‘ভিল ফুড’ চ্যানেল খ্যাত ঠাকুমার হাতের তৈরি চিতল মাছের মুইঠা খেতে সুদূর মুম্বাই থেকে বীরভূমের রাঙা মাটির গ্রামে এলেন অভিনেত্রী সুমনা।
রসনা তৃপ্তি করতে পারলে, জয় করে নেওয়া যায় মন। বাঙালি মুখে এই কথা যুগ যুগ ধরে শুনে আসছে সবাই। সেই রসনার তৃপ্তি করতেই শুধু মুম্বাই থেকে বীরভূমের এক গ্রামে এলেন অভিনেত্রী। যার তার নয় তার রচনার তৃপ্তি ঘটাবে? জনপ্রিয় ঠাকুরমার হাতের তৈরি চিতল মাছের মুইঠা।
কে এই সুমনা? সেটা নিশ্চয়ই আর বলতে হবে না! বাঙালি অভিনেত্রী সুমনা চক্রবর্তী বলেন কপিল শর্মা শো এর একজন অতি পরিচিত মুখ। একটা আধটা সিজন নয়, বেশ অনেকগুলি সিজন ধরে তিনি বিভিন্ন ভূমিকায় অভিনয় করে চলেছেন। আগের সিজনে সুমনা অভিনয় করেছিলেন সরলা গুলাটির চরিত্র এবং তাকে দেখা যাচ্ছে ভুরি চরিত্রে। তা সুমনার পরিচয় তো পাওয়া গেল , এবার তাহলে জানা যাক এই ঠাকুমা আসলে কে।
বর্তমানে ইউটিউবে একটি রান্নার চ্যানেল বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। গ্রাম বাংলার সেই ইউটিউব চ্যানেলটির নাম ” ভিল্ ফুড” । এই চ্যানেলের জনপ্রিয়তা এখন দেশ ছাড়িয়ে বিদেশে গিয়ে পৌঁছেছে রীতিমত। এই চ্যানেলের রাধুনী হলেন একজন বিরাশি বছর বয়স্কা ঠাকুমা। তার নাম পুষ্পরানি সরকার। তার হাতে রান্না জাদুতে মজেছে সকলে।
ঠাকুমা পুষ্পরানির নাতি সুদীপ সরকারের সুদীপ সরকারের উদ্যোগেই 2017 সালে “ভিলফুড” নামক চ্যানেলটি খোলা হয় ইউটিউবে। তারপর শুরু হয় ম্যাজিক। আগে একদম গ্রাম্যভাবে রান্না করতেন ঠাকুমা। তবে এখন সময়ের সাথে উন্নত প্রযুক্তির সাথে হাত মিলিয়েছেন তিনি। তবে তিনি একা নন তার বৌমা কবিতা ও নাত বউ লিমু এখন ঠাকুমার সাথে সমান তালে হাত মিলিয়ে গ্রাম্য পরিবেশে গ্রাম বাংলার অভিনব সমস্ত রান্না উপহার দেন youtube এর দর্শকদের।
তবে সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে দেখা যাচ্ছে বাঙালি অভিনেত্রীর সুমনা চক্রবর্তী রিল ফুড খ্যাত ঠাকুরমার রান্নাঘরের মেঝেতে বসে চিতল মাছের মুইঠা সহযোগে অন্ন গ্রহণ করছেন। এক্কেবারে জমিয়ে খাঁটি বাঙালির মত কলা পাতার উপরে গরম ভাত , চিতল মাছের মুইঠা ও মিষ্টি দই দিয়ে পেট পুজো সারছেন অভিনেত্রী। সঙ্গে আবার রয়েছে বিভিন্ন রকমের জিভে জল আনা সুস্বাদু সব আচার। তবে এ শুধু ভোজন নয় , খেতে খেতেই চলছে বিস্তর জমিয়ে আড্ডা। অভিনেত্রী খেতে খেতেই জানাচ্ছেন যে ঠাকুরমার হাতের এই মাছের পদটির সত্যিই খেতে অসাধারণ। এর আগে তিনি চিতল মাছ কখনোই খাননি। প্রথমবার টেস্ট করা এই ঠাকুমার হাতে তৈরী মাছের পদটি তার জীবনে খাওয়ার সমস্ত রান্নার মধ্যে সেরা। এটাও বলেছেন যে হয়তো এই কারণেই এই পদটি ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সবচেয়ে প্রিয়।
তবে ঠাকুরমা যেমন বাঙাল ভাষায় কথা বলেন , ঠিক তেমন বাঙাল ভাষা ঠাকুমার কাছ থেকে শিখে নিলেন অভিনেত্রী। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল , শুধু বাঙাল ভাষাই নয় , ঠাকুরমার থেকে বাঙাল ভাষায় গালাগাল দিতেও শিখেছেন অভিনেত্রী। সব মিলিয়ে জম্পেশ একটি পর্ব আমরা উপহার পেয়েছি ঠাকুমা ও অভিনেত্রী সুমনার কাছ থেকে।