মা মিমিকে বাঁচাতে দৌড়ে গিয়ে মায়ের প্রাণ বাঁচালেন মিমির দুই সন্তান, সেই রেসকিউ মিশনের এক রিল ভিডিও পোস্ট করেছেন সাংসদ মিমি নিজেই
নিজের অভিনয় জগত আবার রাজনৈতিক জীবন, দুদিকেই বেশ তাল মিলিয়ে চলতে পারেন অভিনেত্রী/সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। বাড়ির লোকের সাথে সময় কাটাতে পারেন খুব কম। আর তাই যেটুকু সময়ই বাড়ির লোকের সাথে কাটাতে পারেন তাতেই ভরপুর আনন্দ করে নেন তিনি। আর সেই আনন্দের আরো একটি রিল অনুরাগীদের সাথে ভাগ করে নিলেন।
ভিডিওতে মিমি সোফায় মায়ের কোলে মাথা রেখে শুয়ে “বাঁচাও” বলে কেবলমাত্র একবারই মৃদু চিৎকার করেন, আর তা শুনেই মায়ের প্রাণ বাঁচাতে দৌড়ে আসে মায়ের দুই বীর ছেলে ম্যাক্স আর চিকু জুনিয়র। ম্যাক্স বয়সে বড় চিকু জুনিয়রের থেকে, তবে মাকে বাঁচাতে চিকু জুনিয়র যেন একটু বেশিই উদ্যত ছিল। এক লাফে উঠে চড়ল সে সোফায় আর মা মিমির হাত ধরে টেনে উঠিয়েও দিতে চাইল সে।
মিমি বরাবরই পশুপ্রেমী ছিল বলে জানিয়েছেন, আর বাড়িতে একটা চারপেয়ে থাকলে সে বাড়িতে আর যাই হোক না কেন হাসির ফোয়ারা উঠবেই। তবে দু’বছর আগে চিকুর ক্যানসার হওয়ায় সে মিমি, ম্যাক্স সকলকে ছেড়ে চলে যায়। ল্যাব্রাডর প্রজাতির কুকুর ছিল চিকু, সে ছেড়ে চলে যাওয়ায় বেশ কষ্টে দিন কাটত সাইবেরিয়ান হাস্কি প্রজাতির ম্যাক্স এবং মিমির নিজেরও। তাই তিনি আনলেন আরও একটা খুদে ল্যাব্রাডরকে, নাম রাখলেন চিকু জুনিয়র, সেই এই ভিডিওর বীর।
তবে কমেন্টে অনেকে জানান চিকু জুনিয়র কিন্তু আসলে মাকে বাঁচাতে নয় বরং দিদার আদর সে কারোর সাথে ভাগ করে নিতে চায় না, তাই তাঁর মাকে দিদার কোল থেকে তুলতে ব্যস্ত হয়ে গিয়েছিল। তবে মিমি ক্যাপশন দিয়ে লিখেছেন “মম্মিস্ বডিগার্ডস্”। বড় ছেলে ম্যাক্স যদিও বাঁচানোর জন্য টেবিলে উঠেছিল লাফ দিয়ে, তবে ছোটো ভাইয়ের চটকানো দেখে সে আর সেদিকে এগোলোই না। মিমির ইনস্টাগ্রাম একবার স্ক্রল করলেই বোঝা যাবে যে তার থেকে বেশি যেন তাঁর পোষ্যদেরই আপডেট দিয়ে থাকেন তিনি। মা ছেলের এই দুষ্টু মিষ্টি ভিডিও দেখে হাসি ফুটেছে অনুরাগীদেরও।
View this post on Instagram
