টলিউড

‘এখনকার ওয়েব সিরিজের একটা ট্রেন্ড হয়েছে এই সে;ক্স, ভায়ো;লেন্স, রক্ত, ডার্ক এবং একটু গোয়েন্দা সিরিজ বেশি’ – আসন্ন ওয়েব সিরিজ ‘ডাকঘর’ প্রসঙ্গে অকপটে কাঞ্চন

বাংলা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির অনেকগুলো জেমস বা হিরে আছে, আর এই হিরে গুলি হচ্ছেন এক একজন ব্যক্তিত্ব। ১৯৯৬-২০১০ এই পনেরো বছরে বাংলা সিনেমাতে যেসকল ব্যক্তি আমাদের সকলের মুখে হাসি ফুটিয়েছে তাঁদের মধ্যে অন্যতম একজন হলেন অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক। সম্প্রতি তাঁর একটি সাক্ষাৎকার সামনে এসেছে যেখানে তাঁর মুখ থেকে শোনা গেছে টলিউড ইন্ডাস্ট্রির নানান তথ্য, আর বর্তমান সিনেমা সিরিজের ধরণ বা Genre নিয়েও বলেছেন নিজের মতামত, জেনে নিন তিনি কি বলেছেন:

সম্প্রতি মুক্তি পেতে চলেছে ‘ডাকঘর’ ওয়েব সিরিজ, ইতিমধ্যে মুক্তি পেয়েছে তার ট্রেলারও। আর তাতে কাঞ্চন মল্লিককে দেখা গেছে দুর্দান্ত এক চরিত্রে, একসময় তাঁকে দেখে মনে হয়েছে ইতিবাচক এক চরিত্র, আর একইসময়ে তাঁর চরিত্রে দেখা মিলেছে ধূসর এক প্রতিচ্ছবির। তাঁর চরিত্র সম্বন্ধে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “আমার চরিত্রের নাম মধুসূদন যে এই ডাকঘরটার কেয়ারটেকারও বটে, পিওন আবার পার্সোনাল অ্যাসিসটেন্ট পোস্টমাস্টারে। পোস্টমাস্টারের সাথে তার আলাদাই বন্ধুত্ব, ঝগড়াঝাটিও হয়। তবে একটা টুইস্ট আছে গল্পে যেটা আমি এখন বলবো না, তবে মনে হয় সেইটা জমে যাবে, ভালো লাগবে সবার”।

এখনকার এই ওয়েব সিরিজের প্লট থেকে ‘ডাকঘর’-এ নতুনত্ব কী আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “দেখো আমি একটা সত্যি কথা বলবো খারাপ মনে কোরো না, আর কোনো ওয়েব সিরিজকেই বা তাঁদের নির্মাতাদের ছোটো করছি না তবে এখনকার ওয়েব সিরিজের একটা ট্রেন্ড হয়েছে এই সেক্স, ভায়োলেন্স, রক্ত, ডার্ক এবং একটু গোয়েন্দা সিরিজ বেশি, ডাকঘরে কিন্তু এইটা নিয়ে এগুলো নেই, তখন জিজ্ঞেস করবে ‘ডাকঘর’-এ তবে কী আছে। আমি বলবো আছে। এই যে ডাকঘরের চিঠি, না বলা কত চিঠি থাকে না, এবং সেই চিঠিগুলি এক একটি মানুষের জীবন পাল্টে দিতে পারে”।

ডাকঘর যখন সিরিজের নাম তখন কী চিঠি নিয়ে কথা হবে না, তাই তাঁর কোনো পুরানো পেন ফ্রেন্ড নিয়ে মতামত জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “আমার এক দিদি আছে, কলকাতায় থাকত তখন ও, আমার থেকে পাঁচ ছয় মাসেরই বড়। তো আমাদেরই চিঠি চালাচালি হত খুব, আর ফোন করে বলাও হত যে দেখ আমি কিন্তু দু’পাতা চিঠি লিখে পাঠিয়েছি, তুই চার পাতার উত্তর পাঠাবি, তো ওই ছিল আমার পেন ফ্রেন্ড।

অতীতে ভক্তরা তাঁদের পছন্দের তারকাকে চিঠি লিখতেন যা এখনো হয়ত চলে তবে খুবই বিরল, যাকে আমরা বলে থাকি ফ্যান লেটার। এরকম চিঠি অভিনেতা পান কিনা জিজ্ঞেস করায় তিনি বলেন, “না না চিঠি কী কেউ অটোগ্রাফই নিতে চায় না, সবাই খালি সেলফি সেলফি করে”। অটোগ্রাফ চায়না কেউ কারোর থেকে আর, এটায় কী তাঁর অভিমান হয় জিজ্ঞেস করলে তিনি হতাশ হয়ে বলেন “হ্যাঁ একটু অভিমান তো হয়, অটোগ্রাফের মধ্যে একটা ব্যাপার থাকে, কিন্তু সবাই এখন ওই সেলফিতেই মজে আছেন আর কি”।

প্রেমপত্র লিখেছেন কিনা জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, “প্রেমপত্র লিখিনি তা নয়, তবে আমার শারীরগত কাঠামো আগে যেমন ছিল কেউই আমার প্রেমপত্র নেবে না তা আমি জানতামই আগে থেকে, কেউ নিতও না, আমি হ্যান্ডিক্যাপড কোটায় পরে থাকতাম ওই আর কি, তবে হ্যাঁ চিঠি অনেক লিখেছি, কিছু কিছু ডেলিভারড আর কিছু কিছু আনডেলিভারড”।

‘ডাকঘর’-এ কর্মরত বেশিরভাগ মানুষই খুব ইয়ং, পরিচালক থেকে শুরু করে অভিনেতারাও, তাই এই বয়সের তারতম্যে কাজের ক্ষেত্রে কেমন কি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এখনকার ছেলে মেয়েদের সাথে কাজ করলে অনেক কিছু শেখার আছে, জানার আছে এবং তাঁদের মধ্যে যে এন্থু (Enthusiasm)-টা আছে সেটা না আমি খুব ইর্ষা করি, অ্যান্ড দে আর সো ভেরি গুড।

সবশেষে প্রেম নিয়ে কি বলবেন জানতে চাইলে বলেন, “হোয়াটসঅ্যাপের প্রেম নয়, চ্যাটিংয়ের প্রেম নয়, টুইটারের প্রেম নয়, অন্তরের প্রেমে বিশ্বাস করি আমি, ভালো থাকবেন, প্রেমে থাকবেন”। আর ওয়েব সিরিজ নিয়ে দর্শকদের জানান “দেখুন, সিরিজটি দেখুন আমি খুব আশাবাদী এটি‌ নিয়ে যে লাগবে সবার ভালো, একদম গ্রামের কয়েকটা সাদামাটা চরিত্র নিয়ে গল্প, তাই নিশ্চয়ই দেখুন, সকলের ভালো লাগবে”।

Back to top button

Ad Blocker Detected!

Refresh