টলিউড

নটী বিনোদিনীকে পর্দায় ফোটাতে কালঘাম ছটাচ্ছেন বাংলার সুপারস্টার রুক্মিণী! পা ভর্তি কালশিটে, জামা ছিঁড়ছে ঘুঙুরে! চোট নিয়ে মহড়া নিচ্ছেন অভিনেত্রী

বাংলা সিনেমার ইতিহাসে মাঝেমধ্যে এমন কিছু ছবি তৈরি হয় যেগুলি সব সময়ের জন্য সেরা হয়ে থাকে। তেমনই একটি ছবি নটী বিনোদিনী। বাংলার এই মহারথীকে পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে রীতিমতো তালিম নিচ্ছেন দেব বান্ধবী রুক্মিণী মৈত্র(Rukmink Moitra)। তবে এখন তিনি রুক্মিণী নন, আপাদমস্তক বিনোদিনী দাসী।

চ্যাম্প, ককপিট, কবীর ,কিডন্যাপ, পাসওয়ার্ডের মত বাণিজ্যিক ছবিতে কাজ করে এবার অন্য ধরার ছবিতে পা দিতে চলেছেন তিনি। রুক্মিণী খোলস ছেড়ে আপাতত তিনি বিনোদিনী হয়ে উঠতে লড়ে যাচ্ছেন। যাতে চরিত্রের পর্দার সামনে দাঁড়াতে পারেন। তবে নতুন রূপ ধরে কিভাবে দিন কাটছে তার? সেই সব কিছু জানতে হিন্দুস্তান টাইমসের বাংলার সঙ্গে কথা বলেছেন অভিনেত্রী।

বিনোদিনী হতে কী কী প্রস্তুতি নিচ্ছেন যখন প্রশ্ন রাখা হয় তার কাছে উত্তর দেন,’ ভালো আছি তবে ভীষণ ব্যস্ত। আর পুরোটাই বিনোদিনী নিয়ে। এই ছবির জন্য নানারকম ভাবে প্রস্তুত হতে হচ্ছে। সাধারণ একটা ছবি করি একটি চরিত্র বড়জোর দ্বৈত চরিত্র থাকে। আর এখানে প্রায় সাত আটটা চরিত্র রয়েছে। বিনোদিনী তো রয়েছেই তারপর উনি যে যে চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সেগুলোও রয়েছে। জানা যায় উনি নাকি একটা নাটকে সাতটি চরিত্রের অভিনয় করেছিলেন। এখানে আমার জার্নিটাও ঠিক তেমনি’।

পুরনো দিনের শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু চরিত্রটা নিয়ে কেমন প্রতিক্রিয়া রুক্মিণী মৈত্রের! সে ব্যাপারে বলেছেন, বিনোদিনী শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর চরিত্রে একটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ছবির পোস্টারে ও সেটাই তুলে ধরা হচ্ছে। তবে এর বেশি এখন কিছু বলতে চান না অভিনেত্রী। জানা গিয়েছে বিনোদিনী চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলতে থেকে বের হচ্ছেন না তিনি। সকাল ৯ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত বিভিন্ন রকম প্রস্তুতি চলে। পাশাপাশি পায়ের এক্সারসাইজ সব তিন চার ঘন্টা নাচের রিহার্সাল সবটাই করতে হচ্ছে তাকে। কয়েকদিন আগে শুধু বান্ধবীর এক বিয়েতে গিয়েছিলেন বাদবাকি সময়টা বাড়িতেই বিনোদিনীকে চিনতে সময় নিচ্ছেন তিনি।

সুদীপ্তা চক্রবর্তী তার ছাত্রী রুক্মিণীর প্রশংসা করেছিলেন। সে ব্যাপারে অভিনেত্রী হেসে বলেছেন,’ সুদীপ্তা দি এখন আমার পিলার অফ স্ট্রেন্থ। না থাকলে কি যে করতাম। ওর শেখানোর প্রসেসটা অপূর্ব। কত কিছু শেখা যায় ওর কাছ থেকে। নিজেকে নতুন ভাবে চেনা যায় ওর কাছ থেকে’।

প্রসঙ্গত সুদীপ্তা চক্রবর্তীর ওয়ার্কশপে এখন রীতিমতো তালিম নিচ্ছেন রুক্মিণী। সেই কারণে সেখানকার সরস্বতী পুজোতেও এর পাশে বসে ছবি তুলেছেন অভিনেত্রী। তবে ছাত্রীর বেশ প্রশংসা করেছিলেন সুদীপ্তা। শুটিং করতে করতে হাটুতে গুরুতরে চোট পেয়েছিলেন বিনোদিনী করতে কি তাতে কোন সমস্যা হচ্ছে? অকপট রুক্মিণী,’ আমার এখন দিন শুরু হয় পায়ের এক্সারসাইজ দিয়ে। যত পায়ের জোর বাড়ে। এখনো আমি পুরোপুরি ফিট নয় ৭০ শতাংশ সুস্থ। তার মধ্যেই এখন রোজ দিন থেকে চার ঘণ্টা নাচের মহড়া চলে। বিরজু মহারাজের শীর্ষ সৌভিক চক্রবর্তীর কাজ থেকে কত্থক শিখছি। এছাড়া এই মুহূর্তে আমার ক্লাসিকাল ডান্স এর গুরুজি হলেন মনীষা বসু। এরপরে কোরিওগ্রাফার টিমের সঙ্গে অনুশীলন করব। তবে ফিজিওথেরাপি চলছে।’

পাশাপাশি হেসে বলেছেন, নাচতে নাচতে পায় এখন কালশিটেতে ভর্তি। ঘুঙুর পরে নাচতে গিয়ে অনেক পাজামা ছিঁড়েছেন তিনি। এই নিয়ে তার ম্যাম একটা ছবি তুলেছেন যেটা পরে পোস্ট করবেন। বিনোদিনী চরিত্রটি মারাত্মকভাবে নিজের সঙ্গে মেলাতে চাইছেন রুক্মিণী। যে কারণে বাড়ির ওয়ারড্রব বদলে ফেলেছেন। ওয়েস্টার্ন পোশাক ছেড়ে এখন সেখানে শুধু ইন্ডিয়ান পোশাক শাড়ি। বাড়িতেও নাকি শাড়ি পড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাও সেফটিপিন ছাড়া।

পাশাপাশি পরিচালক রাম কমল মুখোপাধ্যায়ের কথা উঠতে তিনি বলেন,’ ওর কাছে সত্যিই কৃতজ্ঞ। উনি এটা সঙ্গে ভীষণভাবে জড়িয়ে রয়েছেন। আমিও নিজের ৫০০ শতাংশ দিয়ে চেষ্টা করছি এবার দেখা যাক।’

Back to top button

Ad Blocker Detected!

Refresh