টলিউড

শিশুদের জন্য অনাথ আশ্রম না বরং বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের জন্য একটি বৃদ্ধাশ্রম খুলতে চান অভিনেত্রী ইন্দ্রানী হালদার, তাঁর এই ইচ্ছার পেছনে কি কারণ তাও জানান অভিনেত্রী

টলিপাড়ার ধারাবাহিক গুলিতে কাজ করার পর টলিউডের পরিচালক প্রযোজকদের চোখে পড়লে অনেক অভিনেতা অভিনেত্রীকেই তাঁরা তুলে নেন নিজেদের সিনেমাগুলিতে। অভিনেত্রী ইন্দ্রানী হালদারের শুরুটাও ঠিক এমনই হয়েছিল। একেবারে প্রথম ধারার ধারাবাহিকের মধ্যে কাজ করেছেন তিনি, ‘তেরো পার্বণ’ ধারাবাহিকটি মনে আছে? সব্যসাচী চক্রবর্তী ইন্দ্রানী হালদার একসাথে ছিলেন সেই ধারাবাহিকে।

এই ধারাবাহিকে কাজ করার পর আর ফিরে তাকাতে হয়নি অভিনেত্রীকে‌। এসেছে একের পর এক ছায়াছবির অফার‌। ১৯৯০ সালে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বিপরীতে ‘মন্দিরা’ ছবিতে তাঁর ডেবিউ হয়। তারপর বেশ ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন নিজের কাজে। দিয়েছেন একের পর এক হিট ছবি।

তবে সেইটিই অভিনেত্রীর জীবনের সব থেকে বড় আফসোস। তিনি এত কাজ করে নিজে অনেক খুশি ছিলেন, দর্শকদের ‘শ্রীময়ী’-র মতো মেগা উপহার দিতে পেরেছেন বলে নিজেকে ভাগ্যবতীও মনে করেছেন। তবে যেই কষ্ট ইন্দ্রানীকে সবথেকে বেশি কষ্ট দেয় তা হল তাঁর মা না হতে পারা। তিনি নিজেই জানান তাঁর কর্মব্যস্ততার কারণেই আজ তিনি নিঃসন্তান। মা না হওয়ার কষ্ট যারা মা হতে পারে না তারা ছাড়া আর কেউই বুঝবে না।

তবে সেসব ছেড়ে ইন্দ্রানী এগিয়ে যেতে চেয়েছেন, এবং ভেবেছেন একটা সময়ে ওনার নিজেরও বার্ধক্য আসবে। কিন্তু তখন তাঁর দেখভাল করবে কে? তাই তিনি সেইসব বৃদ্ধ বৃদ্ধার কথা ভেবেই খুলতে চান একটি বৃদ্ধাশ্রম। যাদের না কখনো সন্তান ছিল, আর যাদের সন্তান থেকেও তাঁরা একা‌। তাই তাঁদের জন্যই ইন্দ্রানী খুলতে চান এমন এক বৃদ্ধাশ্রম যেখানে বিনামূল্যেই থাকতে পারবে সকলে। তাঁদের ছেলে মেয়েকে মাস গেলে টাকাও পাঠাতে হবে না।

সম্প্রতি এক স্টেজ শো-তে গিয়ে এই ইচ্ছার কথাই জানান ইন্দ্রানী। তিনি আরো জানান যে তিনি অনাথ আশ্রম করতে চান না কারণ তাঁদের জন্য ইতিমধ্যেই অনেক কিছু হচ্ছে, বাবা মায়েরা নিজের সন্তান থাকলেও এগিয়ে আসছে নতুন সন্তান দত্তক নেওয়ার জন্য। সার্ভে অনুযায়ী সত্যিই ভারতে দত্তক নেওয়ার সংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু এই বুড়ো বাবা মায়ের কথা ভাবাটা খুব কম হচ্ছে। জীবনের শেষ সময়টুকু যাতে তাঁরা মাথা তুলে বাঁচতে পারে তারই ব্যবস্থা করতে চান অভিনেত্রী ইন্দ্রানী হালদার।

Back to top button

Ad Blocker Detected!

Refresh