অন্যদের সঙ্গে ফ্লার্ট করতে করতে ধরা খেলেন প্রেমিকা ঐন্দ্রিলার হাতে, তারপরেই মুখ লুকোনোর নাটক শুরু অঙ্কুশের, অজ্ঞান হয়ে পড়েও গেলেন তিনি
বেশ অনেকগুলো বছরই হয়ে গেল প্রেম করছেন অঙ্কুশ আর ঐন্দ্রিলা। একদিন সকলকে অবাক করে বলিউডি সেলিব্রেটিদের মতো লুকিয়ে বিয়েটাও সেড়ে ফেলতে পারেন তাঁরা। তবে তারমধ্যেই বেঁধে গেল ঝামেলা, অঙ্কুশকে নিজের জায়গা দেখিয়ে দিল ঐন্দ্রিলা।
ডান্স বাংলা ডান্সের মঞ্চে হোক কিংবা সোনার সংসার অ্যাওয়ার্ডস-এ, ফ্লার্টবাজি অঙ্কুশ সব জায়গাতেই করে থাকে। আর গার্লফ্রেন্ড যেখানে অনুপস্থিত থাকে সেখানে তো করবেনই। অভিনেতার ট্রেডমার্ক হয়ে গেছে যেন প্রেমিকা ছাড়া অন্যান্য সুন্দরী মেয়েদের সাথে প্রেমালাপ করা। ডান্স বাংলা ডান্সে শুভশ্রী, পূজা, মৌনি – কাউকেই বাদ রাখেনি অঙ্কুশ। পূজার সাথে হাত ধরাধরি করে কোমরও দুলিয়েছেন দুজনে।
এমনকি পূজাকে এমনটিও বলতে শোনা গেছে, “তুই ঐন্দ্রিলাকে মানিয়ে নে, আমিও আমার বরকে মানিয়ে নেব”। গতবারের সিজনে প্রতিযোগী, এমনকি তাঁদের মায়েদের সাথেও ফ্লার্ট করতে দেখা গেছে তাঁকে। তবে এসমস্ত কিছু অঙ্কুশ নেহাতই বিনোদন প্রদানের জন্যই করে থাকেন, তাঁর প্রেমিকা ঐন্দ্রিলাও একথা ভালোমতোই জানেন। তবে তাও পছন্দ হলো না তাঁর এসব। তাইতো সোজা অঙ্কুশের চেয়ার দখল করবার কথা বললেন ঐন্দ্রিলা।
অঙ্কুশের সঞ্চালনার কাজটি নিয়ে নেবে ঐন্দ্রিলা, এমনটাই বলতে চাইলেন তিনি। তারপরে অঙ্কুশ প্রশ্ন করেন, “তাহলে আমার জায়গা?” এরপরে ঐন্দ্রিলা এও দেখিয়ে দেন যে তাঁর জায়গা কোথায়, ইশারা করে দেখালেন ঐন্দ্রিলার পায়ের কাছেই অঙ্কুশের স্থান, আর মুখে বললেন, “যেটা বাড়িতে থাকে, সেটা এখানেও”। সাথে সাথেই চারপাশের সকলে ফেটে পড়েন হাসিতে। এই ঘটনার পর থেকেই প্রেমিকার ভয়ে সেটের সকলকেই দিদি বলে ডাকতে শুরু করে অঙ্কুশ। প্রথম চোটে মঞ্চে ঐন্দ্রিলাকে দেখে অজ্ঞান হওয়ারও নাটক করে অঙ্কুশ। নিজেদের নতুন ছবি ‘লাভ ম্যারেজ’-এর প্রোমোশন নিয়ে বেশ ব্যস্ত দুজনেই, অনেক নতুন নতুন কৌশলের সাথে ছবির মার্কেটিং করবেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা, এবং কিছুটা অর্থে করছেনও বটে।