টলিউড

‘আমি যদি বোটক্স করিয়েও থাকি তাহলে কার কি এসে যায়’! চেহারা নিয়ে কটাক্ষের জবাব দিলেন শুভশ্রী, নিজের চরকায় তেল দেওয়ার উপদেশ দিলেন অভিনেত্রী

টলিউডের(Tollywood) অন্যতম ব্যস্ততম অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলী(Subhashree Ganguly)। বড়পর্দা, ওয়েব দুনিয়া, প্রযোজনা, তার পাশাপাশি সংসার সবকিছুই একা হাতে সামলাচ্ছেন তিনি। সম্প্রতি নিজের প্রথম ওয়েব দুনিয়ার অভিজ্ঞতা নিয়ে মুখোমুখি হয়েছিলেন আনন্দ প্লাসের। সেখানেই নেটিজেনদের এক হাত নিলেন তিনি।

প্রথমেই নিজের কাজ নিয়ে কথা বললেন তিনি। পুরো দমে যখন কাজে ফিরেছেন শুভশ্রী জানিয়েছেন, প্রত্যেকদিন একটা করে কাজের প্রস্তাব আসে। কিন্তু তিনি নিজের পরিবারের এবং ছেলের সঙ্গে সময় কাটাতে বেশি ভালোবাসেন। তাই অপেক্ষা করে থাকেন এমন একটা কাজ চাই এটা থেকে এই ঘরটা থেকে টেনে বার করতে পারবে। যেমন সম্প্রতি সময় কাজগুলি তিনি করেছেন।

এই প্রথম ওয়েব সিরিজে পা রাখতে চলেছেন অভিনেত্রী। তাও ইন্দুবালা ভাতের হোটেলের(Indubala Bhater Hotel) মতন একটি গল্প নিয়ে। অভিনেত্রী জানিয়েছেন,’ ওয়েব সিরিজে(Web Series) ডেবিউ করার জন্য ইন্দুবালা সেরা চরিত্র। এরকম সুযোগ হাতছাড়া করলে নিজেকে দোষী মনে হতো। পরিচালক দেবালয় ভট্টাচার্য বলেছিল, ‘চিত্রনাট্য লিখতে গিয়ে তোমাকেই চোখ বন্ধ করে দেখতে পেয়েছি’।

কিন্তু চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে কি কখনো চিন্তায় পড়তে হয়েছিল তাকে? অকপট শুভশ্রী,’ বয়স্ক ইন্দুবালার স্বর নিয়ে খুবই ভয় ছিলাম। জানতাম শরীরে ভাষা কিংবা অভিনয় নিয়ে সমস্যা হবে না। কিন্তু স্বর কিভাবে বদলাবো। এজন্য অনেক পরিশ্রম করেছি। তবে ভয়েস মডুলেশনের ট্রেনিং নিইনি। শুটিং এর সময় বাকিটা ডাবিং নানাভাবে স্বর বদলে কাজটা করেছি। তারপর পরিচালকের যেটা পছন্দ হয় সেটি রাখা হয়েছে পর্দায়।

তবে পরিচালকের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে নাকি ভয়ঙ্কর রকমের অভিজ্ঞতা হয়েছে তার। জানিয়েছেন,’ শুটিং স্পটে দাঁড়িয়ে একদিন গোটা চিত্রনাট্য লেখা কাগজটাই ছিড়ে ফেলে দিয়েছে। নতুন করে চিত্রনাট্য লিখে শুটিং শুরু হয়েছে। তবে পরিচালক আমার কাজের ধরনের প্রশংসা করেছে। ফ্লোর ছেড়ে বেরোতাম না। শুটিংয়ের অবসরে লোকজনদের সঙ্গে হাসি মশকরা না করে কাজটা দেখতাম মন দিয়ে। যেমন ইন্দুবালার রান্নাঘর গোছানোর সময় আমিও সাহায্য করেছি। কারণ ওটা তখন আমার হয়ে গিয়েছে।

তবে ইন্দুবালার শুটিংয়ে ইন্দুবালায় হয়ে উঠছিলেন আস্তে আস্তে শুভশ্রী। বাড়ি থেকে বেরোতেন যখন হয়ে যেতে ইন্দুবালা। ৭৫ বছর বয়সী বৃদ্ধাকে ফুটিয়ে তুলতে কুঁজো হয়ে হাঁটতেন তিনি। বাড়িতেও সেই ভাবে হাঁটাচলা অভ্যেস করতেন। সেই কারণে পা ফুলে যেত। শুটিং শেষে বাড়ি ফিরেও ভালো লাগতো না। আসলে তিনি ইন্দুবালাকে নিয়েই ঘরে ফিরতেন। শুভশ্রী মেনে নিয়েছেন ইন্দুবালা তার জীবনের এমন একটা চরিত্র যেটা জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বই নিয়ে যাবেন তিনি। ঠিক যেমন পরিনিতার মেহুল চরিত্রটি।

তবে নতুন ছবিও আসতে চলেছে তার। জানালেন নিজের মুখেই। বাবা যাদবের পাখি ছবিটি মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। এটিও এমন একটি চরিত্র যা তাকে ঘর থেকে টেনে বার করেছে। পাশাপাশি নৃত্যশিল্পী তিনি। ডান্স বাংলা ডান্সের নতুন বিচারক তিনি। তাই জানিয়েছেন নাচ নিয়ে যদি বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে কোন ছবি হয়। এবং পরিচালক যদি তার কাছে নিয়ে আসেন তাহলে অবশ্যই তিনি করবেন। যদি গল্পটাও ঠিকঠাক জোরদার হয়।

শুভশ্রী কথা বলেছেন ট্রোলিং(Trolling) নিয়েও। যেভাবে জিরো ফিগার থেকে ৯২ কেজি ওজন হয়েছিল তার সেই সময়টাতে বডি শেমিং এর শিকার হতে হয়েছিল তাকে। তবে শুভশ্রী জানিয়েছেন পুরো অধ্যায়টা তিনি উপভোগ করেছেন। মজা নিয়েছেন ট্রোলিংয়ের। কে কি বলল তাতে এসে যায় না।

সম্প্রতি ইন্ডাস্ট্রিতে গুঞ্জন বোটক্স করিয়েছেন শুভশ্রী। যদি অভিনেত্রী নিজে মানতে চাইলেন না একবারের জন্য। পাশাপাশি জানিয়েছেন বোটক্স একটি বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি। যদি তিনি করিয়েও থাকেন। তাহলে কারোর কিছু বলার নেই। আর তিনি শুনতেও চান না।

Back to top button

Ad Blocker Detected!

Refresh