‘বেস্ট ফ্রেন্ড মুসলমান এক থালায় খেয়ে বড় হয়েছি কোনদিনও কোন অসুবিধা হয়নি’! বন্ধুত্ব দিবসে বন্ধুত্ব নিয়ে সরাসরি মুখ খুললেন দিতিপ্রিয়া

দিতিপ্রিয়া রায়, এই নামটা এখন টেলিভিশন জগতে বেশ জনপ্রিয়। অনেক ছোট থেকেই ধীরে ধীরে আজকের এই জায়গাটা বানিয়েছেন অভিনেত্রী। ছোট পর্দাতে বেশ দাপিয়ে কাজ করেছে দিতিপ্রিয়া। আবার বড় পর্দার পাশাপাশি এখন কাজ করছে ওয়েব সিরিজেও। এত কর্ম ব্যস্ত জীবনে বন্ধুত্বের বিষয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী।
এক বিশিষ্ট সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, “বন্ধু দিবস বলতে গেলে আমার স্কুলের বন্ধুদের কথাই মনে পড়ে। কেননা, ওরাই আমার বন্ধু রয়ে গিয়েছে। আমার বন্ধু সংখ্যা বাড়েওনি, কমেওনি। স্কুলে আমরা খুব ক্লোজ় ছিলাম। আমাদের বন্ধুদের গ্রুপে ৮জন। তার মধ্যে আমরা ৪জন বন্ধু বেশি ক্লোজ়। তার মধ্যেও ২জন আরও বেশি ক্লোজ়। ‘বেস্ট ফ্রেন্ড’ বলা যেতে পারে। এখনও তাঁরাই আমার বেস্ট ফ্রেন্ড। আমাদের কোনওদিনও কোনও অসুবিধে হয় না। সমস্যায় থাকলে প্রথম ফোন তাদের কাছেই যায়। আমার এটাও মনে হয়, বন্ধু হিসেবে তারাই আমাকে সবচেয়ে বেশি বোঝে। আমার ‘হাঁ’ বললে ওরা হাওড়া বুঝে যায়”।
এছাড়া অভিনেত্রী তার দুই বেস্ট ফ্রেন্ড সম্পর্কে জানান, “আমার সব বন্ধুরাই পাঠভবনের। আগের স্কুলেরও বন্ধু ছিল। কিন্তু আমি ওদের সঙ্গে এতখানি ক্লোজ় কোনওদিনও ছিলাম না। যে দু’জন বন্ধু আমার আজও খুবই আপন, তারা হল সারণী ঘোষ এবং ওয়াহিদা শবনম। আমাদের মধ্যে টেলিপ্যাথিক যোগ রয়েছে। যেমন ধরুন, সারণীর মন খুব খারাপ। এদিকে আমি সেটা জানিও না। মনের মধ্যে খচখচ শুরু হল, ওর বুঝি কিছু হয়েছে। সঙ্গে-সঙ্গে ফোন করে জানতে পারি সত্যিই কিছু একটা হয়েছে। এরকমও হয়, আমার কিছু হয়েছে। আমাকে যখন ও ফোন করে, আমি বলি কিছু ঠিক নেই। ওয়াহিদার সঙ্গেও এরকমটাই হয়েছে আমার। কী করে যে এটা হয়, আমি সত্যিই জানি না। তবে বন্ধুদিবসে এটাই বলব, ওদের পেয়ে আমি লাকি। ওরা দু’জনেই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ”।
অভিনেত্রীর এক বেস্ট ফ্রেন্ড মুসলমান হওয়ায় তাকে এর আগে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে তিনি এই ধর্ম নিয়ে কি বলবেন? সে বিষয়ে অভিনেত্রী আবারো জানিয়ে দেন, ” আমার দু’জন বেস্টির একজন কিন্তু মুসলমান। অনেককেই ধর্ম নিয়ে খুঁতখুঁতে হতে দেখেছি। বৈষম্য তৈরি করতে শুরু করে দেন তাঁরা। এগুলো কিন্তু আমার আর ওয়াহিদার মধ্যে কোনওদিনও আসেনি। বিশ্বাস করুন, ধার্মিক বিভেদের কথা কোনওদিনও ফিল করিনি। আমরা এক থালায় খেয়ে বড় হয়েছি। মোদ্দা কথা, আমার বেড়ে ওঠা ওরই সঙ্গে। আমাদের দু’জনের পরিবারও এই নিয়ে কোনও আপত্তি জানায়নি। আমি দেখি, পুজোর সময় সবার আগে নতুন জামা কেনার জন্য লাফালাফি করে ওয়াহিদা। ঈদে ওদের বাড়িতে যাই আমরা। দুই ধর্মেরই সবকিছু সেলিব্রেট করি… এটাই তো চাই… এটাই তো হওয়ার কথা”।