টলিউড

একেবারে সোজা মাচা থেকে ঝাঁপ কেটে নিচে! জানেন কী হলো তারপর?

‘পারবি তো?’ বলেই সোজা ঝাঁপ! গান গাইতে গাইতে সোজা ঝাঁপ দিয়ে দিলেন। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আমরা আগেই জেনেছি কৃষ্ণনগরে আসতে চলেছেন তিনি। সেখানেও জানিয়েছিলেন নয়ের দশক থেকে যোগাযোগ স্থাপন করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। এমন কি এটা কথাও জানিয়েছিলেন যে গান গাইতে গাইতে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। যদিও ঝাঁপানোর আগে একবার দর্শকদের আশ্বস্ত করে জিজ্ঞাসাও করে ছিলেন। ঝাঁপও কাটলেন। কিন্তু কই শেষ রক্ষা তো হলো না।

কৃষ্ণনগরে অনুষ্ঠান করতে এসে ঝাঁপিয়েছিলেন শিলাজিৎ। কিন্তু গায়কের সেই ভার সামলাতে পারলেন না উপস্থিত দর্শক। পড়ে গেলেন। সেই ভিডিও শেয়ার করলেন গায়ক নিজেই। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে গান গাইতে গাইতে হঠাৎ করে মাঠ ভর্তি ভিড়ের মধ্যে হঠাৎ করেই ঝাঁপ দিয়ে দিলেন গায়ক। প্রথমে ধরলেও তারপরে আর ওজন সামলে রাখতে পারলেন না।

এই পোস্ট শেয়ার করে শিলাজিৎ ক্যাপশনে লেখেন, ‘আমি কিন্তু বলেছিলাম ঝাঁপাব,তোরা বলেছিলি ধরবো। এবার রেডী হ,আর কতদিন ধরবো বলে ধরতে পারবি না।তোদের জন্য নতুন কিছু করতে পারবো না নাকি। এবার তো বুড়ো হয়ে যাবো।তখন আর পারবো না।নানা রকম তো করলি এবার একটু ধরতে শেখ’।

গায়কের সংযোজন, ‘বাংলা গান ঝাঁপিয়ে পড়বেই তোদের ঘাড়ে।শিল্পীরা ভক্তর কাঁধে চেপে ই তো যাবে,বেঁচে থাকতে থাকতে।মরে গেলে তো চারটে লোক ই চান্স পাবে। তাও এখন তো ‘সব’ গাড়িতে চলে যায়। ধরো ধরা শুরু করো।নইলে আর চান্স পাবে না।বেটার লাক নেক্সট টাইম’।

বেশ কিছু ভক্ত এই ওজন ধরে রাখতে না পারার জন্য অনুতপ্ত হয়েছিলেন। কিন্তু আবার অনেকেই আঙ্গুল তুলে দেন শিলাজিতের ওজনের দিকে। একজন যেমন লেখেন, ‘ওজনটা কমাতে হবে জয়গুরু’। উত্তরে শিলাজিৎ লেখেন, ‘এখনও সাতাত্তর মোটে,আর কত কম চাস। হাড়ের ওজন বাদ দেবো কি করে’। যদিও আরেকজন আবার বলেন নতুন প্রজন্মের হারের জোড়ের জন্যই নাকি এমনটা হল। তাদের হারে জোর কম। যদিও এই কথা একেবারেই একমাত নন শিলাজিৎ।

তিনি এই কথায় লেখেন, ‘আমার মনে হয় টা ঠিক নয়,ওরা এখনও ঠিক রেডী নয়।শুরু করেছিলাম যখন, তখন ও ,খেয়াল কর ,যেভাবে আমি পারফর্ম করতে চাইতাম যে soundscape তৈরি করতে চাইতাম, যেরকম participation চাইতাম দর্শকদের থেকে সেটার জন্য প্রস্তুত ছিল না তখনও দর্শক রা প্রস্তুত ছিলো না।একটু একটু করে চেষ্টা করে গেছি।এই তো সবে কিছুদিন হলো মানুষ বুঝতে পারছে আমাদের মত energetic performance বসে দেখার নয়। দু আড়াই ঘণ্টা দাঁড়ানোর মানসিকতাই ছিল না।হচ্ছে আস্তে আস্তে’।

কিছুদিন আগেই বাংলার একজন জনপ্রিয় গায়িকা ইমন চক্রবর্তীর সাথে শিলাজিতের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। সেখানে ইমন বলেছিল, ‘তুমি এত টাকা নাও। আমাদের পাঁচটা শো-র টাকা তুমি একট শো-তে নিয়ে নাও’। যদিও এই কথার জন্য যোগ্য জবাব দিয়ে শিলাজিৎ বলেছিলেন, ‘আমি যদি কম টাকা চাই তোদেরকে ওই টাকা কেউ দেবে না। তোদের দাদা-কাকা-বাবারা যাদের তোরা প্রণাম করিস, অনেক কথা বলিস, তারা তোদের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়ে যাচ্ছে, কম পয়সায় শো করে। আজকে পশ্চিমবঙ্গে কেউ নেই দু তিনটে লোকের বাইরে যারা নিজেদের রেট ধরে রেখেছে। লোভের চোটে এদিক ওদিক চলে যাচ্ছে, ৫-৫০-১০ সব করে নিচ্ছে’।

Back to top button

Ad Blocker Detected!

Refresh