ঠাকুমার আদর আর হাতের রান্না খেতে অঙ্কুশ আর ঐন্দ্রিলা চলে গেলেন দুর্গাপুর, লক্ষ্মী ছেলের মতো থালা পরিষ্কার করে সবকটি পদ খেয়ে দেখান অঙ্কুশ
অঙ্কুশ আর ঐন্দ্রিলাকে সবারই চেনা, বেশ কয়েক বছর ধরেই তাঁরা একে অপরের সাথে সম্পর্কে আছেন, সবকিছু ঠিক থাকলে দু-তিন বছরের মধ্যে তাঁরা বিয়ের পিঁড়িতেও বসে যেতে পারেন। তবে আপাতত অঙ্কুশ আর ঐন্দ্রিলা খেতে বসেছেন শুভ্রনীলের ঠাকুমা বাড়িতে। কথা ছিল ‘ঠাকুমার আদর’ প্রতিযোগিতায় যে জিতবে সেই প্রতিযোগীর বাড়িতে অঙ্কুশ ঐন্দ্রিলা সমেত তাঁদের পুরো টিম খেতে যাবেন। কথা মতো কাজও করলেন দুজন।
রবিবার সকালে সেজেগুজে চলে গেলেন দুর্গাপুর। গাড়ি বাড়ির সামনে আসতেই পিছনে শঙ্খ আর উলুধ্বনি শুরু, বরণ করে ঘরেও নিয়ে যাওয়া তাঁদের। শুভ্রনীলের ঠাকুমা এই দু’জনকে পেয়ে বেশ খুশি হয়েছেন। ঐন্দ্রিলার গালে হাত বুলিয়ে চুমুও দিলেন একটি। চুমু খাওয়া হল তবে ঐন্দ্রিলাকে আগে কেন? এ নিয়ে মুখ গোমরা করে দেন অঙ্কুশ, তবে নেহাতই তা মজা করে। ঠাকুমা তাঁর নিজের নাতি নাতনীর মতো আদর করে খেতেও দেন তাঁদের।
তবে তাঁর আগে শুভ্রনীলের বাড়িতে চলল অনেকক্ষনের আড্ডা। গাড়িতে যাওয়ার সময় অঙ্কুশকে লাইভ করতেও দেখা যায় তাঁদের যাত্রার সময়ে। প্রায় ছয় ঘন্টা সফর করে কলকাতা থেকে বর্ধমান হয়ে দুর্গাপুরে শুভ্রনীলের বাড়ি পৌঁছন তাঁরা। গিয়েই চলে আড্ডা, আর তারপরেই খাওয়া দাওয়া। কেনই বা হবে না, জানা গেছে শুভ্রনীলের বাড়ির লোক ভোর চারটে থেকে উঠে রান্নার কাজ শুরু করেছেন।
মেনুতে ছিল ফ্রায়েড রাইস, চাটনি, মটন, ফ্রুড স্যালাড। অঙ্কুশ খেতে বসে একেবারে আত্মহারা, চেটেপুটে সব খাবার শেষ করেন লক্ষ্মী ছেলের মতো। ঐন্দ্রিলাও সবটা খাওয়ার চেষ্টা করেন। ফ্রুড স্যালাড খাওয়া নিয়ে ঐন্দ্রিলা বলেন এগুলো তো বরাবরই খাই, তাই আজকে এগুলো দিয়েই পেট ভরাবো। অঙ্কুশ আর ঐন্দ্রিলা পরে রিলও পোস্ট করেন তাঁদের বাড়িতে কাটানো মুহূর্তের।
View this post on Instagram
বর্ধমান থেকে ফেরার পথে না নেমে পারলেন না তিনি, নেমে পরেন নিজেরই পাড়ার আশে পাশে। সেখানেই তাঁর এক বন্ধুর রামপ্রসাদের লস্যির দোকান। তাই গাড়ি থেকে টুক করে নেমে লুকিয়ে লুকিয়ে চলে যান তাঁর বন্ধুর দোকানে লস্যি খেতে। সব মিলিয়ে শুভ্রধীলের বাড়ি, লস্যির দোকান, এগুলো নিয়ে খুব ভালোই দিন কেটেছে তাঁদের। সবশেষে সবাইকে শুভ্রনীলের বাড়ি থেকে বেরোবার পথে লাভ ম্যারেজ দেখবার কথাও জানান তিনি।
View this post on Instagram