় গিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ইস্তফা পত্র জমা দিলেন।
রাজনীতি তার জন্য নয়, এ কথা নিজেই জানিয়েছেন মিমি চক্রবর্তী। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে চান না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। যদিও মিমির ইস্তফা পত্র গ্রহণ করেননি মমতা।
এই ঘটনার ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতে মিমি তার সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে পাঁচ বছরের এমপি ল্যাডের খরচের হিসেব দিলেন। গত পাঁচ বছর ধরে যাদবপুরের মানুষের উন্নয়নের জন্য ১৭ কোটি টাকার বেশি খরচ করেছেন মিমি।
বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়ে সমালোচকদের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে অভিনেত্রী সাংসদ বলেন, “সাংসদ ফান্ডের কত টাকা কোথায় ব্যবহার হয়েছে, কোথায় কাজ হয়েছে, সেই তথ্য নির্দিষ্ট পোর্টালেই পেয়ে যাবেন। এক নম্বরে কার নাম রয়েছে, সেটা যাচাই করে নিন। আর সেটাই আমার গর্বের কারণ।”
বিগত পাঁচ বছর ধরে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সাতটি বিধানসভা এলাকায় কোথায় কত কোটি টাকায় তিনি খরচ করেছেন তার সম্পূর্ণ খতিয়ান দিয়েছেন মিমি। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটের জয়লাভ করেছিলেন।
সেদিন ফেসবুক পোস্টে মিনি লিখলেন, “আমার জীবন অধ্যায়ের অধিকাংশ সময় অভিনয় জগতে থেকে মানুষকে মনোরঞ্জন করেছি। কিন্তু বিগত ৫ বছর, বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ গণতন্ত্রের একজন সাংসদ রূপে যতটা কাজ সাধারণ মানুষের জন্য করতে পেরেছি, মানুষের করের টাকা সঠিকভাবে ব্যবহার করে উন্নয়নমূলক কাজ করেছি, সৎপথে থেকে মাথা উঁচু করে এগিয়ে গেছি…
সেই সফরের কথা মনে করলে মারাত্মক আত্মতুষ্টি হয়। তাই আনন্দের সাথে বিগত ৫ বছরের আমার সাংসদ রূপে যাবতীয় কাজের খতিয়ান আজ জনসমক্ষে তুলে ধরলাম।”
আরও পড়ুন : কলমে জোর না থাকলে নায়িকা পাল্টে টিআরপি হয় না! ফ্যাক্ট লাভ বিয়ে আজকাল ও চিনি!বলছেন দর্শক!
মিমির তথ্য বলছে, সাংসদ তহবিল থেকে ১ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা বারুইপুর পশ্চিমের জন্য ব্যয় করেছে। বারুইপুর পূর্ব বিধানসভা এলাকায় ২ কোটি ২ লক্ষাধিক টাকা, দক্ষিণ সোনারপুরের জন্য ৫ কোটির বেশি টাকা, টলিগঞ্জ ও যাদবপুর বিধানসভা এলাকার উন্নয়নে যথাক্রমে সাংসদ খাতের ৪ কোটি ২৫ লক্ষ এবং ১ কোটি ২৫ লক্ষাধিক টাকা ব্যয় হয়েছে।
সবশেষে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি লেখেন, “আন্তরিক কৃতজ্ঞতা আমার নেত্রী, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-কে, তার স্নেহের হাত আমার মাথায় সর্বক্ষণ রাখবার জন্য।
আগামী দিনে আমি সক্রিয় রাজনীতিতে থাকি বা না থাকি, আমার কাজের মাধ্যমে আমি নিশ্চিতরূপে মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায় থাকব”। একেবারে শেষে সমালোচকদের উদ্দেশ্যে লেখেন “কুছ তো লোগ কহেঙ্গে, লোগোকা কাম হ্যায় কহনা”।