বাংলা সিরিয়াল

‘একটা আলাদা রকমের হ্যান্ডসাম… অভিনয় নিয়ে তো কিছু বলারই নেই..থিয়েটার আর্টিস্ট, খুবই ভালো অভিনয় করে’ – মাত্র কয়েকদিন সম্প্রচারের মধ্যেই ‘মেয়েবেলা’র নায়ক অর্পণকে নিয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ সোশ্যাল মিডিয়া

বর্তমানে একদম নতুন শুরু হওয়া ধারাবাহিকগুলির মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় একটি ধারাবাহিক হল ‘মেয়েবেলা’। যা শুরু হতেই প্রথম সপ্তাহতেই বেশ পছন্দ করছেন দর্শক। এই ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্র মৌ এবং নির্ঝর অর্থাৎ ডোডো। মৌয়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেত্রী স্বীকৃতি মজুমদার। এর আগে অভিনেত্রীকে দেখতে পাওয়া গেছে জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘খেলাঘর’- এ। আর নির্ঝর অর্থাৎ ডোডোর চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেতা অর্পণ ঘোষাল। অর্পণকে এর আগে আমরা দেখেছি কালার্স বাংলার ‘বসন্ত বিলাস মেস বাড়ি’ নামক ধারাবাহিকে। তবে ইতিমধ্যেই দর্শকমহলে অর্পণ আর স্বীকৃতির দুটি বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

অন্যদিকে ধারাবাহিকের আরেক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হলো ধারাবাহিকের নায়ক নির্ঝর অর্থাৎ ডোরর মা বিথী। এই চরিত্রে অভিনয় করছেন কালজয়ী অভিনেত্রী রূপা গাঙ্গুলী। ধারাবাহিকের প্রথম থেকে দেখানো হচ্ছে বিথীও তার শ্বশুরবাড়িতে বেশ কিছু অপমান, নিগ্রহ সহ্য করছে। বাড়ির মেজো বউ এবং ডোডোর মা সে। অন্যদিকে মৌ হল বিথীর বান্ধবী মধুমিতার একমাত্র মেয়ে। কিন্তু কোনো কারণবশত মধুমিতার সাথে বিথীর সম্পর্কের তিক্ততার কারণে মধুমিতার মৃত্যুর পরেও বিথী তার মেয়েকে একদমই সহ্য করতে পারে না। নিজের ছেলের থেকেও দূরে রাখতে চায়। মায়ের মৃত্যুর পর মৌ রয়েছে তার মাসি মেসোর কাছে। এখানে সে যথেষ্ট অত্যাচারে গ্রহণ সহ্য করে বেঁচে আছে।

ধারাবাহিকে যৌথ পরিবারের গল্প বেশ পছন্দ করেছেন দর্শক। শুধু তাই নয় ধারাবাহিকে প্রত্যেকটি চরিত্রের জীবনের আলাদা আলাদা গল্প বেশ আকর্ষণীয় লাগছে দর্শকদের কাছে। এছাড়াও প্রত্যেকজন অভিনেতা অভিনেত্রীর এতো পরিণত আর সাবলীল অভিনয় বেশ পছন্দ করছেন তারা। তবে এত সব কিছুর মাঝেও ধারাবাহিকের নায়ক অর্থাৎ নির্ঝর ওরফে ডোডোর চরিত্রে অভিনয় করছেন অর্পণ ঘোষাল, এই অভিনেতাকে নিয়ে হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়াতে বিভিন্ন ধরনের কথা। প্রসঙ্গত অর্পণকে এর আগে কখনো টেলিভিশনের অন্যতম লিডিং চ্যানেলের সাথে কাজ করতে দেখতে পাওয়া যায়নি। এই প্রথম তাঁকে স্টার জলসার একটি সম্প্রচারিত ধারাবাহিক দেখতে পাওয়া গেল। আর প্রথম ধারাবাহিকেই বাজিমাত করলেন অভিনেতা।

তবে নেটিজেনদের মধ্যে অনেকেই বলছেন নায়ক হিসেবে অর্পণকে ঠিক মানায়নি। অর্থাৎ যতটা নায়কোচিত বিষয় একজন অভিনেতার মধ্যে থাকলে সে নায়ক হতে পারে তেমন ব্যাপার অর্পণের মধ্যে নেই। তবে এই কথার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ার আরেকাংশ। তাদের মতে ডোডোর চরিত্রের জন্য ঠিক যেমন অভিনেতার প্রয়োজন ছিল অর্পণ ঠিক তেমনি। আর নায়কোচিত বিষয় বলতে যেসব বিষয়গুলি বোঝায় তার থেকে অভিনয় দক্ষতা সব থেকে বেশি জরুরী। অনেকের মতেই অর্পণকে নায়ক হিসেবে যথেষ্ট ভালো মানিয়েছে। এমনকি তাঁর প্রথম ধারাবাহিক হিসেবে এত পরিণত এবং সাবলীল অভিনয় যথেষ্ট প্রশংসনীয়।

একজন নেটিজেন যেমন লিখেছেন, ‘অনেকজনকেই বলতে দেখলাম যে মেয়েবেলার হিরো নাকি handsome না..হিরোর মতো লাগে না..মানায় নাই.. আসলে একটা perticular image বা looks-এর বাইরে একটু unconventional কিছু এলেই সেটা অনেকে হজম করতে পারেনা.. তবে সেটা যার যার নিজস্ব পছন্দ..তাতে কারো কিছু বলার অধিকার নেই.But i find him really really handsome..কেমন একটা আলাদা রকমের handsome… অভিনয় নিয়েতো কিছু বলারই নেই..থিয়েটার artist,খুবই ভালো অভিনয় করে’।

Back to top button

Ad Blocker Detected!

Refresh