টলিউড

“স্বপ্নেও কারও ভাত মারতে পারবো না” – অভিষেক চ্যাটার্জীর করা অভিযোগ একচোটে উড়িয়ে দিলেন অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়

‘ইন্ডাস্ট্রি’ ডাকনাম তাঁর, দুই দশক ধরে নিজেই রাজ করেছেন বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে, প্রথম দশকে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, শ্রীলেখা মিত্র, দেবশ্রী রায়, ইন্দ্রানী হালদারের সাথে করেছেন অনেকগুলি কমার্শিয়াল ছবি। বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সুপুত্র হলেও নিজেই নিজের নাম গড়তে সফল হয়েছিলেন তিনি এই ইন্ডাস্ট্রিতে।

প্রকাশিত হয়েছে অভিনেতার এক্সক্লুসিভ একটি সাক্ষাৎকার, যেখানে নিজের জীবন নিয়ে আরো অনেক গোপন তথ্য ভাগ করে নিয়েছেন প্রসেনজিৎ। জানালেন নববর্ষে মুক্তি পাওয়া তাঁর দুটি কাজ নিয়েও। দুটি কাজেই দুটি বিপরীতধর্মী চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে, ‘শেষ পাতা’য় তিনি লেখক, আবার ‘জুবিলি’তে তিনি বিখ্যাত পরিচালক প্রযোজক শ্রীকান্ত রায়।

অভিনেতা জানালেন প্রত্যেক ৯-১০ বছরের মধ্যে তিনি নিজের অভিনয় জীবনে আমুল পরিবর্তন ঘটান, এমনটাই চ্যালেঞ্জ নিয়ে বসেন নিজের সাথে আর কি। প্রথমে কমার্শিয়াল ছবি করে নাম বানালেও বর্তমানে আমরা প্রসেনজিতকে তাঁর সমান্তরাল ছবির জন্য চিনি। পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষের হাত ধরেই অভিনেতার সমান্তরাল ছবির পথচলা শুরু। তারপরে ‘অটোগ্রাফ’, ‘জাতিস্বর’,’মনের মানুষ’-এর মতো ছবি করে নাম গড়েছেন তাঁর। তবে কাজ করে গেছেন বাংলা ভাষাতেই, বলিউডে যাওয়ার ইচ্ছা তাঁর বরাবরই ছিলও না বলে জানান তিনি।

অন্যান্য অভিনেতাদের থেকে জোর করে তাঁদের ছবি কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে বুম্বাদাকে নিয়ে, সে বিষয়ে তিনি জানান, একসময়ে মনে হত সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মেছি, গাড়ি করে স্কুলে যেতাম, পিছনে একটা লোকও দাঁড়িয়ে থাকত‌। তারপর এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছে অভিনেতার মা-কে যে তিনি ব্যাগ থেকে খুচরো পয়সা বার করে একটা ডিম আর আলু দিয়ে ভুজিয়া করে খাইয়েছেন প্রসেনজিতকে‌। এরপর অভিনেতা বলেন, “পৃথিবীতে সব অন‌্যায় হয়তো করতে পারি, কিন্তু স্বপ্নেও কারও ভাত মারতে পারব না”।

সম্প্রতি তাঁর নতুন চ্যালেঞ্জ ছিল ওয়েব সিরিজে কাজ করা। ‘জুবিলি’র মাধ্যমে তাঁর এই চ্যালেঞ্জও পূর্ণ হলো। ‘জুবিলি’তে তাঁর অভিনয় দক্ষতা পছন্দ হয়েছে অনেকের, ফোন এসেছে বলিউড থেকেও, কাজের সুযোগ আসছেও ঝুড়ি ঝুড়ি, তিনি বলেন, “জুবিলী রিলিজের পর এত কমপ্লিমেন্ট, ফোন, মেসেজ পেয়েছি কি বলবো? এটা তো সিনেমা বা সিরিয়াল নয় সিরিজ। এইখানে যে নিজেকে ফিট ইন করাতে পারলাম, আমি খুশি”।

ওদিকে ‘শেষ পাতা’য় তিনি লেখক, যেখানে টাকা ধার নেওয়া ও তা সোধ না করতে পারার গল্প রয়েছে। ওই গল্পের জন্য শারীরিকভাবে অনেক পরিবর্তন আনতে হয়েছে অভিনেতাকে, ভাঙতে হয়েছে শরীরও। তিনি জানান, “এই চরিত্রটা করতে গিয়ে আমি নিজেকে ভেঙেছি। চেহারা, হাঁটাচলা সবদিক থেকে। ওই কণ্ঠস্বর বের করে আনা খুব শক্ত ছিল”।

ওদিকে ‘জুবিলি’র জন্য প্রসংশিত হয়েছে সকলের থেকেই। আর এই ‘সকলের’ মধ্যে পরছে বিশেষ এক দল নারী। আসলে অভিনেতার ছেলের মেয়ে বান্ধবীরা ‘জুবিলি’ দেখে জানায় প্রসেনজিৎ-কে বেশ হট লেগেছে তাঁদের। অভিনেতার কথায় “ছেলের বান্ধবীরাও ট্রেলার দেখে বলেছে ইওর ফাদার ইজ টু হট”।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Prosenjit Chatterjee (@prosenstar)

Back to top button

Ad Blocker Detected!

Refresh