বাংলা সিরিয়াল

‘লখনৌয়ের বাইজিখানায় রুচিরা পর্ণার নাচ কে ছবি তুলে কলকাতার কাগজে ছাপাল? পর্ণা রুচিরা ছাড়া অন্য সাংবাদিক তো ছিলো না!’নিম ফুলের মধুতে গল্পের গরু গাছে উঠেছে বলছেন দর্শক!

জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘নিম ফুলের মধু’তে বর্তমানে যে ট্র্যাকটি দেখানো হচ্ছে সেটা বেশ জমজমাট, ধারাবাহিকে দেখানো হচ্ছে যে,সৃজনের ছোটকাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে, তবে সে দোষী নয় সে আসলে নির্দোষ তার নির্দোষ হওয়ার প্রমাণ খুঁজতে দত্ত বাড়ি ছেলে বৌমারা কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন।

ছোটকা যে নির্দোষ তার প্রমাণ জোগাড় করতে লখন‌উএর একটি বাইজি খানায় চলে গেছে সৃজন পর্ণা ছদ্মবেশ নিয়ে আর সেখানে গিয়ে পর্না নিজেই আটকা পড়ে গেছে। এরপর পর্ণা ভাবছে সে কি আর কখনো এই বাইজিখানা থেকে বেরোতে পারবে না? – কখনো কি আর তার সৃজনের সাথে দেখা হবে না? দত্তবাড়িতে কি সে আর কোনদিনও ফিরতে পারবে না, এইসব কথা ভাবতে পর্ণা কাঁদছিলো,তখন এক বাইজি আসে পর্ণার কাছে, সে বলে কোনভাবে এখান থেকে আর বেরোনো সম্ভব নয়।

কিন্তু পর্না বলে যেভাবেই হোক সকলের মাথা ফাটিয়ে হলেও সে সেখান থেকে বেরোবে।এরপরই সেখানে আরো একজনের মুখোমুখি হয় সে, সেও এক বাইজি,সেও বাংলা জানে, তখন পর্ণা ভাবে তিনজন মিলেই পালাতে হবে সেখান থেকে, কীভাবে পর্না সেই বাইজিখানা থেকে বেরোবে, তা তো আমরা দেখবই! কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো এটাই যে পর্ণা ও রুচিরা সাংবাদিক হয়ে লখনৌয়ের বাইজিখানায় গিয়েছিলো তারাই সেখানে বাইজি সাজে নেচেছিল কিন্তু সেটা ডাইরেক্ট কলকাতার খবরের কাগজে ছবি সমেত বেরিয়ে গেছে আর সৃজনের জেঠু সেটা দেখে পড়ছে! যা দেখে তাজ্জব হয়ে গেছে দর্শক কারণ এর পিছনে কোন যুক্তি নেই?

সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে ,“পর্না লখনৌ গিয়ে বাইজি নাচ নেচেচে,কি সব পরেছে বলে অভিযোগ এনেছে জেঠু।জেঠু কোত্থেকে জানলো??পত্রিকাতে দেখে। আচ্ছা বুঝতে পারলাম। কিন্তু আমার একটা প্রশ্ন – লখনৌতে জার্নালিস্ট হিসেবে তো পর্না আর রুচিরা ছিলো।ওরা তো তখন নাচ নিয়ে ব্যস্ত।ওখানে আর কে এমন আছে যে ছবি তুলে একদম এটা পত্রিকাতে পাবলিশড করে দিলো????!”আরেকজন আবার লিখেছেন যে,“যুক্তি খুঁজতে যেও না ধারাবাহিক দেখতে বসে, গল্পের গরু গাছে উঠে গেছে”

Back to top button

Ad Blocker Detected!

Refresh